২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চরিত্রহীন মামলা : মইনুলের বক্তব্য, এখন যা বলছেন ভাট্টি

চরিত্রহীন মামলা : মইনুলের বক্তব্য, এখন যা বলছেন ভাট্টি - ছবি : সংগ্রহ

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তার বিরুদ্ধে করা দুটি মানহানির মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছেন বলেই সরকার দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

তাই এই ধরনের মামলার জন্য তিনি প্রস্তুত আছেন বলেই জানান। তবে মামলার আদালত থেকে তিনি জামিন নিয়েছেন।

"আমাদের দেশে মামলা দেওয়াটা এখন রাজনীতির অংশ হয়ে গিয়েছে। এখনকার রাজনীতি হলো মামলা দিয়ে, পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা," বলছেন তিনি, "এর পেছনেও সে ধরনের কিছু একটা আছে। দেখুন, একটু মামলা দায়ের করেছে আওয়ামী লীগের মহিলা শাখা, অন্যটি মহিলা নিজে।"

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা একটি মানহানির মামলা এবং জামালপুরে দায়ের করা ভিন্ন একটি মামলায় মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত রোববার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

মাসুদা ভাট্টি ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০/৫০৬ ধারায় ঐ মামলা দায়ের করেন।

পাশাপাশি যুব মহিলা লীগের জামালপুর শাখার আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমীন আদালতে ২০,০০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন।

ঐ আদালত থেকেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

গত ১৬ অক্টোবর ঢাকার একটি টিভি টক-শো'তে রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ আলোচনায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন উপস্থিত মাসুদা ভাট্টিকে 'চরিত্রহীন' বলে বর্ণনা করেন।

সোশাল মিডিয়াতে আলোচনার সূত্র ধরে টক শো অতিথি মাসুদা ভাট্টি জিজ্ঞেস করেন মি. হোসেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা?

জবাবে মইনুল হোসেন বলেন, "আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।"

এই মন্তব্য করার পর পরই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রায় ৫০ জন সম্পাদক এবং শীর্ষ পর্যায়ের সাংবাদিক এক যৌথ বিবৃতিতে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান।

একজন ভদ্রমহিলা সম্পর্কে এধরনের অশালীন মন্তব্য করার জন্য তিনি অনুতপ্ত কি না বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি 'চরিত্রহীন' বলতে মাসুদা ভাট্টিকে ব্যক্তিগতভাবে ইঙ্গিত করেননি। তিনি তার সাংবাদিকতার চরিত্রটিকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তবু তিনি এই ঘটনার জন্য অনুতপ্ত।

"একটা ঘটনা ঘটেছে। তার জন্য দু:খ প্রকাশ করলাম। তারপর আমি প্রেসে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলাম। আমি ভাবতেই পারিনা কোন সাংবাদিক আমাকে এভাবে অপমান করে প্রশ্ন করতে পারে। আমি কি বাংলাদেশে এতটাই অপরিচিত যে জামাতের এজেন্ট হয়ে আমাকে ঐক্য-প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে?"

বিবিসির সাথে আলাপকালে মাসুদা ভাট্টি বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। একজন সাংবাদিক হিসেবেই তিনি ব্যারিস্টার হোসেনকে প্রশ্নটা করেছিলেন।

"এটা সত্যি যে তিনি আমাকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু আমি তাকে বলেছি বিষয়টা এখন আমার একার ব্যাপার নয়। তবু তিনি যদি ভুল স্বীকার করেন, তাহলে মামলা উঠিয়ে নেয়ার কথা বিবেচনা করতে পারি।"


আরো সংবাদ



premium cement