২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গাইলেন রওশন এরশাদ, সুর মেলালেন জনতা 

সমাবেশের মঞ্চে গান পরিবেশন করছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ - নয়া দিগন্ত

নতুন এক রূপে আবির্ভূত হলেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। সমাবেশের মঞ্চে দাড়িয়ে তিনি গাইলেন গান। এতে তার সাথে সুর মেলালেন উপস্থিত জনতা। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় জোটের মহাসমাবেশে এই রূপে দেখা দিলেন তিনি। 

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কোচেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, ‘জনগণের উৎসাহ ও আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে, আমরা আবার ক্ষমতায় যাই। আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তাই করতে হবে।’

বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে রওশন এরশাদ দুটি গান গেয়ে শোনান। বক্তব্য শুরুর কিছু পরই রওশন এরশাদ গাইতে থাকেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ব মোরা/নতুন করে আজ শপথ নিলাম।/নবজীবনের ফুল ফোটাব,/প্রাণে প্রাণে আজ এই শিক্ষা নিলাম।’ এ সময় উপস্থিত জনতাও তার সঙ্গে সুর মেলায়। গান শুনানোর পরই উজ্জীবিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, 'এবার আমরা ক্ষমতায় যাবই যাব, ইনশা আল্লাহ।'

‘আমাদের ক্ষমতায় যেতে হবে। আমি আশা করব, আপনারা সেই লক্ষ্যে কাজ করবেন এবং সেভাবে দলকে সম্মানিত করবেন।’

মহাসমাবেশে সবাইকে অঙ্গীকার করার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কোচেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের সবাইকে অঙ্গীকার করতে হবে। কারণ আমাদের চেয়ারম্যানের ইচ্ছা উনি আরেকবার দেশের জন্য, জনগণের জন্য কাজ করতে চান। আমরাও দেশের জন্য আরেকবার কাজ করতে চাই।’

দেশের প্রত্যেকটি লোকের কাছে জাতীয় পার্টির কথা বলার আহ্বান জানিয়ে রওশন এরশাদ আরো বলেন, ‘তাদের মনে আবারও সেই কথা জাগ্রত হবে। কারণ, বাংলাদেশের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে লাঙল আছে।’

সবশেষে বিরোধীদলীয় নেত্রী রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় একটি গানের কয়েকটি লাইন গেয়ে শুনান। গানটি হলো- ‘লাঙলে ভোট না দিয়া করছি আমি মস্ত ভুল’। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, জাতীয় পার্টির গান আমাদের আবারও গাইতে হবে।'

আরো পড়ুন : সরকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন এরশাদ
বিশেষ সংবাদদাতা ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৫৯

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এতদিন ধরে যা বলা হচ্ছিল, সমাবেশ করে তাই পুনর্ব্যক্ত করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। 

শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন,  ‘জাতীয় পার্টি সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, আমরা আজো জোটবদ্ধ ভাবে ৩০০ আসনেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কি না।’  সংশয় প্রকাশ করে এরশাদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে সাধারন মানুষের সংশয় আছে। আমিও শঙ্কায় আছি, নির্বাচন হবে কি হবে না জানি না। একটি দল সাত দফা দিয়েছে, সরকার মানতে চায়না। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী তা মানা সম্ভবও নয়। আমরা দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এর জন্য সুষ্ঠুু পরিবেশ সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। তিনি জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার দাবি জানিয়েছেন। এর আগে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে একই ধরণের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 


এছাড়া সুশাসনের লক্ষ্যে ও জাতির মুক্তির পথে’ ১৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন এরশাদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা হল মুক্তি পথ, দেশের মুক্তির পথ, জাতির মুক্তির পথ। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আমার জীবনটা উৎসর্গ করতে চাই।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এই মহাসমাবেশ মঞ্চে এরশাদের পাশে ছিলেন পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের, পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপিসহ প্রেসিডিয়াম সদস্যরা এবং জোটের শরিক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের শীর্ষনেতারা। সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন ইসলামি ফ্রন্টের এমএ মান্নান, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মাহফুজুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এড. সালমা ইসলাম এমপি, এসএম ফয়সল চিশতী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, বিরোধী দলের চিফ হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রুস্তুম আলী ফরাজী এমপি, ইসলামী ফ্রন্টের আল্লামা আবু সুফিয়ান, বিএনএ’র সেকান্দার আলী মনি, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের আলহাজ¦ আবু নাছের ওহেদ ফারুক প্রমুখ।

সমাবেশে প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, এমএ সাত্তার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, মোঃ আবুল কাশেম, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলহাজ¦ গোলাম কিবরিয়া টিপু, সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাড. শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, সুনীল শুভরায়, মীর আবদুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, আতিকুর রহমান আতিক, নাসরিন জাহান রতনা এমপি, আব্দুর রশীদ সরকার, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, মজিবুর রহমান সেন্টু, ব্যারিষ্টার দিলারা খন্দকার, আলহাজ¦ শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান এমপি, রিন্টু আনোয়ার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, মেরিনা রহমান এমপি, সৈয়দ দিদার বখত, এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান, এড. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, সেলিম উদ্দিন এমপি, ড. আনোয়ার চৌধুরী জীবন, আলহাজ¦ আব্দুস সাত্তার মিয়া, এমএ তালহা, জিয়াউল হক মৃধা এমপি, মাহজাবিন মোর্শেদ এমপি, দেলোয়ার হোসেন, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, খন্দকার আব্দুস সালাম, এইচ এম এন শফিকুর রহমান, অ্যাড. শামসুল আলম মাস্টার, হাজী আবু বকর, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফুর রহমান খান, আলমগীর সিকদার লোটন, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, নুরুল ইসলমা নুরু, অধ্যাপক মহসিন-উল-ইসলাম হাবুল, আমানত হোসেন আমানত, সরদার শাহজাহান, শওকত চৌধুরী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, মেহেরুন্নেছা খান হেনা, শাহানারা বেগম এমপি, মামুনুর রশীদ এমপি, পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ এমপি, আমির হোসেন ভুইয়া এমপি, আকরাম আলী এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ইয়াহইয়া চৌধুরী এমপি, সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি এমপি, জহিরুল আলম রুবেল, মো. মহিবুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের ‘শক্তিমত্তার’ জানান দিতে সোহরাওয়ার্দীতে এরশাদ নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের এই মহাসমাবেশের আয়োজন। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে জাতীয় পার্টির এই মহাসমাবেশ কার্যত জনসমুদ্রে পরিনত হয়। এরমধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্য জানান দেয় দলটি। খুব সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে আসা নেতা-কর্মীরা সোহরায়ার্দী উদ্যানে অবস্থান নেয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে মিছিলের চাপ। নানা রং-বেরংয়ের ব্যানার, ফেস্টুন, আর নানা সাইজের লাঙল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে পার্টির উজ্জীবিত নেতা-কর্মীরা। বাদ্যের তালে তালে তালে নেচে-গেয়ে তরুনরা উৎসব মূখর করে তোলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যত মানুষ ছিলো তার’চে বেশি ছিলো মঞ্চের পেছনে এবং মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত। সারাদেশ থেকে মহাসমাবেশে আসা হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের সামনে আবেগে আপ্লুত হয়ে এরশাদ বলেন, আগামী নির্বাচন হয়তো হবে আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আমার জীবনটা উৎসর্গ করতে চাই।

ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার ২৭ বছরে নানা নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সব চেয়ে নির্যাতিত রাজনীতিবিদ আমি, কোন নেতা আমার মত নির্যাতন সহ্য করেনি। ৯০ সালের পরে একটি রাতও আতঙ্কে ঘুমাতে পারিনি। আতঙ্ক ছিলো কখন আবার জেলে যেতে হয়। আমি দেশের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে পৌছেছি। এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। আমার জীবন দেশ ও জাতির জন্য উৎসর্গ করলাম।

এরশাদ ১৮ দফায় প্রাদেশিক সরকার গঠন করে প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ, নির্বাচন পদ্ধতি ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার ও পুনর্গঠন এবং সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

এরশাদ বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে প্রাদেশিক সরকার করতে চাই। আমরা প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ করতে চাই। আমরা পূর্ণাঙ্গ উপজেলা পরিষদ গঠন করতে চাই। আমি নতুন ভাবে কর্মসূচী প্রণয়ন করেছি এটাই হবে মুক্তির পথ। এটাই হবে আমাদের ইশতেহার, প্রদেশিক সরকার গঠন করবো, নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করবো, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা প্রতিষ্ঠা করবো, সংখ্যালঘুদের জন্য আসন সংরক্ষণ হরবো, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো, ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা করবো, কৃষকের কল্যাণ সাধনে কাজ করবো, সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা করবো, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে কার্যকর ব্যবস্থা নেবো, ফসলি জমি নষ্ট না হয় সে ব্যবস্থা করবো, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো, শিক্ষা পদ্ধতির সংশোধন করবো, স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ করবো, শান্তি ও সহাবস্থানের রাজনীতি প্রবর্তন করবো, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো, গুচ্ছগ্রাম পথকলি ট্রাস্ট পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো, পল্লী রেশনিং চালু করবো, শিল্প ও অর্থনীতির অগ্রগতি সাধন করবো।

নব্বইয়ের পর অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচন ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ হয়েছে মন্তব্য করে এরশাদ আবার ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি ও মোট ভোটের অনুপাতে সংসদে দলের আসন বণ্টনের পক্ষে নিজের অবস্থানের কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জাতীয় জোট ক্ষমতায় গেলে ‘ধর্মীয় মূল্যবোধকে’ প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণে তাদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে। বিচার বিভাগের ‘স্বাধীনতা’ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

এরশাদ ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়া এবং জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, জোটগতভাবে নির্বাচন কবো। আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবো। তবে দেশের স্বার্থে সেই সিদ্ধান্ত বদল হতে পারে। এজন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টিই আবার ক্ষমতায় আসবে।

এরশাদ বলেন, এ মাসের মধ্যে আমরা পার্লামেন্ট বোর্ড গঠন করবো। আমরা জোটগতভাবে ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবো। হয়ত তা পরিবর্তন হতে পারে। সে জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সামনে আমাদের সুযোগ। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টি জয়ী হবে। সে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়াও চান সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, নির্বাচনের পাক্কালে এই মহাসমাবেশ। ২৭ বছর ক্ষমতায় নেই- তারপরও মানুষ মনে রেখেছে।

৯ বছরে যা করেছি- সেই উন্নয়নের চিহ্ন দেশ এখনো ধারণ করে আছে। গণতন্ত্রের জন্য ৯০ সালে তিন জোটের রূপরেখা অনসারে  সেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়েছি। তারপর ২৭ বছরে দেশের কী হাল হয়েছে।

এরশাদ বলেন, দেশের স্বার্থে রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হতে পারে। সময়ের দাবী মেনেই আমরা পথ চলবো। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, জেলায় ফিরে গিয়ে প্রার্থী বাছাই করতে হবে। যারা আগ্রহী তাদের দলীয় আবেদন সংগ্রহ করতে হবে। এ মাসের মধ্যেই পার্লামেন্টারী বোর্ড ঘোষণা করবো। তৃণমূলের সুপারিশ নিয়ে প্রার্থী চুড়ান্ত করবো। ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি গঠন করে জেলা কমিটির মাধ্যমে আমার কাছে জমা দিতে হবে। জোটের শরীকরাও তাদের প্রার্থী তালিকা জমা দেবে। দলের পরিচয়ের চেয়ে প্রার্থীর যোগ্যতা বেশী বিবেচনা করা হবে। তবে শেষ কথা হচ্ছে নির্বাচনের জন্য অবশ্যই সরকারকে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

উন্নয়ন ও শান্তির জন্য এরশাদের বিকল্প নেই : রুহুল আমিন হাওলাদার

পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করতে বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে কারাগারে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা এই ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই আজ দুর্নীতি মামলায় সাজাগ্রস্ত। তিনি বলেন, বিগত ২৭ বছর বহু উত্তাল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে, অত্যাচার নীপিড়নের মধ্য দিয়েও জাতীয় পার্টি স্বগৌরবে, বিশাল শক্তি নিয়ে এখন রাজনীতির ময়দানে বীরদর্পে টিকে রয়েছে। এর কারণ, এরশাদ শাসনামল ছিলো উন্নয়নের স্বর্ণযুগ। সেসময় ছিলোনা সন্ত্রাস, খুন-গুম ও জঙ্গীবাদ। মানুষের মাঝে উপলদ্ধি হয়েছে, দেশের উন্নয়ন ও শান্তি বজায় স্বার্থে এরশাদের বিকল্প নেই।

কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, দেশের মানুষ এবার এরশাদকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়। মানুষ মনে করে এরশাদের শাসনামলে তারা সুখে থাকবে। শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। মায়ের কোলে সন্তান নিরাপদে থাকবে। 


আরো সংবাদ



premium cement
বৃষ্টির জন্য রাজশাহীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় গাজীপুরে মহাসড়কের পাশ থেকে মৃত হাতি উদ্ধার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলির নিন্দা জামায়াতের রাজধানীতে তৃষ্ণার্তদের মাঝে শিবিরের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ রাজশাহীতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক গ্রেফতার এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা গাজার বালিতে আটকে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী : হামাস মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন : যা বলছে আওয়ামী লীগ মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্র্যাডম্যান বললেন আফ্রিদি

সকল