১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মোজাম্মেলের মুক্তিতে আইনি বাধা কাটলো

মোজাম্মেল হক - সংগৃহীত

বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এর ফলে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এর মধ্যে জামিন পাওয়া মোজাম্মেলের মুক্তিতে আইনি বাধা কাটলো।

কাফরুল থানার এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানির বৃহস্পতিবার তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ রায়হান। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম এই মামলা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন খারিজ করে দেন।

এর আগে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দায়ের করা এ মামলাটিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ বা ১৬৪ ধারায় কেউ তার বিরুদ্ধে জবানবন্দি নিয়েছেন কিনা। তদন্ত কর্মকর্তার নেতিবাচক উত্তরে বিচারক আবার জানতে চান, কোনো সাক্ষী বা কোনো আসামির জবানবন্দিতে নাম না এসে থাকলে কেন মোজাম্মেলকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলো।

তিন বার প্রশ্নের পরও পুলিশ কর্মকর্তা নিরুত্তর থাকেন। এসময় বিচারক মোজ্জামেলকেও কাফরুলের এ মামলার ঘটনা জানেন কি না জিজ্ঞাসা করেন। তখন মোজাম্মেল ‘পুলিশের বৈরিতার’ কারণ ব্যাখ্যা বলেন, যাত্রীদের কল্যাণে কাজ করছেন বলে তিনি মালিক পক্ষ ও পরিহন শ্রমিক নেতাদের রোষানলে পড়েছেন। পুলিশকে কব্জা করে অন্যায় স্বার্থের বিনিময়ে তাকে একের পর এক মামলায় জড়াচ্ছে ওই মহল।

তখন বিচারক পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নাকচ করে দেন। বিস্ফোরক দ্রব্যের আইনের এ মামলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। ওই আবেদনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতও (রিমান্ড) চাওয়া হয়।

সেদিন বিচারক ওই আবেদনের শুনানির জন্য তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দিন রেখেছিলেন। দুলাল নামের একব্যক্তি ৪ সেপ্টেম্বর মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর ১১ সেপ্টেম্বর তাকে জামিন দেওয়া হয়।

জামিন পেলেও এর মধ্যে কাফরুল থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন থাকায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাননি।

আরো পড়ুন : জাতিসঙ্ঘ বিরক্ত হয়ে মির্জা ফখরুলকে তলব করেছে :  কাদের
বাসস ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:২৮

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতীক নৌকা ভেসে ভেসে বিজয়ের পতাকা নিয়ে বিজয়ের মাসে তীরে ভিড়বে।

ওবায়দুল কাদের আজ সকালে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় সড়ক ভবন নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে বিএনপির আগামী মাস থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ সময় সড়ক ও জনপথ ( স ও জ) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতিসঙ্ঘে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তো এখন পুরোপুরি একটি নালিশ পার্টিতে পরিনত হয়েছে। তারা যে একটি নালিশ পার্টি তারা তা বারবার প্রমাণ করেছে। জাতিসঙ্ঘে গিয়েও তারা তারই পুনরাবৃত্তি করবে।


তিনি বলেন, কোনো দেশে সংকট থাকলে তা নিরসনের জন্য জাতিসংঘ তাদের একজন দূত পাঠায়। তিনি ওই সংকট নিরসনের জন্য প্রচেষ্ঠা চালান। বর্তমানে দেশে কোন সংকট না থাকায় তারা কোন দূত পাঠায়নি।

কাদের বলেন, কিন্তু এরপরও বিএনপির নেতারা এত নালিশ শুরু করেছে যে জাতিসংঘও বিরক্ত হয়ে তাদের নালিশ শুনার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তারা তলব করেছে। অবশ্য আমাদের এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। তবে জাতিসংঘে তাকে কেন ডাকা হয়েছে তা নিয়ে আমরা তড়িঘড়ি করে কোন মন্তব্যও করতে চাই না।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বের আন্তঃরাষ্ট্রিক সর্বোচ্চ একটি ফোরাম। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে। তাই এ বিষয়ে অহেতুক মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করবে কি না তা আমরা জানি না। তারা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাইতে পারে। আমরাও সে ধরনের নির্বাচনই চাই।
তিনি বলেন, ‘ আমরা সংবিধানের বাইরে কারো চাপের কাছে নতি স্বীকার করব না। সংবিধান অনুযায়ী দেশের নির্বাচন হবে। নির্বাচন চলাকালে নির্বাচন কমিশন (ইসি)কে স্বাধীন ও কতৃত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে মাত্র।’
প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন অ আইনটি পাস হতে পারে।

ভারতের আসামের নাগরিক পঞ্জী বহির্ভুত অধিবাসীদের বিতাড়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (ভারত) এখনও এ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেনি। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিষয়টি দেখা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্মিত ১২ তলা ভবনটি উদ্বোধন করবেন। এ ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন ইনটেরিয়রের কাজ চলছে।

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)’র অর্থায়নে ভবনটি নির্মিত হচ্ছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


আরো সংবাদ



premium cement
পিছিয়েছে ডি মারিয়ার বাংলাদেশে আসার সময় ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

সকল