২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সভা বর্জন নিয়ে ইসি মাহবুবের বক্তব্য

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার - ছবি : সংগ্রহ

সোমবার সকালে শুরু হওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে তা বর্জন করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এরপর সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে তার নিজস্ব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করতে না দেয়ায় অপমানিত বোধ করেছেন যে কারণে `নোট অব ডিসেন্ট’ বা আপত্তি দিয়ে সভা বর্জন করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এমতাবস্থায় অনন্যোপায় হয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের এরূপ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট প্রদান করছি এবং এর প্রতিবাদস্বরূপ কমিশনের সভা বর্জন করছি।’

অবশ্য অন্য কমিশনারদের নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা সভা চালিয়ে যান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ প্রমুখ। মূলত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসি এই সভা করেছে।

সূত্র জানায়, সোমবারের সভায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মাহবুব তালুকদার সভায় ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। প্রেস বিফ্রিংয়ে ইসি মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশীদারমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে কতিপয় প্রস্তাবনা শিরোনামে আমি যা আলোচনা করতে চেয়েছিলাম, আমাকে নির্বাচন কমিশন সভায় তা উপস্থাপন করতে দেওয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘গত ৮ অক্টোবর ইসি সচিবালয় থেকে ইউও নোটের মাধ্যমে আমাকে আজকের সভায় তা উপস্থাপনার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। আমাকে আমার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করতে বলে তা না দেয়ায় আমি আপমানিত বোধ করেছি।’

‘নোট অব ডিসেন্টে’ মাহবুব তালুকদার লিখেছেন, ‘বাক প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান প্রদত্ত আমার মৌলিক অধিকার। নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই আমার এই অধিকার খর্ব করতে পারে না। এমতাবস্থায় অনন্যোপায় হয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের এরকম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছি এবং এর প্রতিবাদস্বরূপ নির্বাচন কমিশনের সভা বর্জন করেছি।’

মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কমিশন অংশীজনের সঙ্গে অর্থাৎ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে। এতে ৪০টি দল অংশ নেয়। এসব দলের প্রস্তাব ও সুপারিশ নিয়ে এখন পর্যন্ত কমিশনের বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। এ কারণে তিনি তা পর্যালোচনা করে কমিশনের সভায় উত্থাপন করার অনুরোধ জানান।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, নির্বাচনে নিরপেক্ষতা, নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সরকারের সঙ্গে সংলাপ-এই পাঁচটি বিষয়ে কমিশন সভায় কথা বলতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মাহবুব তালুকদার।

সেনা মোতায়েন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগের নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনীর মূল্যায়ন করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কীভাবে তাদের ব্যবহার করা যায়, তা ঠিক করতে হবে।’

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বিষয়ে এই কমিশনারের বক্তব্য, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে নির্বাচনে অনিয়মের পথ বন্ধ হয়। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না হলে তা গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশকে সমর্থন করে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশন দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে আলোচনা করতে পারে।’


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার

সকল