২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরকারকে ‘ছোটলোক’ বললেন মান্না

জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। - ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপের খাওয়ার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়াকে ছোটলোকী বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার ছোটলোক। ওদের মতলবই খারাপ। এটা একটা মতলবি সরকার। সংলাপ বিভ্রান্ত করার জন্য এসব করছে’।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মাটির ডাক’ নামের একটি সংগঠনের আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

‘নির্বাচন ভাবনা ও জনপ্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মান্না প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘অদ্ভুত বিষয়, আমরা গণভবনে সংলাপ করছি, সেখানে কোনও সাংবাদিক ছিলো না। কিন্তু খাওয়ার ছবি বের হলো কী করে? কোনও ছবি তো বাইরে যাওয়ার কথা না। ফেসবুকে ছবি গেল কী করে?’

মান্না আরো বলেন, ‘পানি খাওয়াবে, চা খাওয়াবে, স্ন্যাক্স খাওয়াবে কে মানা করছে? কিন্তু তারা স্ন্যাক্সের সঙ্গে স্যুপের ছবি দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে কী বোঝাতে চাইছে? এই নেতারা জীবনে খায়নি, খেতে গিয়েছিল গণভবনে? ছোটলোক! সরকারটা একটা ছোটলোকের সরকার। নাহলে এগুলো করতে পারে না’।

সংগঠনের সভাপতি তাসনিম রানার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি (বিএফইউজে) শওকত মাহামুদ প্রমুখ।

 

আরো পড়ুন : সংলাপে কেন বিলম্বে পৌঁছালেন মান্না?

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০১ নভেম্বর ২০১৮

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে মিলিত হয়েছেন দেশের শীর্ষ রাজনীতিকরা। দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের উদ্যোগ নিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ফলে আজ সন্ধ্যা সাতটায় দেশবাসীর বহু কাক্সিক্ষত সংলাপ শুরু হয়েছে গণভবনে।  

সংলাপে অংশ নিতে সবার শেষে গণভবনে পৌঁছান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে গণভবনে আসেন তিনি।


তার এই বিলম্বের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।

এর আগে ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারা একে একে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গণভবনে পৌঁছান। গণভবনে সর্বপ্রথম আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার ও আব্দুল মঈন খান। তাদের কাছাকাছি সময়ে আসেন ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর আসেন অন্যরা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের ২৩ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২১ জন নেতা গণভবনে এক টেবিলে বসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যোগ দেননি বিএনপির অন্যতম নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

গণভবনে একই টেবিলে বসছেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে মিলিত হয়েছেন দেশের শীর্ষ রাজনীতিকরা। দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের উদ্যোগ নিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ফলে আজ সন্ধ্যা সাতটায় দেশবাসীর বহু কাক্সিক্ষত সংলাপ শুরু হয়েছে গণভবনে।  

জানা গেছে, তাদের প্রত্যেকে দুই মিনিট করে কথা বলার সুযোগ পাবেন।

সংলাপে উপস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের ২২ নেতারা হলেন— দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, আবদুল মতিন খসরু, কাজী জাফরুল্লাহ, ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, স্থায়ী কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম। তাদের সঙ্গে আছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও মঈনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া এবং ওয়াকার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন।

অন্যদিকে, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে রয়েছেন ২০ জন। তারা হলেন— মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তাদের সঙ্গে থাকছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম; গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, মোকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহ; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন ও সহসভাপতি তানিয়া রব; ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মনসুর ও আ ব ম মোস্তফা আমিন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে থাকছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এর বাইরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসছেন না বলে জানা গেছে।

এর আগে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে রোববার (২৮ অক্টোবর) চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দলের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপের কাছে এ সংক্রান্ত দুইটি চিঠি হস্তান্তর করেন।

পরে, সোমবার (২৯ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দলীয় শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এক অনির্ধারিত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, ওই বৈঠকেই সংলাপের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর কন্যার দরজা কারও জন্য বন্ধ থাকে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, আমরা সংলাপে বসতে রাজি এবং তাদের সঙ্গে সংলাপে বসব।

পরে মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দফতর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ চিঠি নিয়ে হাজির হন ড. কামালের বাসায়। ওই চিঠিতে বলা হয়, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় গণভবনে সংলাপের জন্য ঐক্যফ্রন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরো সংবাদ



premium cement