২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সন্ধ্যায় বামজোট - যুক্তফ্রন্ট বৈঠক 

সন্ধ্যায় বামজোট- যুক্তফ্রন্ট বৈঠক  - সংগৃহীত

রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাথে বৈঠকে বসবে বি চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবি’র কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

যুক্তফ্রন্টের নেতা জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন নয়া দিগন্তকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৈঠকে জেএসডি আ স ম আব্দুর রব, বিকল্প ধারা নেতা মাহী বি চৌধুরীসহ নাগরিক ঐক্য নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। 

আরো পড়ুন : বাম গণতান্ত্রিক জোটের ইসি ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা পুলিশের
নিজস্ব প্রতিবেদক ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:২৭

বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি কাওরান বাজার মোড়ে আটকে দিয়েছে পুলিশ। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতসহ বাম গণতান্ত্রিক জোট কর্তৃক তাদের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে ঢাকাসহ সারাদেশে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। 

বৃহস্পতিবার বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের জন্য জাতীয় প্রেসকাবের সামনে থেকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মৎস্য ভবন, শাহবাগ, বাংলা মটর হয়ে কাওরান বাস ক্রস করতে গেলেই সেখানে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। এখানে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্চও করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে কাওরান মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুখে ঘেরাও মিছিলের আগে এক সমাবেশে সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সরকার যেন যেনভাবে নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তারা জানে না জনগণ এটা আর বরদাশত করবে না। তিনি বলেন, জনগণ ম্যাজিক নির্বাচন দেখতে চায় না। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন,গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ অঅহমদ.ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক বক্তব্য রাখেন।

আরো পড়ুন : চলতি মাসেই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা
মঈন উদ্দিন খান ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৪২

চলতি মাসেই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা আসছে। এ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আবারো মতবিনিময় করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। একই সাথে এই ঐক্যের প্রধান কে হবেন, তা নিয়েও আলোচনা করেছে দলটি।
গত রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে থাকা দলটির এক নেতা জানান, বিএনপি অনেক দিন থেকেই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য নিয়ে কাজ করছে। এটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। চলতি মাসে যেকোনো দিন এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে। এ জন্য যে ল্য ও উদ্দেশ্য তা-ও লিখিত আকারে তৈরি করা হয়েছে। এটি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।


দলের ওই নেতা আরো বলেন, বৃহত্তর এই ঐক্যের প্রধান কে হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে যুক্তফ্রন্টে থাকা তিনটি দল, গণফোরামসহ অন্য দলগুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রহণযোগ্য কাউকে মনোনীত করলে বিএনপির তাতে আপত্তি থাকবে না বলেও মনে করে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এ েেত্র বিকল্পধারার সভাপতি ডা: এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বা গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মধ্যে কেউ হলে তা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হতে পারে।

বৈঠক সূত্রগুলো আরো বলছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফেরার পর ড. কামাল হোসেনের সাথে একান্তে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে বিএনপি সরকারের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ড. কামাল ওই প্রস্তাবগুলো ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন।
গত রাত পৌনে ৮টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এসব বিষয় ছাড়াও দলের চেয়ারপারসনের মামলা, তার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে কী ধরনের নতুন কর্মসূচি দেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্ব শর্ত হিসেবে সাত দফা চূড়ান্ত করেছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-


নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জাতীয় সংসদ বাতিল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।

দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফল চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা ও নতুন কোনো মামলা না দেয়ার নিশ্চয়তা, পুরনো মামলায় কাউকে গ্রেফতার না করা, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিার্থীদের আন্দোলন, সাংবাদিকদের আন্দোলন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে স্বাধীন মতপ্রকাশের অভিযোগে ছাত্রছাত্রী, সাংবাদিকসহ সবার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির নিশ্চয়তা।

সরকারের পদত্যাগ ও সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনাসাপেে নির্বাচনকালীন নিরপে সরকার প্রতিষ্ঠা করা। সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনাক্রমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেণে তাদের ওপর কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ না করা। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেসি মতাসহ সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার বিধান নিশ্চিত করা।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল