১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা জরুরি ছিল : কাদের 

মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা জরুরি ছিল : কাদের  - সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার গত নির্বাচনকালীন সরকারের মতোই হবে। দুই-একজন নতুন মুখ আসতে পারে। তখন যে সরকারটি হবে, সেটি হবে নিয়মিত সরকার। তবে আকার ছোটবড় হতে পারে।

তিনি বলেন, আগামী ২৬ অক্টোবর আওয়ামী লীগের যৌথ সভার পর নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সেদিন আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদ ও পার্লামেন্টারি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সম সাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় কাউকেই বাধা দেওয়া হবে না। সবাই সমান সুযোগ পাবেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কোনো চাপ নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীরা তাদের নিজস্ব নির্বাচনী এলাকায় গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন না, তবে নির্বাচনী এলাকার বাইরে পারবেন। নির্বাচনকালীন সময়ে মন্ত্রীদের নিরাপত্তা আগের মতোই বহাল থাকবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, ২৬ অক্টোবরের পর তা প্রকাশ করা হবে।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নব্য নেতা হিসেবে নয়, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য। অপরাধ করে পার পেয়ে গেলে এ ধরনের আরও অপরাধ করতে পারে। তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি রোধেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মইনুল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে মামলার কারণে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তার সংশ্লিষ্টতা এখানে কোনো বিষয় নয়। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেখানে গ্রেফতার করাটাই জরুরি ছিল এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো উদ্বেগ বা আশঙ্কা রয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে কোনো উদ্বেগ বা শঙ্কা নেই। প্রধানমন্ত্রী তো স্বাগত জানিয়েছেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে কিনা- সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আগে সংশোধনের সুযোগ নেই, আইনের অপপ্রয়াগ যাতে না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখব। সাংবাদিকদের জন্য এ আইন করা হয়নি। যদি আপনি কোনো অপরাধ না করেন, তাহলে ভয় কিসের?

আরো পড়ুন : মইনুল হোসেনকে গ্রেফতারের কারণ বললেন আইনমন্ত্রী
নয়া দিগন্ত অনলাইন ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:২৮

মানহানীর মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে। কিন্তু এই ধরনের একজন ব্যাক্তিকের শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। সেখানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, মানহানি মামলায় মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা নজিরবিহীন ঘটনা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে ব্যাহত করতেই এই গ্রেপ্তার। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা।

আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে যে, আগে সরকারের বিরুদ্ধে টক শো করলেও তাঁকে আমরা গ্রেপ্তার করিনি। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারণ—তার সাথে এক ইন্টারভিউতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে তিনি যা বলেছেন তাতে শুধু সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি ক্ষুণ্ন হয়েছেন, এবং তাঁর মানহানি হয়েছে তা না। বাংলাদেশের নারী জনগোষ্ঠী মনে করেন, এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য নারী সমাজকে অপমানিত করেছে এবং সেখান থেকেই মামলা হয়েছে।’ 

আইনমন্ত্রী আরও বলেছেন, এই মন্তব্যের জন্য আদালতের পরোয়ানা অনুসারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের নারী সমাজ ক্ষুব্ধ হতো বলে আমার ধারণা। সে জন্যই পরোয়ানা দেওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজ্জাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আনিসুল হক। রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতি এ সেমিনারের আয়োজন করে।


আরো সংবাদ



premium cement