২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইভিএম নিয়ে এরশাদও আতঙ্কিত!

রংপুরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন এরশাদ। - ছবি: নয়া দিগন্ত

ইভিএমে কারচুপির আশঙ্কা থাকে দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট যে দাবি দিয়েছে, তা হাসিনার পক্ষে মানা সম্ভব নয়। সে কারণে আমার মনে হয় সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, রংপুর মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, এরশাদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম ফখর উজ জামান জাহাঙ্গীর, মহানগর সেক্রেটারি এস এম ইয়াসির, জেলা যুগ্ম সম্পাদক হাজি আবদুর রাজ্জাক, শাফিউল ইসলাম শাফী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মেজবাহুল ইসলাম মিলন চৌধুরী, জাতীয় ছাত্রসমাজের মহানগর সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম ছোট প্রমুখ।

এ সময় ইভিএম প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ইভিএম পরীক্ষিত নয়। ইভিএমকে আমরা সন্দেহের চোখে দেখি। ইভিএমে কারচুপির আশঙ্কা থাকে। তাই আমরা ইভিএমের পক্ষে নই।

এরশাদ আরো বলেন, ঐক্যফ্রন্টে যেসব দল আছে তারা আজ সংলাপে যাবে। আমার মনে হয় সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না। যেসব দাবি তারা দিয়েছেন সে দাবি সরকারের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। তারা হাসিনার পদত্যাগ চেয়েছেন, হাসিনা কি পদত্যাগ করবেন?

এক দিনের সফরে দুপুরে বিমানে রংপুর আসেন এরশাদ। তার বাড়ি পল্লী নিবাস পুনর্নির্মাণ হওয়ার কারণে তিনি রংপুর পর্যটন মোটেলে রাতযাপন শেষে আজ ঢাকায় ফিরবেন।

 

আরো পড়ুন : সংলাপ নিয়ে যা বললেন ১৪ দলের নেতারা
বাসস, ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:১৮


আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ শেষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা বলেছেন, আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভালো হয়েছে।

বৃহষ্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপ শেষে নেতৃবৃন্দ সংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘আলোচনায় বেশ কিছু অগ্রগতি রয়েছে। ড. কামাল হোসেন সাহেব আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি আলোচনায় সন্তুষ্ট। এখানে এসে এমন অনেক কিছু জানতে পেরেছেন, যা আগে তিনি জানতেন না।’

সন্ধ্য সাড়ে সাত টায় শুরু হয়ে এই সংলাপ শেষ হয় রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ বৈঠকে অংশ নেয়।

অন্যদিকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, সাত দফা দাবি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।

সাম্যবাদী দলের সাধালন সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আলোচনা ভালো হয়েছে। সভা-সমাবেশ করতে কোনো বাধা দেয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।

গণভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেন, বরফ গলতে শুরু করেছে।

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়েছে। সাত দফা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আলোচনা সফল হয়েছে। বরফ গলেছে। কিন্তু একদিনে সকল কিছু সমাধান সম্ভব নয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আলোচনা সফল হয়েছে। ড. কামাল আমাদের অনেক প্রস্তাবেই সম্মত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিষয়টি আইন-আলাদতের বিষয়। এটা আদালত দেখবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে, এ আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি নেতাদের মামলার বিষয়েও তালিকা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের প্রধানমন্ত্রী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় ঐক্যফন্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন প্রসঙ্গে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর চিঠির উত্তরে একটা বিষয় লেখা ছিল-গণতন্ত্রের স্বার্থে সংবিধান সম্মত সব বিষয়ে আলোচনা হবে। পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া হয় না। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও নির্বাচনের সময় সংসদ বহাল থাকে। তফসিল ঘোষণার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। প্রধানমন্ত্রী তাদের একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।’

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement