১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আভিজাত্যের বিরুদ্ধে প্রেমের লড়াই

আভিজাত্যের বিরুদ্ধে প্রেমের লড়াই - ছবি : সংগৃহীত

মিথ্যা মামলা, হত্যা ও অপহরণের হুমকি এবং হয়রানি থেকে বাঁচতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অসহায় এক কন্যা। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের বাবার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন কন্যা লিমা সাহা (২৮)। লিখিত বক্তব্যে লিমা বলেন, তার বাবা সুরেশ সরিষার তেল কোম্পানির কর্ণধার সুধীর চন্দ্র সাহা। বাবার অমতে নিজের পছন্দের ছেলে সৈকত পালকে ভালোবেসে বিয়ে করায় তাকেসহ তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে প্রতিনিয়ত হত্যা ও অপহরণের হুমকি দিচ্ছে তার বাবা। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এতে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন। বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সবাই।তিনি তার ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় মন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে স্বামী সৈকত ছাড়াও স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

লিমা বলেন, কলেজে পড়ার সময় সহপাঠী সৈকতের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সৈকতদের চেয়ে তার বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো এবং পারিবারিক পদবি ভিন্ন হওয়ায় শুরু থেকে সম্পর্কটি মানতে চাননি তিনি। সৈকতকে ভুলে যাওয়ার জন্য তাকে দুই বছরের বেশি গৃহবন্দী করে রাখা হয়। নিয়মিত মারধর করা হতো। শেষমেশ জোর করে ভারতে নিয়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে তিনি ভারতীয় পুলিশের সহায়তায় বাংলাদেশে ফিরে আসেন। শাহজালাল বিমানবন্দরে নেমে বাবার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়ে গত ২৪ মে বিয়ে হিন্দু রীতি অনুযায়ী রেজিস্ট্রির মাধ্যমে সৈকতকে বিয়ে করেন। 

তিনি আরো বলেন, গত ১২ জুন সৈকতকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাবা ভাড়াটিয়া গুণ্ডা বাহিনী পাঠিয়েছিল। তারা ঢাকার নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে একটি নোয়া মাইক্রোবাসের ভেতরে সৈকতকে উঠানোর সময় পুলিশ ও জনতার রোষানালেপরে। পরে নিউমার্কেট থানা পুলিশ তাদের কয়েকজনকে আটক করে।ওই ঘটনায় একটি মামলাও করা হয়। 

উল্লেখ, নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা অপহরণেরওই মামলায় সুধীর চন্দ্র সাহাকে গত ১২ আগস্ট তিন দিনের রিমান্ডে নেয় নিউমার্কেট থানা পুলিশ।

আরো পড়ুন :

মার্কেট করতে গিয়ে মাদক কারবারির সাথে পরিচয় অতঃপর...

বছর দুয়েক আগে ঢাকা নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে যায় গৃহবধূ সাদিয়া ইসলাম মায়া। সেখানে দুই মহিলা মাদক কারবারির সাথে পরিচয় হয় তার। ফোন নম্বরও আদান-প্রদান করা হয়। মাঝে মধ্যে ফোনে দুই মাদক কারবারির সাথে কথা হতো মায়ার। মাদক ব্যবসায় নগদ টাকা, অল্প সময়ে বিত্তবান হওয়ার গল্প দুই মাদক কারবারির কাছ থেকে প্রায়ই শুনতো মায়া। তারা মায়াকে মাদক কারবারিতে যোগ দেয়ার প্রস্তাব দেয় এবং মাদকের চালান পেতে সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়। একপর্যায়ে লোভে পড়ে মাদক কারবারির খাতায় নাম লেখায় মায়া। মাদক কারবার করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাও পড়তে হয়েছে তাকে। সর্বশেষ গতকাল সহযোগীসহ ফের ধরা পড়েছে ভাটারা এলাকার শীর্ষ এই মাদক সম্রাজ্ঞী সাদিয়া ইসলাম মায়া। 

র‌্যাব-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আশিকুর রহমান বলেন, বুধবার সকালে ভাটারা এলাকার ১৩ নম্বর রোডের সি-ব্লকের একটি বাসা থেকে মায়া ও তার সহযোগী মুহাম্মদ কাইয়ুম খানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব গোপন সূত্রে জানতে পারে, মায়ার ভাটারার বাসায় ইয়াবার বড় একটি চালান এসেছে। সেই সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। মায়া দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবা এনে কারবার করত। ভাটারা থানায় তার নামে মামলা রয়েছে। এর আগে জেলও খেটেছে সে। জেল থেকে বের হয়ে ফের একই পেশায় যুক্ত হতো মায়া। 

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে কাইয়ুম ও মায়ার পরিবার একই ভবনে ভাড়া থাকত। সেই সুবাদে তাদের পরিচয়। তবে মাঝে কাইয়ুম লন্ডনে চলে যায়। বছর দুয়েক আগে দেশে আসে। দেশে ফেরার পর মায়া কাইয়ুমকে মাদক কারবারে যুক্ত করে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করে পুলিশে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।


আরো সংবাদ



premium cement