২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উত্থানে সরকার টালমাটাল ’

‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উত্থানে সরকার টালমাটাল ’ - নয়া দিগন্ত

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উত্থানে সরকার টাল মাটাল হয়ে পড়েছে। যার ফলে সরকার একবার জোটের আবির্ভাবকে অভিনন্দন জানাচ্ছে, কখনও সন্ত্রাসী-ষড়যন্ত্রকারী বলছে, কখনও সিকি আধুলি বলছে আবার বিপুল জন সমারোহের ভয়ে জনসভার অনুমতি দিতে টাল-বাহানা করছে।

শনিবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেএসডি’র ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির সভায় মালেক রতন একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, দেশের জনগন বোকা নয়। তারা সরকারের জন বিচ্ছিন্নতা ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে বর্তমানে অন্ততঃ গণতান্ত্রিক আচরণ করার আহবান জানান তিনি। ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক মিসেস তানিয়া রব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব জনাব শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জেএসডি সহসভাপতি এ্যাড. কে এম জাবের, সুলতান আহমেদ বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, এ্যাড. সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশারফ হোসেন, আবদুর রাজ্জাক রাজা, এস এম রানা চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল তারেক, এস এম সামছুল আলম নিক্সন, মোঃ মোস্তফা কামাল, হাজী আখতার হোসেন ভূঁইয়া, মোশাররফ হোসেন, গাজী নজরুল ইসলাম, তৌফিক উজ জামান পীরাচা প্রমুখ।

সভায় বক্তাগন আগামী ৩১ শে অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য আলোচনা সভাকে সফল করে তোলার জন্য দলের সর্বস্তরের নেতা, সংগঠক, কর্মী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহবান জানান।

আরো পড়ুন : জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট্রের মাধ্যমেই সরকারের পরিবর্তন আনা হবে : মওদুদ
নয়া দিগন্ত অনলাইন ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:১১

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকেই সরকারের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় প্রতিহিংসামূলকভাবে তারেক রহমানকে সাজা দেয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ আইন বর্হিভূতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। আমরা এই রায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এই রায় একটি ফরমায়েসী রায়, এই রায় দেশের মানুষ মানে নাই এবং মানতে পারে না। কারণ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষীর জবানবন্দি তারা দিতে পারে নাই।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রত্যাহারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরজাহান ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও সহ-সভাপতি জেবা খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরে আসবেন তিনি আত্নসমর্পণ করে হাইকোর্টে আপিল করবেন এবং তিনি জামিন নিবেন সেই সাথে প্রমাণ করবেন তার বিরুদ্ধে এটি একটি অসত্য রায়, এই রায় কার্যকর হবে না। সেই আপিলে অবশ্যই তিনি সফল হবেন এবং খালাস পাবেন এই বিশ্বাস আমরা রাখি।

তিনি বলেন, আজকে তাদের (সরকার) গাত্রদাহ হয়েছে এতো বড় ঐক্যফ্রন্ট কি করে হলো? সে জন্য বিভিন্ন মন্ত্রীরা বিভিন্ন অশালীন ভাষায় মন্তব্য করা শুরু করেছেন এটাই প্রমাণ করে আমরা ঠিক কাজই করেছি। আমরা যে ঐক্যফ্রন্ট করেছি এটা সঠিক কাজ করেছি দেশের সকল মানুষ যে এই ঐক্য চায় সেটাই আজকে প্রমাণিত হয়েছে। সরকার আমাদের যতই সমালোচনা করবে ততই বুঝতে হবে আমরা ঠিক কাজ করেছি, সঠিক কাজ করেছি। আমাদের এই ঐক্য আরও জোরদার হবে, এটির মাধ্যমে আমরা আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করবো।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আজকে সারা জাতি ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে গঠন করা হয়েছে এটা সারা জাতি সকল শ্রেণির সকল দলের মানুষের মনের কথা প্রকাশ করেছে। এই কারণে সারা বাংলাদেশে আজকে গ্রামগঞ্জে পর্যন্ত এই ঐক্যের ডাক পৌঁছে গেছে। দেশের মানুষ আজকে এই ঐক্যের মাধ্যমে এই সরকারের পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। এই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট্রের মাধ্যমেই সরকারের পরিবর্তন আনা হবে। তাদেরকে (সরকার) বাধ্য করা হবে সংলাপে বসতে, বাধ্য করা হবে সংসদ বাতিল করে দিতে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে।

সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মওদুদ আহমদ বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন, এককভাবে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। এবার আর ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হবে না। এবার আমরা নির্বাচনে গেলে মাঠে যখন মানুষ নামবে তখন আপনারা বুঝতে পারবেন কোন পক্ষে দেশের মানুষ রয়েছেন।

সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পূর্বঘোষিত জনসভায় প্রথমে অনুমতি দিয়ে সেটি আবার বাতিল করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আজকে একটি দল ডাক ঢোল পিটিয়ে (জাতীয় পার্টি) সমাবেশ করছে তাদেরকে কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে না, আমরা করলে এর চেয়ে ২০ গুন বেশি লোকের জনসমাগম ঘটতো। সবাইকে অনুমতি দেয়, ওয়ার্কার্স পার্টিকে দেয় আমাদেরকে দেয়না, ২৩ তারিখে সিলেটে আমাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভার প্রথমে অনুমতি দিয়ে পরে আবার সেটি প্রত্যাহার করেছে। কারণ, এটা একটি স্বৈরাচারী সরকার, ফ্যাসিবাদী সরকার এরা জনগণকে ভয় পায় এরা আইনের শাসন বিশ্বাস করে না।


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল