২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বেগম জিয়া’র সুচিকিৎসা নিয়ে উদ্বিগ্ন ১১০১ চিকিৎসক

বেগম জিয়া’র সুচিকিৎসা নিয়ে উদ্বিগ্ন ১১০১ চিকিৎসক। ছবি - সংগৃহীত

তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র শারীরিক অবস্থা নিয়ে সরকার কর্তৃক মেডিকেল বোর্ড যে স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহনযোগ্য হয়নি বলে সোমবার দেশের এক হাজার ১০১ চিকিৎসক এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে চিকিৎসকেরা বলেন, ‘একদিকে মেডিকেল বোর্ড বলছে বেগম খালেদা জিয়া ততটা অসুস্থ নন আবার তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সুপারিশ করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া ততটা অসুস্থ না হলে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ কেন করলেন?’

বিবৃতিতে চিকিৎসকেরা বলেন, পূর্বেই সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের রাজনৈতিক পরিচয় ও সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কথা উঠেছিল। সরকার বারবারই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী চিকিৎসা ও বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা না করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। এতে করে জনগনের মধ্যে এই ধারণা প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে যে জেলখানায় চিকিৎসা না দিয়ে জনপ্রিয় এই নেত্রীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে চিকিৎসকেরা বলেন, ইতোপূর্বে অধ্যাপক ডা: এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেশবাসীর সামনে তার সঠিক চিত্র তুলে ধরেছিলেন এবং তাকে তার পছন্দমত ও বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু সরকার তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় আজ তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়েছে। তিনি অন্যের সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারেন না, হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। অথচ তিনি জেলে যাওয়ার আগে নিজে একা একা হাটাচলা করতে পারতেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে পারতেন। কারাগারের এই নি:সঙ্গতা তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে এবং জটিল আকার ধারণ করেছে।

আমরা চিকিৎসক সমাজ মনে করি তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতন্ত্রের নেত্রীকে বাঁচাতে হলে তার উপর নিষ্ঠুর আচরণ বন্ধ করতে হবে এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মাধ্যমে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার পছন্দমত বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সুব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকারকেই বহন করতে হবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- অধ্যাপক ডা: মবিন খান, অধ্যাপক ডা: আব্দুল বায়েছ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডাঃ সিরাজউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল মান্নান মিয়া, অধ্যাপক ডাঃ মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ডাঃ এ কে এম আজিজুল হক, অধ্যাপক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ডাঃ মতিউর রহমান মোল্লা, অধ্যাপক ডাঃ এ এস এম এ রায়হান, অধ্যাপক ডাঃ ফিরোজা বেগম, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ডাঃ খাদিজা বেগম, অধ্যাপক ডাঃ এ কে এম ফজলুল হক, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, অধ্যাপক ডাঃ শাহাবুদ্দিন, অধ্যাপক ডাঃ রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ডাঃ সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ডাঃ মঈনুল হাসান সাদিক, অধ্যাপক ডাঃ আজিজ রহিম, অধ্যাপক ডাঃ রফিকুল কবির লাবু, অধ্যাপক ডাঃ হরুন অর রশিদ, ডাঃ আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ডাঃ. আশরাফ উদ্দিন, ডাঃ সাইফুল ইসলাম সেলিম, অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন, অধ্যাপক ডাঃ শামিমুর রহমান, অধ্যাপক ডাঃ গোলাম মঈনউদ্দিন, অধ্যাপক ডাঃ মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, অধ্যাপক ডাঃ মনির হোসেন, অধ্যাপক ডাঃ তসলিম উদ্দিনম অধ্যাপক ডাঃ সেলিমুজ্জামান, অধ্যাপক ডাঃ চৌধুরী মোঃ হায়দার আলীসহ এক হাজার ১০১ জন চিকিৎসক।


আরো সংবাদ



premium cement