২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ড. কামালের বাসায় আজ জাতীয় ঐক্যের নেতাদের বৈঠক

জাতীয় ঐক্যের অন্যতম উদ্যোক্তা ড. কামাল হোসেন। - ছবি: সংগৃহীত

বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যকে এগিয়ে নিতে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধ্যাপক ডা: এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট এবং ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। দুই জোটের শরিকদলগুলোর নেতাদের নিয়ে গঠিত হবে এই কমিটি। যৌথভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়নসহ সাংগঠনিক বিষয়াদি দেখভাল করবে এরা।

সোমবার মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের মধ্যে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব:) আবদুল মান্নান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন এবং নাগরিক ঐক্যের ডা: জাহিদুল ইসলামকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হতে পারে। আজ মঙ্গলবার ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় দুই পক্ষের বৈঠকে এটি চূড়ান্ত করা হবে।

এ দিকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ‘নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকারের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

এদিকে, বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন পরোয়ানা ছাড়া যেকোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে ক্ষমতা দেয়াসহ যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানান। এর পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানায়। গতকাল ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের সাথে এক সভা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সাংবাদকিদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল হোসেন জানান, বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে নীতিগত আপত্তি নেই এমন বক্তব্য তিনি দেননি। ওই সংবাদমাধ্যমে বক্তব্যটি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি বলেও জানান তিনি।

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও এই বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, তানিয়া রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতিদের মধ্যে মফিজুল ইসলাম খান কামাল ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের শহিদুল্লাহ কায়সার, ডা: জাহিদুর রহমান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, গণফেরামের কেন্দ্রীয় নেতা মফিজুল ইসলাম খান কামাল, আওম শফিকউল্লাহ, মোস্তাক হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।

আরো পড়ুন: জাতীয় ঐক্যের মঞ্চ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:১৫


জাতীয় ঐক্যের মঞ্চ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার পূর্ব শর্ত হিসাবে বেগম খালেদা জিয়া সহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি না দিলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। 

শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন। মান্না বলেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। যে সরকার গঠন হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে।

নির্বাচনে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি কামনা করে মান্না বলেন, সেনাবাহিনীই পারে জনমনে অাস্থা ফিরিয়ে আনতে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলেও মত দেন তিনি। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চেয়ে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি।

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালন করছেন ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন।

সমাবেশে উপস্থিত আছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, আব্দুল মঈন খান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান নূর হোসেন কাশেমী প্রমুখ।

আরো পড়ুন : মঞ্চে ড. কামাল-মির্জা ফখরুলসহ সিনিয়র রাজনীতিবিদরা
নিজস্ব প্রতিবেদক ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:০২

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশ শুরু হয়েছে। বিকাল তিনটার কিছু পরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে এ সমাবেশ শুরু হয়।

মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মঈন খান। এছাড়া উপস্থিত আছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ঢাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান মনসুর আহমেদ, জাসদ (রব) সভাপতি আ স ম রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিপুল নেতাকর্মী।

কার্যকর গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এ নাগরিক সমাবেশ করছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর।

এদিকে, সমাবেশে আগত বিএনপি নেতাকর্মীদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

মাসখানেক আগে যুক্তফ্রন্ট (বিকল্পধারা, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য) এবং গণফোরাম জাতীয় ঐক্য ইস্যুতে একমত হওয়ার পর থেকেই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। পর্দার আড়ালে বিএনপির সাথেও জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া নিয়ে এক ধরনের সমঝোতায় পৌঁছান ড. কামাল হোসেন। বাম ঘরানার আরো বেশ কিছু দল জাতীয় ঐক্যে যুক্ত হওয়ার বিষয়টিও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বৃহত্তর ঐক্য গঠনে জড়িত অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর সব দাবি মেনে নিতে সম্মত হয়েছে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যমঞ্চের ব্যানারে অভিন্ন দাবি নিয়ে এখন রাজপথে নামতে চায় দলটি।

যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া যৌথভাবে তাদের যে দাবি ঘোষণা করেছে, সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি তারা চাননি। বিএনপি নেতারা বলছেন, এটা কোনো সমস্যা নয়। ঘোষণার আগে এ নিয়ে তাদের সাথে বিএনপির কথা হয়েছে। এখন সবার বক্তব্য হচ্ছে, বর্তমান ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ও নিরপে নির্বাচন যেমন সম্ভব নয়, তেমনি শেখ হাসিনার সরকার মতায় থাকলে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়াও সম্ভব নয়। যেহেতু সবার সুর একই, তাই বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট নেতাদের জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি তারা না চাইলেও জাতীয় ঐক্য গড়তে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলে যুক্তফ্রন্ট বা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের কোনো বাধাও থাকবে না।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা কয়েকদিনে একাধিকবার বৈঠক করেছেন বৃহত্তর ঐক্য গঠন নিয়ে। জানা গেছে, এই ঐক্যের নেতা কে হবেন তা নিয়েও দলটি আলোচনা করেছে। যুক্তফ্রন্টে থাকা তিনটি দল এবং গণফোরামসহ অন্যান্য দল সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রহণযোগ্য কাউকে মনোনীত করলে বিএনপির তাতে আপত্তি থাকবে না।

ড. কামাল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, নেতৃত্ব নির্ধারণ হবে যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে। আর যেখানে অনেক রাজনৈতিক দল থাকবে, সেখানে দলীয় নেতৃত্ব থাকবে। কোন দল থেকে কে নেতৃত্ব দেবেন, সেটা সংশ্লিষ্ট দল ঠিক করবে। এটি একজন বা দু’জন করে হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল