২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

 পূজামন্ডপ থেকে ফেরার পথে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

 পূজামন্ডপ থেকে ফেরার পথে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ - সংগৃহীত

কুমিল্লায় পূজামন্ডপ থেকে ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটি পাচঁপুকুরিয়া গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ভুলু চন্দ্র সরকার (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আটক ব্যক্তি পাহাড়পুর গ্রামের মৃত নিশি চন্দ্র সরকারের ছেলে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুরাদনগর থানা পুলিশের ওসি একেএম মনজুর আলম।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে ভিটি পাচঁপুকুরিয়া গ্রামের ওই স্কুলছাত্রী একটি মন্ডপে দুর্গাপূজা দেখতে যায়। রাতে মন্ডপ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভুলু চন্দ্র সরকার সহযোগীদের নিয়ে ছাত্রীর মুখ চেপে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভুলু চন্দ্র। এ সময় ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার এবং ধর্ষককে আটক করে। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মুরাদনগর থানা পুলিশের ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষকের পকেটে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বিকেলে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিত ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

আরো পড়ুন : কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও রাখলো শ্রমিকলীগ নেতা
বগুড়া অফিস ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ২২:০১

তুফান কান্ডের পর বগুড়ায় আবারো এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারন করেছে শাহিনুর রহমান নামের এক শ্রমিকলীগ নেতা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

ধর্ষক শাহিনুর একজন পরিবহন ব্যবসার সাথেও জড়িত।


গ্রেফতারের পর ধর্ষনের ঘটনা পুলিশের কাছে সে স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার রাতে বগুড়া শহরের চারমাথা বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত পরিবহন ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান (৪৫) বগুড়া জেলা যুব শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক ও বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলীর পুত্র। সে বগুড়া-ময়মনসিংহ ও বগুড়া -রাজশাহীসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ঝটিকা পরিবহনের মালিক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিত কলেজ ছাত্রীকে শাহিনের সাথে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পরিচয় করিয়ে দেয় তারই এক বন্ধু। এরপর ওই কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক গাড়ীতে তুলে ফুলতলা এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে যায় শাহিন। এরপর জোরপূর্বক নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষন করে শ্রমিকলীগ নেতা শাহিন।

এমনকি ঘটনা ফাঁস না করতে হুমকি দিয়ে নিজের মোবাইল ফোনে ধর্ষনের ঘটনার ভিডিও ধারন করে শাহিন।

পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে শাজাহানপুর থানায় গিয়ে ধর্ষন মামলা করে ওই কলেজ ছাত্রী। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে বগুড়া ডিবি পুলিশ শাহিনকে রাতেই গ্রেফতার করে। শাহীন শ্রমিকলীগ নেতা হলেও কোটিপতি ব্যবসায়ী। এর আগেও সে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।

বগুড়া ডিবি পুলিশের ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, বুধবার বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর সরকারী এম মনসুর আলী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সম্মান শেষবর্ষের ছাত্রী (২৪) শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ওই মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই শহরের চারমাথা এলাকা থেকে ধর্ষক শাহিনুর রহমানকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, কলেজ ছাত্রীর দায়ের করা মামলার এজাহারে আসামি ধর্ষক শাহিনুর রহমানকে তাঁর পূর্বপরিচিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁকে প্রলোভন দেখিয়ে শহরের ফুলতলা এলাকার সিয়েস্তা নামক একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর বগুড়া শহর শ্রমিকলীগের তৎকালীন আহবায়ক তুফান সরকার এক কিশোরীকে ধর্ষন করে। এ ঘটনা ফাস হলে তার স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় বোন পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি ধর্ষিতা কিশোরী ও তার মাকে বেধড়ক মারপিট করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়।

এরপর থানায় মামলা দায়ের করা হলে ধর্ষক তুফান , তার স্ত্রী , শ্বশুর , কাউন্সিলর রুমকিসহ ১০জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে সময় এ ঘটনায় দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে তুফানকে ক্ষমতাসীন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

তদন্ত শেষে আদালতে আসামীদের নামে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ধর্ষক তুফানসহ কাউন্সিলর রুমকি এখনও কারাগারে রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement