২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রাজধানীতে বড় শোডাউন করতে চায় বিএনপি

রাজধানীতে বড় শোডাউন করতে চায় বিএনপি - ছবি : সংগৃহীত

বৃহত্তর নির্বাচনী মোর্চা গঠনের প্রস্তাবনা তৈরি করছে বিএনপি। 
গত রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। 

রাত সোয়া ৮টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। এ সময় উপস্থিত বেশ কয়েকজন নেতা বক্তব্য রাখেন। তবে সবার বক্তব্য শেষ না হওয়ায় বৈঠক দ্বিতীয় দিনের মতো মুলতবি হয়ে যায়।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জে. (অব:) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। 

এ দিকে আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে বড় শো-ডাউন করতে চায় বিএনপি। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হবে। সেটি পাওয়া না গেলে বিকল্প ভাবনাও রয়েছে দলটির নেতাদের।
এ ছাড়াও আলোচনা সভা, র‌্যালি, ওই দিন দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো, পোস্টার এবং ক্রোড়পত্র প্রকাশেরও সিদ্ধান্ত হয়।

জানতে চাইলে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। নেতারাও এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। অনুমতি পেলে সমাবেশ হবে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলের নেতা গয়েশ^র চন্দ্র রায়, মো: শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন :

সংলাপ ছাড়া সরকারের কোনো গত্যন্তর থাকবে না : মওদুদ

একাদশ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সাথে সংলাপে বসা ছাড়া সরকারের কোনো গত্যন্তর থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। গতকাল বিকেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মওদুদ বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র দুই-তিন মাস সময় আছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে যে সরকার বাধ্য হবে সংলাপে আসতে বিরোধী দলের সাথে। তা ছাড়া তাদের কোনো গত্যন্তর থাকবে না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। এ পরিবর্তন আপনারা কী বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে আনতে চান নাকি আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আনতে চান? সরকার যদি চায় শান্তিপূর্ণভাবে আনতে তাদের সংলাপে আসতেই হবে, সমঝোতায় আসতে হবে। 
সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, আমাদের দাবি অত্যন্ত সুস্পষ্ট। আজকে সারা দেশে একটা ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে, জনমত সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি। দুই নম্বর হলো, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে। তিন নম্বর হলো, সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং চার নম্বর হলো নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণভাবে পুনর্গঠন করতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে, নতুন কমিশন হবে সমঝোতার ভিত্তিতে। আর সেনা মোতায়েন করতে হবে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে। এ দাবিগুলোর ব্যাপারে মোটামুটি বাংলাদেশে একটা ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। এটার ওপর ভিত্তি করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

এসব দাবিতে আন্দোলনকে বেগবান করতে সংগঠন শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এ দাবিতে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির চেষ্টা করছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আমরা কথাবার্তা বলছি যাতে করে আমরা জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীতে নির্বাচন ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারি। আমাদের একটিই চ্যালেঞ্জ হলোÑগণতন্ত্রকে আবার ফিরে পেতে চাই। গণতন্ত্র বলতে আমরা বোঝাই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, আইনের শাসন, মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ। সেই গণতন্ত্র এখন নেই। এটা আমাদের জন্য নয়, দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
মওদুদ আহমদ বলেন, দুই-তিন দিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অনেক কথা বলেছেন। আমি এ ধরনের কথার জবাব সাধারণত দিই না। কুরুচিসম্পন্ন বক্তব্য। শুধু এটুকু বলতে পারি, বক্তব্যটা ছিল অসত্য, মিথ্যা, তথ্যনির্ভর নয় এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ। রুচিশীল কোনো বক্তব্য নয়। আমি বলতে চাই, বক্তব্য দিন সমালোচনা করুন তাতে আপত্তি নেই। তবে বক্তব্যের ক্ষেত্রে অশালীনতা ঠিক নয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, তৈমুর আলম খন্দকার, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, পারভেজ আহমেদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


আরো সংবাদ



premium cement