২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের আয় দ্বিগুণ

বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের আয় দ্বিগুণ - সংগৃহীত

নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হয় নির্বাচন কমিশনে। আর সেই জমা দেয়া হিসাব থেকেই দেখা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও আওয়ামী লীগের আয় দ্বিগুনেরও বেশি। 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০১৭ সালে আয় ও ব্যয় দুটোই বেড়েছে। দলটির আয় হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা। আয় বেশি হয়েছে ৬ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭।

আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে দলের বার্ষিক হিসাব জমা দেয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলটির দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ।

তিনি বলেন, আয়ের প্রধান উৎসের মধ্যে রয়েছে দলের নতুন ভবন নির্মানে অনুদান, দলের সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক চাঁদা, ব্যাংকের টাকা থেকে লাভ ইত্যাদি। আর ব্যয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে দলের ভবন নির্মাণ, কর্মচারিদের বোনাস-বেতন, আপ্যায়ন, সভা-সেমিনার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।

২০১৬ সালের আওয়ামী লীগের আয় হয়েছিল ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। আয় বেশি হয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা। ২০১৫ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। আর ব্যয় ছিল ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। অর্থাৎ সে সময় দলটি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছিল।
২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। এতে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল আওয়ামী লীগের। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ আয় দেখিয়েছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এতে প্রায় ৬ কোটি টাকার দলটির উদ্বৃত্ত ছিল।

এর আগে ৩১ জুলাই নির্ধারিত সময়ের শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় বিএনপি। আওয়ামী লীগসহ সাতটি দল সময় মতো হিসাব দিতে না পারায় ইসিতে আবেদন করে ১৫ দিন সময় বাড়িয়ে নেয়।

২০১৭ সালে বিএনপির মোট আয় ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। মোট ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১হাজার ৯৫৪ টাকা। ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে রয়েছে।

উলেøখ্য, ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর। কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা না দিলে ইসি চাইলে তার নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement
হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা তালায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারের মাঝে জামায়াতের সহায়তা প্রদান শেরপুরের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট আবারো বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে, চিন্তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ সিদ্ধিরগঞ্জে চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা মানিকগঞ্জে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রকৌশলী নিহত ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ছিলেন সমাজ বিপ্লবী পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে : মন্ত্রী মোস্তাফিজ চলে আসাটা যেভাবে দেখছেন চেন্নাইর কোচ ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির

সকল