১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এই সরকার জনগণের ঐক্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে : বি চৌধুরী

বি. চৌধূরী - সংগৃহীত

যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, এদেশ থেকে চিরতরে দুর্নীতি বিদায় করে দেয়া হবে। আগামী বাংলাদেশ হবে সুখী সমৃদ্ধির বাংলাদেশ। তিনি বলেন,বাংলাদেশে একটি পরিবর্তন আনতে ইনশাল্লাহ কেউ রুখতে পারবে না।

বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর সহযোগী সংগঠন প্রজন্ম বাংলাদেশের উদ্যোগে রোববার বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি মাঠে ছাত্র-যুব সমাবেশ ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে বিকল্পধারা বাংলাদেশ’র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। এছাড়া অনুষ্ঠানে সংহতি জানাতে গিয়ে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি’দের মধ্যে শহীদুল হক জামাল ও অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ খান।

বি. চৌধুরী বলেন, এসরকার বলে থাকে তারা উন্নয়ণ করছে। কথা কথায় উন্নয়ণের ফিরিস্থি দিয়ে দেয়। বলা হচ্ছে ফ্লাইওভার বানিয়ে উন্নয়ন করছে। অথচ দেশে গণতন্ত্র নোই। গণতন্ত্র দিচ্ছে না তারা। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র চাই। উন্নয়ণও চাই।

তিনি বলেন, আর ভোট ছিনিয়ে নেয়ার পরিস্থিতি হবে না। কারণ তরুণ সমাজ জেগে উঠেছে। তাদের আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। তিনি উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এ কেমন গণতন্ত্র। উন্নয়নের কথা বলেন, গণতন্ত্রের কবর রচনা করছে তারা। নিজেরা যখন খুশী যেখানে সেখানে সভা সমাবেশ করবে অথচ অন্যদের বাঁধা দেবে।

তিনি বলেন, একটি দেশে এধরনের অবস্থা অগণতান্ত্রিক ,অব্যবস্থার নমুনা। এটা চলতে পারে না। তিনি বলেন, এদেশের মানুষ জনগণ। ভুলে গেলে চলবে না। তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের ঐক্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন,এভাবে জনগণের ঐক্যের বিরুদ্ধে কথা বলা শোভনীয় নয়। তিনি নির্বাচনের সময় প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার পরামর্শ দেন। তিনি আইন শৃংখলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আপনারা সবাই এদেশের সন্তান। তাই দয়া করে নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ থাকবেন। কোন ধরণের ভয়ভীতির মধ্যে থাকবেন না।

তিনি বলেন, এদেশ কোন দালালের হতে পারবে না। তিনি বলেন, কেউ দালালি করবেন না। দালালদের এদেশ থেকে চিরতরে উচ্ছেদ করা হবে। অপরদিকে তরুণদের উদ্দেশ্যে করে তাদেকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, তরুনরা ঐকবদ্ধ হলে কোন ষড়যন্ত্র কিছুই করতে পারবে না।

আরো পড়ুন : ঢাকার আগে তিনটি সমাবেশ করবে ১৪ দল 
নয়া দিগন্ত অনলাইন  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৩৪

ঢাকায় মহাসমাবেশ করার আগে রাজশাহী, নাটোর ও খুলনায় তিনটি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ১৪ দল আয়োজিত কর্মী সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি জানান, ৯ অক্টোবর রাজশাহী, ১০ অক্টোবর নাটোর ও ১৩ অক্টোবর খুলনায় ১৪ দল বিভাগীয় সমাবেশ করবে। তারপর নেত্রীর সাথে আলোচনা করে অক্টোবরে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে।


তিনি বলেন, ওরা বলেছে অক্টোবর থেকে মাঠে থাকবে। অক্টোবর তোমাদের জীবনে আসবে না। ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে মাঠ গরম করব। ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশ সঞ্চালন করেন ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক শাহে আলম মুরাদ।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, জেপি মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, বাংলাদেশ জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান প্রমুখ।

আরো পড়ুন : ডিসেম্বরে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন : গণপূর্ত মন্ত্রী
এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:২৮

জাতীয় ঐক্যের নামে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে গোপন আতাঁত করে কেউ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধিনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ষড়যন্ত করে কেউ সফল হবে না। শনিবার দিনব্যাপী উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিভিন্ন ইউনিয়নে ১১টি পথসভায় যোগ দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, মহামায়া সেচ প্রকল্প তৈরি, রাস্তাঘাটের স্থানীয় উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। দেশের উন্নয়ন ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিকল্প নেই। এতিমের টাকা মেরে খালেদা জিয়া এখন জেলে, আর খাম্বার টাকা মেরে তারেক এখন লন্ডনে। আবার যদি বাংলাদেশে বিএনপি জামায়াত এদেশে ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশ উন্নয়নশীল থেকে তলাবিহীন ঝুড়িতে রূপান্তরিত হবে। 

মন্ত্রী আরো বলেন ড. কামাল, বি চৌধুরীরা জাতীয় ঐক্যের নামে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে উন্নয়নের বিরুদ্ধে এক শ্রেণীর মানুষের প্রপাগান্ডা বাস্তবায়নের জন্য মাঠে নেমেছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিবে জনগণ। শেখ হাসিনার সরকার আগামী ১শ’ বছরের ডেলটা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে। যা এদেশ একদিন সিঙ্গাপুরে রূপান্তরিত হবে। নেতা-কর্মীদের উদ্যোশ্যে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে যেভাবে হোক নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। অন্যথায় বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে। বিএনপি-জামায়াতের জন্য মানুষ ঠিকমত ব্যবসা বানিজ্য করতে পারেনি। গত ১০ বছর নির্ভয়ে মানুষ ব্যবসা করছে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জোট সরকারের আমলে মিরসরাইয়ে ২৯টি লাশ পড়েছে। আগামীবার তারা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে শত শত লাশ পড়বে। 

গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, ‘আওয়ামীলীগ সরকার গত ১০ বছরে সারা দেশের যে উন্নয়ন করেছে অতীতের কোন সরকার তা করতে পারেনি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি ১’শটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় পৌঁছে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনকে প্রতিহত করার নামে আবারো জ্বালাও পোড়াও করার জন্য ষড়যতন্ত্র করছে। বদরুদ্দৌজা চৌধুরী আর ড. কামালকে নিয়ে এখন ঐক্যজোড় করেছে। যারা নির্বাচনে নিজেদের ছাড়া আর কারো ভোট পায় না। আর তাদের সাথে একত্র হয়েছে সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহা। নির্বাচনী সময়ে এদের দোসররা যাতে আ’লীগে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য তিনি নেতাকর্মীদের সর্তক থাকার নির্দেশ দেন।’

রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম বলেন, ‘ডিসেম্বরের নির্বাচনে আ’লীগকে যদি পুনরায় নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করা না যায় তাহলে দেশে পুনরায় সাম্প্রদায়িক হামলা শুরু হবে। বিএনপি-জামায়াত দেশের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দিয়ে লুটপাট শুরু করে দেবে। আ’লীগ-ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ কাউকে বাড়ি থাকতে দিবে না। তাই দলীয় সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে।’

শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের করেরহাট বাজার থেকে পথসভা শুরু হয়ে নির্বাচনী পথসভা বারইয়ারহাট পৌরসভা, ধুম ইউনিয়নের বাংলাবাজার, জোরারগঞ্জ বাজার, আজমপুর বাজার, বামনসুন্দর বাজার, সুফিয়া বাজার, আবুতোরাব বাজার, সাহেরখালী বাজার, দমদমা বাজার, ছোট কমলদহ বাজারে গিয়ে শেষ হয়। পথসভায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আনোয়ার বাহার চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ, বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন ভিপি, মিরসরাই পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও করেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোস্তফা মানিক, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাসেল ইকবাল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসাইন প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement