২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবার ‘বাংলাদেশ অনলাইন জাতির জনক পরিষদের’ যাত্রা

বঙ্গবন্ধুর নামে আরেকটি সংগঠনের যাত্রা শুরু। - ছবি: সংগৃহীত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দেশে-বিদেশে একাধিক সংগঠন রয়েছে। যদিও অধিকাংশ সংগঠনই নাম সর্বস্ব। নেই মূল সংগঠন আওয়ামীলীগের কোন অনুমোদন। কিন্তু নির্বাচনের আগে আবারো আরেকটি সংগঠনের যাত্রা শুরু হলো।

সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা ও অনলাইনে গুজব প্রতিরোধ করার উদ্যোগ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ অনলাইন জাতির জনক পরিষদ। রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মো: সাখাওয়াত হোসেন শওকত বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অনলাইন জাতির জনক পরিষদের নেতৃবৃন্দ। ডিজিটাল বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুবই শক্তিশালী। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ অনলাইন জাতির জনক পরিষদ সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে অনলাইনে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন চিত্র বাংলাদেশ অনলাইন জাতির জনক পরিষদের পোর্টালে প্রচারিত হবে। গোটা দেশে সংগঠনের হাজার হাজার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক এই প্রচারণায় অংশ নেবেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শেখ নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি এনামুল হক, অর্থ সম্পাদক আল আমিন ঠাকুর, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: আমিনুল ইসলাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দুরুল হুদা, সহপ্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 

আরো পড়ুন : আমাকে রাতদিন আওয়ামী লীগে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে : কাদের সিদ্দিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:১২


মুক্তিযুদ্ধের কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় প্রতিরোধ গড়েছিলাম। কিন্তু জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, সেদিন যদি প্রতিবাদ করে ভুল করা হয়ে থাকে সেকথাটিও রাষ্ট্রীয়ভাবে জানাতে হবে। সেসব যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হোক। তাহলে অন্তুত বলতে পারব বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিবাদ করতে গিয়ে জেলে যেতে হয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মিলনমেলা উপলক্ষে গতকাল এক স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম এসব কথা বলেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবীরের বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী এবং ছোট ভাই বাবুল সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মহাসচিব হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতিক, অর্থ সম্পাদক আবদুল্লাহ বীরপ্রতিক, কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান কায়সার চৌধুরী।


এতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী ৭৫-এর প্রতিরোধ চলাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেসময়ের বঙ্গবীরের কাছে লেখা একটি চিঠি পড়ে শোনান।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ এমন হবে জানলে আমি বঙ্গবীর যুদ্ধে যেতাম না। যে লতিফ সিদ্দিকীরা আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছিলেন তাকেই দল থেকে বের করা হয়েছে। যারা তার স্যান্ডেল টেনেছেন তারা এখন মন্ত্রী হয়ে বসে আছে।

তিনি বলেন, রাতদিন আওয়ামী লীগে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে, সেখানে কি করে যাই যেখানে মতিয়া চৌধুরী, ইনু বসে আছে? যারা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ছিলেন। আমি কোন কিছু চাই না, সারা জীবন সহ্য করেছি। আর চুপ থাকব না।

৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় প্রতিবাদে প্রতিরোধকারীদের স্বীকৃতি দিতেই হবে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই। যদি না দেয়া হয় তাহলে মুখ বুজে বসে থাকব না। আমি মনে করি এই স্বীকৃতি আদায় হবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। একই সঙ্গে বলতে চাই- কোন মানুষ যদি পিতৃ পরিচয় হারিয়ে ফেলে, কেউ যদি পিতৃ পরিচয় অস্বীকার করে, তাহলে তার আর কিছু থাকে না। তাকে কিন্তু সামাল দেয়া খুব কঠিন হয়ে যায়। এটা মনে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে কাদের সিদ্দিকী জানান আজ প্রায় ১৯ বছর আমরা দু’ভাই পাশাপাশি কোন জনসভায় বসিনি। খুব সম্ভবত একটি জানাযায় আমরা একত্রিত হয়েছিলাম। তিনি আরও জানান বঙ্গবন্ধু জেল থেকে বের হলে আমরা তার সঙ্গে তখন কথা বলতে পেরেছি। আমার বাবা কথা বলতে পেরেছে। কিন্তু এই প্রথম ১৯ বছর পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য, দেখা করার জন্যে তিন তিনবার চেষ্টা করেছি। তার পিএসদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে কোন সাড়া পায়নি। তাকে না পেয়ে শেষে চিঠি দিয়েছি। যেন এই অনুষ্ঠানে সরকারের তরফ থেকে সহযোগিতা করা হয়। কিন্তু কোন সহযোগিতা পায়নি।

বরং আজকের এই মিলন মেলায় যেন না আসতে পারে কেউ তার জন্য রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা ইয়াহিয়ার জন্য রাস্তাঘাট বন্ধ করেছিলাম। কিন্তু দেশের ভেতর এমন শত্রুতা আগে কখনো দেখিনি। তিনি বলেন, আজকে সরকারের জয়জয়কার। যেদিকে তাকাই সেদিকে আওয়ামী লীগ। সেদিকে শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাড়াবো জানি না। তিনি নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন একদিকে শ্রমিক নেতা অন্যদিকে সরকারের মন্ত্রী। তিনি আজকে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছেন।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কারও পাশে দাড়াই না। ন্যায়ের পক্ষে সত্যের পক্ষে দাড়াই। এ জন্যই পত্রিকায় দেখে আমন্ত্রিত না হয়েও চলে এসেছি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব কাদের সিদ্দিকীকে স্বীকার করি না, তবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও ১৫ আগষ্ট পরবর্তী প্রতিরোধ যুদ্ধকে স্বীকার করি। তার নেতৃত্বেই সেদিন প্রতিরোধ যুদ্ধে জয়ী হয়েছিলাম।

তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে তার মর্মকথা বোঝার সামথ্য অনেকের নেই। বক্তব্য বোঝার প্রজ্ঞা এ দেশের রাজনীতিবিদদের নেই। কারও রিুদ্ধে বলি না কারও তাদের বিরুদ্ধে বলার যোগ্যতা তারা রাখে না। কারন তারা ড্রয়িং রুমের নেতা। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় হোক। স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে ভারত থেকে আগত সূধীর চন্দ্র দাস বলেন, স্বীকৃতটুকু আমাদের প্রত্যাশা। আর কিছু চাই না। প্রতিবাদ সঠিক হয়েছিল কিনা জনগন মুল্যায়ন করবেন।


আরো সংবাদ



premium cement
থামছে না পুঁজিবাজারে পতন বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু: নাগাল্যান্ডে ভোটার উপস্থিতি প্রায় শূন্য কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির হাল ধরার কেউ নেই : ওবায়দুল কাদের পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ ২৩ জন আটক স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার বিজিপির আরো ১৩ সদস্য পালিয়ে এলো বাংলাদেশে শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে ২ ভাইকে হত্যা ইরানে ইসরাইলি হামলার খবরে বাড়ল তেল সোনার দাম যতই বাধা আসুক ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো : ডা: শফিকুর রহমান

সকল