২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কারাগারে আদালত বসানো সংবিধানসম্মত নয় : ড. কামাল হোসেন

রাজনীতি
ড. কামাল হোসেন - ফাইল ছবি

কারাগারে আদালত বসানো সংবিধানসম্মত নয় বলে মত দিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে, সেখানেই বসানো হয়েছে বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস। আমার ধারণা বিএনপি এটা নিয়ে কোর্টে যাবে। কোর্টই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আমি কোর্টে গেলে তো এটাই বলতাম যে, এটা সংবিধানসম্মত নয়।’

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জ নং-৩ (৩য় তলা)-এ গণফোরামের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য কারাগারে যেভাবে আদালতের এজলাস বসানো হয়েছে এবং অসুস্থ থাকার পরও যেভাবে তার বিচার চলছে, সে বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন এ কথা বলেন।

এদিকে ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে আগামী ২২ সেপ্টেম্বরে সোওরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছিল। জানা গেছে, এক মাস আগে অনুমতি চেয়ে পাওয়া যায়নি। ফলে ঐক্য প্রক্রিয়ার সে সমাবেশটি হবে এখন গুলিস্থানস্থ মহানগর নাট্যমঞ্চে।

তবে সেখানে কেন ঐক্য প্রক্রিয়াকে সেখানে সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, এটা সরকারকে জিজ্ঞাস করুন। আমরা অনুমতি পাইনি। তাছাড়া আমি ‘অনুমতি’ এমন শব্দ বুঝি না। সরকার যখন তখন সেখানে সমাবেশ করবে আর আমরা বা বিরোধী দল চাইলে তাদের করতে দেয়া হবে এটা কি করে সম্ভব? এটা জমিদারি না। তাছাড়া সংবিধানে এসব বৈষম্য তো নেই।

তিনি বলেন, সরকার এ ধরণের বৈষম্য করে সংবিধানকে বার বার অশ্রদ্ধা করছে।

সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, আওম শফিক উল্লাহ, মোশতাক আহমদ।

আরো পড়ুন :
ঐক্যবদ্ধ হলে স্বৈরশাসক বিদায় নিতে বাধ্য হবে : ড. কামাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ০৯ আগস্ট ২০১৮
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে স্বৈরশাসনকে বিদায় নিতে হবে বা দেশ ছাড়তে হবে। তা না হলে আমাদের সাথে একমত হতে হবে। এ ব্যাপারে গ্যারান্টিও দিতে পারি। তিনি বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ টেনে বলেন,অন্যায় কোনদিন এদেশর জনগণ মেনে নেয়নি। তারা পরিবর্তন আনেই।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে ‘কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশের মালিক জনগণের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, এদেশ আমাদের। যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম তা বাস্তবায়ন সম্ভব। ৭১’এ কেউ কি ভেবেছিল যে আমরা ন’মাসে স্বাধীন হব। এখন বলা হচ্ছে স্বৈরশাসন আমাদের শেষ করে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু জনগণকে উপেক্ষা করে গণতন্ত্র হয় না। তিনি ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তদের বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় ব্যক্তি বিশেষের ওপর নির্ভর করলে চলবে না।

তিনি সম্প্রতি স্কুল শিক্ষার্থীদের সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনের উদাহরণ টেনে বলেন, ছাত্ররা দেখিয়ে দিয়ে কিভাবে দেশ চালাতে হয়। তিনি বলেন, এদেশ কোন ব্যক্তি গোষ্ঠী পরিবারের নয়। দেশের মালিক জনগণ। সবাই দেশের মালিক। তাই গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের মালিককে সারা দেশে প্রচার প্রচাণায় নামতে হবে। দেশ রক্ষায় জনগণকেই ঐকবদ্ধ হতে হবে। উদ্যোগ জনগণকেই নিতে হবে।

ড. কামাল হোসেন ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে দেশের সবত্র ঈদেও ছুটিতে সমমনাদের কাছে যেতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ২০০৮’এ এজাতি ঘুরে দাড়িয়েছিল। তাই আবারও ঘুরে দাড়াবে এজাতি। তিনি বলেন, সবাই দেশের মালিক। সবাই নিজেকে দেশের মালিক হিসাবে মূল্যায়ন করার পরামর্শ দেন তিনি। যে যতটুকু পারে তাকে সে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান তিনি। জনগণকে বোঝানোর দায়িত্ব নিতে বলেন তিনি। কোন ব্যক্তির ওপর ভর না করতে পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, দেশকে আইনের পথে নিয়ে আসার ব্যাপারে সবাইকে বোঝাতে হবে। আর যারা উল্টো পথে আছে তাদের থেকে মুক্ত করার ব্যাপারে জনগণকে বোঝাতে তিনি ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এধরণের কাছে অবশ্যই সাড়া পাওয়া যাবে।

ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, হালুয়া রুটির ভাগের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেনি দেশবাসী। তিনি বলেন, জনগণকে কথা বলতে দিতে হবে। জনগণ কথা বললে কোনো ধরণের গুজব সৃষ্টি হবে না। জনগণকে পুলিশ দিয়ে দমানো যাবে না। তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তার জন্যও গণতন্ত্র দরকার।

সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন,প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আসুন সবাই ঐকবদ্ধ হই। কার কোন দল তা এখন বাদ। ঘরে আগুন লেগেছে তাই অঅজে তা নেভাতে হবে।

আলোচনা সভায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ,ব,ম, মোস্তফা আমীন, গণফোরাম নেতা মোশতাক আহমেদ, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী, প্রকৌশলী ম . ইনামুল হক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন প্রমুখ।

গণজাগরণ গড়ে তোলার হাই টাইম চলে এসেছে : ড. কামাল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ০৭ আগস্ট ২০১৮
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যে ছয় দফা এগার দফা নিয়ে গণ জাগরণের মাধ্যমে যুদ্ধ হয়েছিল এবং আমরা জয়ীই হয়েছিলাম, মানুষের মধ্যে সে ধরণের একটি গণজাগরণ গড়ে তোলার হাই টাইম চলে এসেছে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐকবদ্ধ ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদাদুল্লাহ মধু। সভাপতিত্ব করেন ঐকবদ্ধ ছাত্র সমাজের সভাপতি আজম রূপু।

কোটা সংস্কার,নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন, নিরাপদ সড়ক ও বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের ভবিষ্যত’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তিনি প্রস্তাব রাখেন দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলাপ আলোচনা হতে পারে। কেননা ন্যায় নীতির ভিত্তিতে একটা দেশ হবে এটা বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল। থাকবে সহঅবস্থান । কেউ সব কিছু আত্মসাৎ করে নিবে না। মন খুলে আলেচনা কবর এটাই হল গণতন্ত্র।

তিনি বলেন, নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। জনগণের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলে ঐকমত্যে আসা কঠিন না। স্বপ্নের বাংলাদেশ অবশ্যই হবে যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি। ঐকবদ্ধ হওয়ার কথা যখন বলি তখন একদলীয় শাসন না।

তিনি বলেন, একভাগ যারা কিছু না দিয়ে পাচার করে ফেলে তাদেরকে আসুন আমরা একঘরে করে ফেলতে পারি। তিনি বলেন, বিশ্বদ্যিালয়গুলিতে যদি দলীয় ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় তা হলে উচ্চ শিক্ষার মান নষ্ট হয়ে যায়। তবে অল্প কয়েক দিনে দেশের তরুণরা যা দেখাল তাতে আমি আশাবাদি। দেশের সামনে অবশ্যই উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।

ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আন্দোলনকারীদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না।সবাই ঐকবদ্ধ থাক্ল কেউ কাউকে পরাজিত করতে পারবে না। তিনি বলেন, সুস্থ রাজনীতি না থাকলে চাটুকারের মুল্য বাড়ে। বেশি চালাকদের ধবংস অনিবার্য। কথায় কথায় যারা নিজেদের বেশি চালাক মনে করে তাদের পরিনতি ভয়াবহ।

এতে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটার বাড়ানোর পাশাপাশি জয়লাভ করার জন্য। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত নির্বাচন হচ্ছে অথচ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের খবর নেই।

সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, কোন কিছু পাওয়ার আশা করে মুক্তিযদ্ধে যাইনি। দেশকে একটি সত্যিকারার্থে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য জান বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি।

ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেন ,ভোট চোরের সরকাওে কাজে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। এত আরো বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নেতাদের মধ্যে আওম শফিক উল্লাহ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, ঐক প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ.ব.ম মোস্তফা আমীন। এবং ছাত্র নেতাদের মধ্যে রবিউল ইসলাম রবি, বিনে আমীন মোল্লাহ প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement