২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এই অধিকার কে দিয়েছে আপনাদের, সরকারকে বি. চৌধুরীর প্রশ্ন

রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী - নয়া দিগন্ত

সরকারের কাছে অনেক ‘কেন’র উত্তর চেয়েছেন যুক্তফ্রণ্ট চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।  শনিবার জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব প্রশ্ন করেন। রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিকেলে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বি.চৌধুরী বলেন, এক মাস আগে দেশের বাইরে থেকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের দেশে আসার অনুমতি দিতে হবে। এর পাশাপাশি জাতিসংঘ থেকে তাদের একশ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠাতে হবে। তারা দু’একদিন থেকে নয় এক মাস আগে থেকে বাংলাদেশে নির্বাচন পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করবে।

সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করতে একমাস আগে থেকেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন,সেনাবাহিনী শান্তি মিশনে বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। দেশের শান্তির জন্য কেন তারা কাজ করবে না? সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের একমাস আগেই নামাতে হবে।

বি চৌধুরী তার বক্তব্যে এই সরকারের কাছে জণগণের প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এতে তিনি বলেন, যে স্বাধীনতা আনতে লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মা-বোনকে ইজ্জত দিতে হয়েছে, এর মূল্যবোধ কোনো পদদলিত? এই প্রশ্ন জনগণের এই সরকারের কাছে।

তিনি বলেন, দিন-রাত প্রতিটি ঘন্টা নিয়ে, আতঙ্কে কেন থাকবে মা-বোনেরা, শঙ্কায় থাকবে গুম, রাহাজানি নিয়ে, কেন পুলিশ, র‌্যাব, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের ছাড় দিবে? কেন ঘুষ দুর্নীতিকে ‘স্পীড মানি’ বলে সরকারিকরণ করা হলো? সমস্ত জাতির নৈতিকতাবোধকে পদদলিত করা হলো? এই অধিকার কে দিয়েছে আপনাদের।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে কঁচি-কিশোরদের রাস্তায় নামতে হবে কেন, কেন, কেন? কেন কোটা সংস্কারের পক্ষে আমাদের আদরের ধন মেধাবী ছাত্রদের কেন আন্দোলন করতে হবে? মেধাবী ছাত্রদের কি অপরাধ? কেন তাদের গুন্ডা দিয়ে, হাতুড়ি, চাপাতি দিয়ে আক্রমণ করা হবে, এর জন্যই কি স্বাধীনতা? কেন আপনাদের অপরাধের প্রতিবাদে কথা বলার জন্য সভা-সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি নিতে হবে? অথচ আপনারা যখন, তখন, যত্রতত্র সভা সমাবেশ করতে পারেন। কেন, কেন? কেন আমার ভোট আমি দিতে পারবো না? ভোটের অধিকারকে কেনো দলীয়করণ করা হলো। সারা পৃথিবীতে ইভিএম পরিত্যাক্ত, ইভিএম কেউ চায় না। কেন আপনাদের সুবিধার জন্য ইভিএম গ্রহণ করতে হবে? কেন সরকারি  কর্মচারিদের দলীয়করণ করা হলো? কেন তাদের সবসময় ভয়ভীতির মধ্যে রাখা হচ্ছে, কেন , কেন?

বি চৌধুরী তার বক্তব্যে আরো বলেন, কেন স্বাধীন দেশের মা-বোনদের ও শিশুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে, কেন, কেন? আমাদের রাষ্ট্র তুমি কোথায়? আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গী আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র কোথায়? কেন গঙ্গার পানি পাবো না, কেন বন্ধু রাষ্ট্র তিস্তার পানি দিবে না, কেন, কেন, কেন? এখন রুখে দাঁড়ানোর সময়, এখন অধিকার আদায়ের সময়।

তিনি বলেন, প্রতিবাদের কণ্ঠ ধারালো করতে হবে। গণতন্ত্রের স্বপক্ষ শক্তির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একটি স্বেচ্ছাচারী, গণতন্ত্রবিরোধী সরকার গত ১০ বছরে যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, এমনি আবারো একটি অনুরূপ সরকারের ঝুঁকি আমরা নিতে পারি কি? সংসদে, মন্ত্রিসভায়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করতেই হবে। না হলে স্বেচ্ছাচারমুক্ত বাংলাদেশের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করা যাবে না।

সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন,  আমার পবিত্র স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, আমার পবিত্র পতাকার বিরুদ্ধে, লক্ষ , লক্ষ মানুষের রক্তে ভেজা, লক্ষ মানুষের চোখের পানিতে ভেজা এই মাটির বিরুদ্ধে যারা ছিল, যারা আছে তাদের সাথে ঐক্য করবো না। শুধুমাত্র স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে সাথে নিয়ে ভারসাম্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য বেগবান হতে পারে। আমরা বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি এবং বিএনপির সাথে আলোচনা করছি। আশা করি ফলপ্রসূ হবে। তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আমারা সবাই ইতিবাচক স্বপ্নে জেগে উঠতে চাই। স্বপ্নভঙ্গের অধ্যায় রচনা করার জন্য নয়।


আরো সংবাদ



premium cement
কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে, নিহত ৪৫, বাঁচল একটি শিশু ইসরাইলের রাফা অভিযান পরিকল্পনা স্থগিত এগিয়ে নিয়ে গিয়েও জেতাতে পারলেন না ত্রিস্তান

সকল