২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ড. কামাল সম্পর্কে যা বললেন জয়

সজিব ওয়াজেদ জয়। - ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোট করার মাধ্যমে ড. কামাল হোসেনের আসল চেহারা সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

সোমবার (১৫ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

জয় লিখেছেন, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোট করার মাধ্যমে কামাল হোসেনের আসল চেহারা সবার সামনে উন্মোচিত হলো।

ওয়ান-ইলেভেনের সময় সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার পেছনে ড. কামালের ভূমিকা ছিল উল্লেখ করে জয় লিখেছেন, ১/১১-এর সেনা সমর্থিত সরকার আনার পেছনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিল এই কামাল হোসেন। তার জামাতা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে লড়াই করে গেছেন অনেক বছর।

জয়ের হুবহু স্টাটাসটি তুলে ধরা হলো-

‘বিএনপি জামাতের সাথে জোট করার মাধ্যমে কামাল হোসেনের আসল চেহারা সবার সামনে উন্মোচিত হলো। তার এক জোটসঙ্গী বিএনপি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিরীহ মানুষদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছে। তার আরেক সঙ্গী জামাত মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণহত্যায় জড়িত ছিল। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমান আমার মা ও আওয়ামী লীগের উপর গ্রেনেড হামলার দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী; তাদের সভাপতি খালেদা জিয়াও দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একজন অপরাধী।

১/১১ এর সেনা সমর্থিত সরকার আনার পেছনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিল এই কামাল হোসেন। তার জামাতা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে লড়াই করে গেছেন অনেক বছর আর এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনবরত মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। কামাল হোসেন এর মেয়ে ও জামাতা উভয়ই বিদেশে বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বিদেশীদের বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করানোর উদ্দেশ্যে।

এই ধরণের মানুষদের উপর আমার বিতৃষ্ণা এসে গেছে। তাদের কোনো নৈতিকতা নেই, সততা নেই, নেই বাংলাদেশের জন্য কোনো ভালোবাসা। ক্ষমতার লোভে তারা দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের হাত মেলাতে পারে স্বাচ্ছন্দ্যে। তারা দেশপ্রেমিক নয়, তারা বাংলাদেশ বিরোধী।’

 

আরো পড়ুন: তারেক রহমান সম্পর্কে যা বললেন জয়

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১২ অক্টোবর ২০১৮


সজীব ওয়াজেদ জয় ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। - ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তারেক রহমানের নামে আবার নতুন করে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি করা উচিত। তাকে ফেরত দিতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ করাও উচিত বলেও মন্তব্য করেন সজিব ওয়াজেদ জয়।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার রায়ের পর বুধবার সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এ মন্তব্য করেন।


তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের শাস্তি দিতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে, বিচারে লেগেছে ৪২ বছর। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের নৃশংস হামলায় আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার পেতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে, লেগেছে ৩৪ বছর।আজ ১৪ বছর পরে, আমার মা ও আইভি রহমানসহ আমার আরো অনেক কাছের মানুষদের হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার পেতে যাচ্ছি আমরা।

আমাদের সরকারের উচিত এখনই তারেক রহমানের নামে আবার নতুন করে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি করা, এবার খুন ও সন্ত্রাসবাদের জন্য। তাকে ফেরত দিতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ করাও উচিত আমাদের।

যুক্তরাজ্যের সাথে আমাদের কোন বহিঃসমর্পন চুক্তি নেই। কিন্তু জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী অন্য কোন সদস্য দেশের অনুরোধে শাস্তিপ্রাপ্ত আসামীদের সমর্পন করতে পারে। যুক্তরাজ্য সম্প্রতি চারজন সন্দেহভাজন আইএস সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে জেনেও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে।’

আরো পড়ুন: শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন জয়

নয়া দিগন্ত অনলাইন , ০৪ আগস্ট ২০১৮


নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ অভিযোগ করেছেন একটি গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি আজকে বলেছে যে এটি সরকার পতনের আন্দোলনের শুরু’


শনিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্ট থেকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা লিখেছেন।

জয় লিখেছেন, ‘নিরাপদ সড়কের জন্য শিক্ষার্থীদের সকল দাবিই আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার মেনে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই বাস্তবায়নও শুরু করে দিয়েছে। পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া ছিল অত্যন্ত ধৈর্য ও সংবরণ এর সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে। তারপরেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে একটি গোষ্ঠী অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ও আগের ছবি পোস্ট করে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদেরকে তথাকথিত উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আজকে কোটা সংস্কারের তথাকথিত নেতারা এক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন, কোটা ইস্যুতে নয়, কোটা আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণের মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে। কোটা সংস্কারেরও সকল দাবিই আমাদের সরকার মেনে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।’

জয় তার স্টাটাসে আরো লিখেছেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে, নিজেদের দাবির জন্য জনসমর্থন হারিয়ে বিএনপি-জামাত এখন আবারও নাশকতা ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে শিক্ষার্থী ও তরুণদের বিভ্রান্ত করতে তারা তৎপর। কোটা ইস্যুর সমাধানের পরেও তাদের তথাকথিত নেতাদের এই কর্মসূচি দেখে আমি চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছি, তাদের সাথে বিএনপি-জামাতের অর্থনৈতিক কোনো সমঝোতা হয়নি তো? কারণ বিষয়টি কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষেরই ভোগান্তি বাড়ছে।’

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement

সকল