২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সংসদ থেকে ছুটি নিলেন গুরুতর অসুস্থ সৈয়দ আশরাফ 

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম - সংগৃহীত

গুরুতর অসুস্থ হয়ে ব্যাংককের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাতীয় সংসদ থেকে ৯০ কার্যদিবস ছুটি নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার থেকে এই ছুটি কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে তার পক্ষে ছুটির আবেদনটি উত্থাপন করেন প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী ছুটির আবেদনটি পড়ে শুনানোর পর তা হ্যাঁ/না ভোটে দিলে হ্যাঁ ভোট জয়ী হয়।

স্পিকার বলেন, সংসদ কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৯ এর ২ বিধি অনুসারে কোনো সংসদ সদস্যের অনুপস্থিতির ছুটি মঞ্জুরের আবেদন পাস করে শুনানিসহ বিতর্ক ব্যতিরেকে ভোটে দেয়ার বিধান রয়েছে। তিনি বলেন, অতীতের রেওয়াজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, প্রথম জাতীয় সংসদের ২১.১.১৯৭৪, ১৩.৬.১৯৭৪, ২৬.৬.১৯৭৫ এবং নবম জাতীয় সংসদের ১৮.৩.২০১২ ও ৫.৬.২০১৩ তারিখে সংসদের বৈঠকে কয়েকজন সদস্যের অনুরুপ ছুটির নজির রয়েছে।


এমপিদের উদ্দেশ্য করে স্পিকার বলেন, আপনারা সংসদ সদস্য জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছুটি মঞ্জুরের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে পারেন। আমি এখন বিধি অনুযায়ী মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে চিফ হুইপের আনীত পত্রটি পড়ে শুনাচ্ছি।

পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। জানা গেছে, গতকালও তার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তার চিকিৎসায় আরও অনেক দিন লাগবে। তার ছুটির আবেদনটি পড়ে শোননোর পর স্পিকার তা হ্যাঁ/না ভোটে দিলে হ্যাঁ ভোটে তা মঞ্জুর হয়।

আরো পড়ুন : বিএনপির কাছে কাদেরের তিন প্রশ্ন
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৫৭

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃত্বের কাছে তিন প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন। সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য অনলাইন স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্ধোধনকালে তিনি এই প্রশ্ন রাখেন। সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘গৌরব ৭১’, ‘কানাডা আওয়ামী লীগ অল ওভারসিস বাংলাদেশি’, ‘মুভমেন্ট ফর ডিপারটেশন অব কিলার নুর চৌধুরী টু বাংলাদেশ’ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপু মনি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি বার বার একই প্রশ্ন করছি বিএনপির নেতৃত্বের কাছে; বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, সেই খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে কেন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, কেন এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে বাংলাদেশের লাখো শহীদের রক্তের আখরে রচিত সংবিধান পরিবর্তন করে পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছি? হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে। এই প্রশ্নের জবাব বিএনপি আজও দেয়নি। আমি আবারও সেই প্রশ্নের জবাব চাচ্ছি।

আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশের একজন জেনারেল সেনাপাতি জিয়াউর রহমান, মেজর ডালিমের সঙ্গে দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য করেছিল ‘ওয়েল ডান, মেজর ডালিম; কনগ্রাচ্যুলেশন।’ তার অর্থটা কি? এই হত্যাকান্ডের পেছেনে তিনিও আছেন নেপথ্যে। যে খুনিদের আজকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা কূটনৈতিক প্রয়াস এমনকি মামলা পর্যন্ত করতে হচ্ছে সেই খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়ে গিয়েছিলেন কে? জিয়াউর রহমান। 

এই খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন কে? জিয়াউর রহমান। এই খুনিদের বিচার হবে না এই মর্মে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন কে? জিয়াউর রহমান? এবং এই খুনিদের বিচার কাজ বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পঞ্চম সংশোধনীতে আমাদেও সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন কে? জিয়াউর রহমান।
আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কাজ শেষ হয়েছে এবং হত্যাকারীদের অনেককে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে আমারা জানা মতে ছয়জন খুনি বিদেশে আছেন। 

এদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী, নূর চৌধুরী, ডালিম, শুধু আজিজ পাশা মারা গেছেন। মাজেদ মোসলেম এই কজন এবং রশীদ এই ছয়জন বিদেশে আছেন। এই ছয়জনকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরদার হচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন খুনি রাশেদ চৌধুরী, তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও আমাদের সহযোগিতা করছে। 

সেখানে একটা মামলা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। তেমনি নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পিটিশন দেওয়ার লক্ষ্যে এখানে সাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচি এর শুভ উদ্ধোধন হচ্ছে। নূর চৌধুরীর ব্যাপারে কানাডার একটি আইন আছে সেটা হলো কাউকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিধান সেদেশের আইনে নেই। এই কারণে আইনটিকে শিথিল করে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কানাডায় একটি মামালাও বাংলাদেশ সরকার করেছে এবং সেখানে আলাপ আলোচনা অব্যাহত আছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল