২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মা ও শিশুরা কাদছে, তাদের কান্না বৃথা যাবে না : মির্জা ফখরুল

নির্যাতনের বিচার আল্লাহ করবেন মির্জা ফখরুল - ছবি : সংগৃহীত

দেশে ক্রসফায়ার, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ এসবের বিচার করবেন। গত রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির নির্যাতিত নিপীড়িত নেতাকর্মী ও তাদের স্বজনদের সাথে ঈদ-পূর্ব শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তারসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির নির্যাতিত নিপীড়িত নেতাকর্মী ও তাদের স্বজনদের ম:েধ্য আর্থিক অনুদান প্রদান করেন মির্জা ফখরুল। অনুদান প্রদানের সময় তাদের শারীরিক খোঁজ-খবরও নেন তিনি।
বাংলাদেশ আজকে সত্যিকারার্থে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের কোনো স্বাধীনতা নেই, সব মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে, বেঁচে থাকার কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রতিবাদ করা যাবে না। আর তারাই নির্ধারণ করবে কে বেঁচে থাকবে, আর কে বেঁচে থাকবে না? সুতরাং মানুষের নিরাপত্তা তো দূরে থাক তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুরও গ্যারান্টি নেই এখন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশে নির্যাতনের মাত্রা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, এখন সম্ভবত এদের কারো কাছে জবাবদিহিও করতে হয় না! ক্রসফায়ার, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নিখোঁজ করে দেয়া, পুলিশ কাস্টডিতে নির্যাতন, প্রকাশ্যে গুলি করা এবং হাঁটুতে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়া! আমরা এমন এক দেশে বাস করছি, যেখানে শিশুর আর্তনাদ এবং কান্নাও কারো কানে গিয়ে পৌঁছায় না। ভয়াবহ একটা পৈশাচিক কারাগারে বাস করছি আমরা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সন্তানদের তুলে নিয়ে গেছে, নিখোঁজ হয়ে গেছে। অথচ যে রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকদের রক্ষা করা, সেই রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের তুলে নিয়ে গেছে। এখন তারা কেউ কোনো কথা বলে না। 

বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীদের স্বজনদের উদ্দেশে সাবেক এ মন্ত্রী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আপনারা নিজেদের অসহায় ভাববেন না। এ দেশের মানুষ আপনাদের সাথে আছেন। আপনাদের কষ্ট; আপনাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। এ যে ভয়াবহ দানব আমাদের বুকের ওপরে চেপে বসে আছে। আমাদের শিশু ও মায়েদের কাঁদাচ্ছে, এই দানবকে অপসারণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আপনাদের ছেলেরা হারিয়ে গেছে তেমনি অনেকের ছেলেরা নিহত হয়েছে, কারাগারে যাচ্ছে। আমরাও কারাগারে যাচ্ছি। ম্যাডাম কারাগারে আছেন। এই ত্যাগ বৃথা যাবে না। মায়ের অশ্রুধারা কখনো বৃথা যায় না। আজকে মায়েরা ও শিশুরা কাঁদছে। এটা বৃথা যাবে না। নিঃসন্দেহে এ দেশের মানুষ জেগে উঠবে। সত্যিকারার্থেই তারা একটি শান্তিময় দেশ তৈরি করবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো ৭১ জন নিহত পানছড়ি উপজেলায় চলমান বাজার বয়কট স্থগিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে : দুদু যুক্তরাষ্ট্র টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের এন্ডারসন লড়াই ছাড়া পথ নেই : নোমান জার্মানির অর্থ যেভাবে সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধে ব্যবহার হচ্ছে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেনের মেয়াদ বাড়ল

সকল