১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাতিসঙ্ঘে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছি : মির্জা ফখরুল

স্থায়ী কমিটির বৈঠক জাতিসঙ্ঘে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছি : মির্জা ফখরুল - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা জাতিসঙ্ঘের কাছে তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত রাতে স্থায়ী কমিটির সাথে বৈঠকের পর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘের কাছে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলেছি। তারা এ ব্যাপারে যা কিছু জানতে চেয়েছেন সেগুলো আমরা জানিয়েছি। বর্তমানে গণতন্ত্র যে হুমকির মুখে সে বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের মনোভাব কেমন প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আলোচনা করেছি, সব কিছু বলেছি। ওনারা বিষয়গুলো দেখবেন বলে জানিয়েছেন। 

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে তার সফর হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা পরিষ্কার যে, জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। যেহেতু কফি আনান (সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল) সাহেবের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান ছিল, উনি (বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল) চলে গিয়েছিলেন। আমরা জাতিসঙ্ঘের যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, তার সাথে কথা বলেছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, জাতিসঙ্ঘের যে চার্টার আছে সেই চার্টারের মধ্যে পরিষ্কার বলা আছে, সদস্য দেশের সরকার, বিরোধী দল, রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও সংগঠনের যে কেউ তাদের যেকোনো বিষয় বিশ্ব সংস্থায় উত্থাপন করতে পারে।

লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে সাাৎ হয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে আমার লন্ডনে দেখা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক হয়। বৈঠকে ড. মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি মহাসচিব কথা বলার সময়ে প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন। 
বিএনপি মহাসচিব গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে এবং শুক্রবার ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়টি স্থায়ী কমিটির সদস্যদের অবহিত করেন।
মির্জা ফখরুল নিউ ইয়র্ক সফর শেষে লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সাথে দেখা করে দেশে ফিরেছেন।

আরা খবর :

কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা আসছে : নজরুল ইসলাম

দলের নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘বিএনপি দুর্বল হয়ে গেছে, আর কিছু করতে পারবে না’ এটা মনে করার কোনো কারণ নাই। আপনারা হতাশ হবেন না, নিরাশ হবেন না। আপাতত সাবধানে থাকেন, আন্দোলন সংগ্রাম সামনে আসছে, তখন যেন সেই সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারেন।’

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এই সভার আয়োজন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দ। এতে সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এবং শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি মামুনুর রশীদ শান্ত। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা ও শাবিপ্রবির সাবেক আহ্বায়ক সরদার মো: জাহাঙ্গীরের সঞ্চালানায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি এস এস সুলতান, সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান মিঠু, বর্তমান কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নাজমুল হাসান, আবদুল ওহাব, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বাকশালে বিশ্বাস করি না যে আর কাউকে রাজনীতি করতে দেবো না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি; আমরাও রাজনীতি করবো, আপনিও করবেন। সমান সুযোগ থাকবে সবার। জনগণের কাছে আমরা যাব, আপনিও যাবেন। কিন্তু আপনি আমাদের রাজনীতিই করতে দিতে রাজি না। আমাদের নেত্রীকে জেলে রাখবেন, নেতাকে বিদেশে থাকতে বাধ্য করবেন এবং মিটিংয়ের অনুমতি দিবেন এমনভাবে যেন পুলিশ দিয়ে নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়ার পথে গ্রেফতার করতে পারেন। এটা ভালো রাজনীতি না, এটা বন্ধ করুন।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দেশের মানুষ গত প্রায় ১০ বছরে যেভাবে নির্যাতিত, অত্যাচারিত, বঞ্চিত হয়েছে তাতে তাদের মধ্যে ােভের সৃষ্টি হয়েছে। বিরাট কোনো বারুদের স্তূপ কারো কোনো তি করতে পারে না, যে পর্যন্ত না তাতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ নিপে করা হয়। আজকে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের অন্তরে বারুদের স্তূপ জমেছে, যা বিস্ফোরিত হওয়ার অপোয়। সেটা কখন কিভাবে বিস্ফোরিত হবে বা করা যাবে তা সময়ই বলে দিবে।


আরো সংবাদ



premium cement