২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিএনপির কর্মসূচী

খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিএনপির কর্মসূচী - সংগৃহীত

কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে সারাদেশে জেলা-উপজেলায় দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

রোববার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচির কথা জানান।

খালেদা জিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ আগষ্ট জন্ম গ্রহণ করেন।

রিজভী আরো জানান, ঈদুল আজহার দিন সকাল ১১টায় বিএনপির মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ করবেন।

তিনি বলেন, আজকে সারা জাতি অবরুদ্ধ। কচি কচি বাচ্চাদের যেভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছে। তাদের রক্তমাখা কেডস ও রক্তমাখা শার্ট দেখলে কার না হৃদয় ভাঙে। অথচ এ ঘটনাও ঘটিয়েছে এই পাষন্ড সরকার। নিষ্ঠুর দেশে আমরা এখনো বাস করছি। আমরা এখনো কেন ঘর থেকে বের হতে পারি না। কেন আমরা এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথের ইট, কাঠ, কংক্রিটের ধুলা উড়িয়ে দাঁড়াতে পারি না। সেটা ভাবলে নিজের কাছে নিজেকেই ধিক্কার লাগে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া গুলশানের অফিসে অবরুদ্ধ অবস্থায় তার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনার রক্ত চক্ষুর কাছে মাথা নত করেননি। আজ খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন, তাকে মুক্ত করতে হবে। কারণ তার মুক্তির মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মুক্তি হবে না। তার মুক্তির মাধ্যমে দেশের ও জনগণের মুক্তি হবে।

দোয়া মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ বক্তব্য রাখেন। পরে আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সভানেত্রী পিয়ারা মোস্তফা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভানেত্রী রাজিয়া আলিম, সাবেক এমপি রওশনারা ফরিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন : আন্দোলন করে সরকার পতনের ক্ষমতা বিএনপি’র নেই-তোফায়েল
বিশেষ সংবাদদাতা (১২ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৩০)

আন্দোলন করে সরকারকে ফেলে দেয়ার ক্ষমতা বিএনপি’র নেই বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করে সরকার পতনের শক্তি বিএনপির নেই। এ কারণে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। তারা বুঝতে পেরেছে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা ভুল করেছে। একই ভুল তারা দ্বিতীয়বার আর করবে না।


গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত জাং ঝুয়া’র সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।তোফায়েল বলেন, আমি চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। এতে সন্দেহ নেই। উদ্বেগেরও কিছু নেই। নির্বাচন একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। সংবিধান অনুযায়ী কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। এ নিয়ে সংলাপ, বৈঠক, আলাপের কিছু নেই।

তিনি বলেন, বিগত সময়ের মতো জ্বালাও-পোড়াও করলে বিএনপি গভীর সংকটে পড়বে। তা উপলব্ধি করেই তারা এখন জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচিতে যাচ্ছে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি যে ভুল করেছে তারা এখন সেটি উপলব্ধি করে বলে আমার ধারণা। তাদের মতো একটি বৃহত্তর দলের প্রধান দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তবে তিনি ছাড়া পাবেন কি পাবেন না সেটি আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল (১১ আগস্ট) সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জিতেছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ না হলে তো তিনি জিততে পারতেন না। আমরা দুটিতে জিতেছি। তারা একটিতে জিতেছে। আমরা প্রত্যাশা করি তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, যখন সংলাপের প্রয়োজন ছিল তখন তারা আসেনি। আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনকালীন সময়ে ক্ষমতায় থেকে দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করবে, কিন্তু নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করবে না। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। এটা পরিষ্কার, এটা নিয়ে অলোচনার কিছু নেই।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসঙ্গ টেনে তোফায়েল বলেন, ডব্লিউটিও’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ চীনের কাছে লেটার অফ এক্সচেঞ্জ প্রেরণ করেছে, সম্মতি পাওয়া গেলেই বাংলাদেশ চীনের কাছে রপ্তানি পণ্যের ৯৭ ভাগে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাবে। ডব্লিউটিও’র সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে এ বাণিজ্য সুবিধা নিতে পারে। এ মুহুর্তে বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের(আপটা) আওতায় চীনের কাছ থেকে ৫,০৭৪ টি রফতানি পন্যের উপর শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাচ্ছে। লেটার অফ এক্সচেঞ্জ এর আওতায় বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণ করলে আপটার আওতায় চলমান বাণিজ্য সুবিধা আর থাকবে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাথে এফটিএ করার জন্য চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ইভয় দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এখন এফটিএ‘র সম্ভাব্যতা যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ চীনের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করবে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে চুড়ান্ত ভাবে উন্নীত হবে ২০২৭ সালে। তখন জিএসপি সুবিধা থাকবে না। এফটিএ করে পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা নিতে হবে। চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে বড় বড় প্রকল্প  বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের সাংহাইয়ে আগামী ৫-১০ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর্টার্স এক্সপো-২০১৮ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ এতে অংশ গ্রহণ করবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, চীন বাংলাদেশকে উচ্চমাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক চমৎকার। বাংলাদেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করে বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা শুরু করতে চায় চীন। বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বড় প্রকল্প বাস্তাবয়নে চীন আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। প্রাইভেট এবং জি টু জি ভিত্তিতে এ সকল কাজ চলছে।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু এবং এফটিএ‘র শাখার অতিরিক্ত সচিব মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement