২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিগগিরই নতুন কর্মসূচি আসবে : মওদুদ

বিএনপি
মওদুদ আহমদ - ফাইল ছবি

সুষ্ঠু নির্বাচনসহ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন কর্মসূচি দেবে বিএনপি। আজ বুধবার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এই কথা জানান।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ায় হওয়ার কথা কিছুটা ভুলে যেতে হবে। তার মুক্তির একমাত্র পথ হলো রাজপথ। এই রাজপথে এর মোকাবিলা করতে হবে, রাজপথের মাধ্যমেই তার মুক্তি আমাদেরকে অর্জন করতে হবে। আমরা এজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। নতুন করে কর্মসূচি দেয়া হবে। সেই কর্মসূচির সঙ্গে আমাদের আগামী দিনে রাজনীতি জড়িত, আমাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া জড়িত, গণতন্ত্রের ফিরি পাওয়া জড়িত, বিচার বিভাগের ফিরে পাওয়া জড়িত।

নতুন কর্মসূচি সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে সৃষ্টি করে আজকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষের জন্য অন্য কোনো পথ নাই। ১৬ কোটি মানুষের মুক্তি এখন নির্ভর করছে এই জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আন্দোলনকে সফর করা। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলন সমবেত হই, এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ আপামর সাধারণ জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করে এই আন্দোলন সফল করব।

আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তিতে নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে সরকারের হস্তক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেন সাবেক আইনমন্ত্রী।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির রিয়াজুল ইসলাম রিজু, মিয়া মো: আনোয়ার, ফখরুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরো পড়ুন :
শিগগিরই দেশের অনেক কিছুর পরিবর্তন হবে : মওদুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আগামী এক মাসে দেশের অনেক কিছু পরিবর্তন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেছেন, সময় আর বেশি দেড়ি নাই, সময় ফুড়িয়ে আসছে।বিরাট চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আমরা কিভাবে জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবো সেটির চ্যালেঞ্জ।আর এক মাস সময় আছে।এই সময়ের মধ্যে দেশের অনেক কিছুর পরিবর্তন হবে। আমাদেরকে এমন প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে এই সরকারকে বাধ্য করা যায় নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘ভোটাধিকার- ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার : বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব আ স ম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। ১৪ দল ছাড়া সবাই ঐক্যমতে পৌঁছেছে। সবার দাবি একটাই নিরপেক্ষ নির্বাচন।

কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের ঘটিত মেডিকেল বোর্ড গঠন প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয় দাবি করে তিনি বলেন, বেগম জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। যারা তাকে দেখে এসেছেন তাদের বর্ণনা শুনলে চোখে পানি এসে যায়। আমরা তার চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছি তিনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করলেও কথা অনুযায়ী কাজ করেননি। যাদেরকে নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে তারা সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগার।

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে ছলছাতুরী করা হচ্ছে তার জবাব একদিন দিতে হবে। অবিলম্বে তার চিকিৎসার জন্য নতুন বোর্ড গঠন করা হোক।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা না রাখার সরকার গঠিত কমিটি যে সুপারিশ করেছে তার সমালোচনা করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম বুঝতে পেরেছে আওয়ামী লীগ কেমন রাজনৈতিক দল। এটাও একটা প্রতারণা। এর আগেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। প্রতারণার জন্য আগামী নির্বাচনে নতুন প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে আর ভোট দিবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরো পড়ুন :
অতি দ্রুত দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে : মওদুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ১০ আগস্ট ২০১৮
সরকার পরিবর্তনের শেষ সময় এসে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যাস্টিার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আমি অনেক দিন আগে একটি কথা বলেছিলাম, অতি দ্রুত দেশের রাজনৈতিক চিত্র পরিবর্তন ঘটতে থাকবে। কখন, কোথায়, কী ঘটবে আমরা কেউ তা জানি না। সময় এসেছে সক্রিয় ঈমানি ভূমিকা পালন করার। সবাই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক নির্যাতন এবং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা কেন?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আরো বক্তৃতা করেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শোয়াইব আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, কৃষকদল নেতা শাজাহান মিয়া সম্রাট, গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ভিপি ইব্রাহিম, জিনাফ সভাপতি মিয়া মো: আনোয়ার, ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলাতানা রুমা, যুবদল নেতা কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।

মওদুদ আহমদ বলেন, প্রকৃতির আইন নিজস্ব গতিতে চলে। কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং স্কুল শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের কথা আমরা দু’সপ্তাহ আগেও ভাবিনি। আসলে কখন কি ঘটবে তা আমরা জানি না।

তিনি বলেন, সবকিছু দেখে মনে হয় দেশে কোনও সরকার নেই। পুলিশ আছে, র‌্যাব আছে, কিন্তু কোনও সরকার নেই। রাজধানীতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা করা হলো, কারা হামলা করেছে আমরা সবাই জানি কিন্তু কোনও গ্রেফতার নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকা চলে গেল, সোনা চুরি হলো, কয়লা চুরি হলো, পাথর চুরি হলো, কঠিন শিলা চুরি হলো, কিন্তু একজনকে গ্রেফতার করা হয়নি। দেশে সরকার থাকলে এগুলো হওয়ার কথা নয়।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, নির্বাচন কমিশনার সরকারের তল্পিবাহক। কিন্তু বিবেকের তাড়নায় একটি সত্য কথা বলে ফেলেছেন, আগামী নির্বাচনে অনিয়ম যে হবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তার এই বক্তব্যের পরেই অন্য কমিশনাররা দ্বিমত পোষণ করেছেন। এরপরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আর নিজের পদে থাকার কোনও অধিকার থাকতে পারে না। আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছি।

সাংবাদিকদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অনেক সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু এরপরে শহিদুল আলমের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে এটা অকল্পনীয়। সরকার একদম বেপরোয়া হয়ে গেছে। সরকার বুঝতে পেরেছে জনগণের সাথে তাদের সম্পর্ক আর নেই। জনগণ থেকে তারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই উপলব্ধি আজকে তাদের মধ্যে এসেছে বলেই তারা হিংস্র ও নিষ্ঠুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন পরিবহন আইন একটি প্রতারণা মন্তব্য করে তিনি আটককৃত ২২ ছাত্রকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।

শওকত মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় দুই দিনে ৪২ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গণমাধ্যমে সেন্সরশীপের কারণে গুজব ছড়িয়েছে। শহিদুল আলমের উপর যে নির্যাতন হয়েছে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। দেশে অতিদ্রুতই আন্দোলন শুরু হবে মন্তব্য করে তিনি এ জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান।


আরো সংবাদ



premium cement