২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঈশ্বরগঞ্জে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

ধর্ষণ
ঈশ্বরগঞ্জে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক - নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মাদাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মোশাররফ হোসেন (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে আটককৃত যুবককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ বাজারে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের একটি দোকানে শনিবার দুপুর ২টায় এলাকার দশম শ্রেণির (দাখিল) ওই মাদরাসাছাত্রী মোবাইল মেরামতের জন্য যায়। গ্রাম্যবাজারে তখন মানুষের উপস্থিতি কম থাকার সুযোগ নিয়ে দোকানদার মোশাররফ হোসেন দোকানের শাটার লাগিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন মেয়েটির আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাদরাসা ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে লম্পট মোশাররফকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

মোশাররফ হোসেন স্থানীয় তরপপাছাইল গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় রোববার সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করলে আটক মোশাররফকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

ওই ছাত্রী জানায়, ‘আমি দোকানে মোবাইল মেরামতের জন্যে গেলে হঠাৎ করে দোকানদার শাটার নামিয়ে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আমি ভয়ে চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজন দোকানদারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে।’

আটক মোশাররফ হোসেন জানান, ‘মেয়েটি মোবাইল মেরামতের জন্যে এসে দোকানের ভিতর প্রবেশ করলে দোকানের সাটারটি ঢিল থাকায় পড়ে যায়। পরে মেয়েটি ভয় পেয়ে যায়।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মাওলা জানান, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আটক মোশাররফকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন :
যে শহরে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ আতঙ্কে থাকেন নারীরা
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১২ জুলাই ২০১৮
দক্ষিণ আফ্রিকার দারিদ্র্য-পীড়িত শহর ডিয়েপস্লুট। কিন্তু অভাবের চেয়েও এখন এই শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা- নিরাপত্তাহীনতা। বিশেষ করে এখানকার প্রতিটি নারীকে প্রতিনিয়ত থাকতে হয় ধর্ষণ আতঙ্কে।

অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা । ফলে এখানকার পরিস্থিতি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, এমনকি অনেকে ধর্ষক পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে।

কিভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই শহরটি সন্ত্রাসবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হল?
দেশটির পিছিয়ে পড়া এই শহরটি নারীদের জন্য কতোটা বিপদজনক তার আভাস পাওয়া যায় স্থানীয় ভুট্টা বিক্রেতা মারিয়ার ভাষ্যে। তিনি জানান, রাত ঘনালেই এই শহর নরকে পরিণত হয়।

মিসেস মারিয়া বলেন, ‘আমি জানি এখানে অনেক নারীকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। আমার ভাবতে কষ্ট হয়, ভয়ও লাগে। কারণ কে জানে একদিন হয়তো আপনার নিজের কেউ এর শিকার হতে পারে। মেয়েরা শুধুমাত্র বাড়ির ভেতরেই নিরাপদ। কেউ যদি প্রয়োজনে একটু বের হয় তাহলে তার ওপর ভয়ংকর নির্যাতন চলে।’

তবে নিজ বাড়িতে থেকেও রক্ষা পাননি মিসেস মারিয়া। তিন মাস আগেই তিনি দুইবার ধর্ষণের শিকার হন, একই ব্যক্তির দ্বারা। সেসময় তার চার বছর বয়সী মেয়েটি তার বাড়িতেই ছিল।

মিসেস মারিয়া জানান সেই বিভীষিকাময় দিনটির কথা।

‘আমার মেয়েটা পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ ওই লোকটা আমার বাড়িতে ঢুকে মোবাইল আর টাকা চাইলো। আমি গরিব, ওসব আমার কিছুই ছিল না। তখন সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে নির্যাতন চালায়। আমি চিৎকার করতে পারিনি। চাইনি মেয়েটা জেগে উঠুক। ভয় পেয়েছিলাম, যদি তার সাথেও এমন কিছু হয়?’

এখানকার স্থানীয় এক সাংবাদিক গোল্ডেন মাটিকা। তিনি জানালেন এই শহরটি কিভাবে অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে?

‘অপরাধীরা এখানে অনেক নিরাপদ। যারা কোনো অপরাধ করে না, তাদের চাইতে অনেক আরামে আছে তারা। কারণ এই শহরে তারা যা খুশি তাই করতে পারে। তারা জানে তাদের ভয়ে কেউ রাতে বের হবে না।’

মিস্টার মাটিকা তার টেলিভিশন প্রামাণ্য চিত্রের জন্য নারীদের ওপর নিপীড়নের বিষয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করেন।

সেখানে ডিয়েপস্লুট শহরের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ স্বীকার করেছে যে, তারা নারী ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত।

তাদের মধ্যে এমন দুই ব্যক্তি ছিল যারা ক্যামেরার সামনে নির্দ্বিধায় জানায় তারা ধর্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্বিত। ওই ভিডিওতে তারা বর্ণনা করে নিজেদের সেসব অপকর্মের কথা।

‘কোন বাড়ির দরজা খোলা পেলেই ভেতরে ঢুকে যেতাম। তারপর ছুরি বের করে নারীদের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতাম।’

এই নির্যাতন ওই নারীর ওপর কেমন প্রভাব ফেলতে পারে -এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘এমন বিষয় কখনোই মাথায় আসেনি। কারণ তখন মাথা ঠিক থাকে না।’

এ ধরণের মানুষের নির্লজ্জতা বা বেহায়াপনা দেখে এখন আর কেউই অবাক হয় না। কেননা প্রতিবার ভয়াবহ অপরাধ করেও পার পেয়ে যায় তারা।

গত পাঁচ বছরে পুলিশের কাছে ধর্ষণের পাঁচশ মামলা দায়ের করা হলেও বিচার হয়েছে মাত্র একটির।

বিচারহীন এই সমাজে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় স্থানীয়রা এখন নিজেরাই নিজেদের নিয়ম তৈরি করেছে।

তেমনই একটি ভয়াবহ উদাহরণ সৃষ্টি শহরের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।

অভিযোগ রয়েছে, শহরের এ প্রান্তেই সবচেয়ে বেশি অপরাধ সংগঠিত হয়।

কয়েক মাস আগেই এই নদীর তীরে কয়েকজন সন্দেহভাজন অপরাধীকে পিটিয়ে এবং পুড়িয়ে মেরে ফেলে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

মিস্টার মাটিকা সেই দৃশ্য তার ক্যামেরায় ধারণ করেন। কি ঘটেছিল সেদিন? জানান মিস্টার মাটিকা, ‘ওইদিন দাঙ্গাকারীরা তিন সন্দেহভাজন ধর্ষককে ধরে আনে। তারা আরো নানা ধরণের অপরাধে জড়িত ছিল বলেও অভিযোগ। জনতা তাদের প্রচুর মারধর করে। একজনের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। দাঙ্গা থামাতে পুলিশের একটি দল আসে ঠিকই কিন্তু তারা সংখ্যায় অনেক কম ছিল। পরে তারা ব্যাকআপের জন্য আরো পুলিশ ডাকে। ওই সন্দেহভাজনদের ততোক্ষণে প্রায় আধমরা অবস্থা।’

ডিয়েপস্লুট শব্দের অর্থ ‘গভীর খাদ’। আর এখানকার মানুষ নিজেদের জীবনকে এই ময়লার ভাগাড়ের সঙ্গে তুলনা করেন, যেখানে তাদের নিরাপত্তার কোনো মূল্যই নেই। যেখানে তাদের আবর্জনার মতোই ছুঁড়ে ফেলা হয়।

সূত্র : বিবিসি

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত

সকল