২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন জয়

সজিব ওয়াজেদ জয় - ছবি: সংগৃহীত

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ অভিযোগ করেছেন একটি গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি আজকে বলেছে যে এটি সরকার পতনের আন্দোলনের শুরু’

শনিবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্ট থেকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা লিখেছেন।

জয় লিখেছেন, ‘নিরাপদ সড়কের জন্য শিক্ষার্থীদের সকল দাবিই আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার মেনে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই বাস্তবায়নও শুরু করে দিয়েছে। পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া ছিল অত্যন্ত ধৈর্য ও সংবরণ এর সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে। তারপরেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে একটি গোষ্ঠী অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ও আগের ছবি পোস্ট করে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদেরকে তথাকথিত উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আজকে কোটা সংস্কারের তথাকথিত নেতারা এক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন, কোটা ইস্যুতে নয়, কোটা আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণের মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে। কোটা সংস্কারেরও সকল দাবিই আমাদের সরকার মেনে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।’

জয় তার স্টাটাসে আরো লিখেছেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে, নিজেদের দাবির জন্য জনসমর্থন হারিয়ে বিএনপি-জামাত এখন আবারও নাশকতা ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে শিক্ষার্থী ও তরুণদের বিভ্রান্ত করতে তারা তৎপর। কোটা ইস্যুর সমাধানের পরেও তাদের তথাকথিত নেতাদের এই কর্মসূচি দেখে আমি চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছি, তাদের সাথে বিএনপি-জামাতের অর্থনৈতিক কোনো সমঝোতা হয়নি তো? কারণ বিষয়টি কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষেরই ভোগান্তি বাড়ছে।’

 

আরো পড়ুন: তিন সিটির ফলাফল নিয়ে যা বললেন জয়

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৯ জুলাই ২০১৮

রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন বলে আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

আজ রোববার তার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জয় লিখেছেন, ‘আমি যথেষ্ট আস্থা নিয়ে বলতে পারি, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হবে। সিলেটেও আমরা সামান্য এগিয়ে। তবে সেখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’

সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, তিনি নির্বাচনের আগে রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিন সিটিতে এ জরিপ করান। এই জুলাই মাসেই জরিপটি পরিচালনা করা হয় বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর তনয়।

আরডিসির করা জরিপে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাজশাহীতে। সেখানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মোট ভোটের ৫৮ শতাংশ ভোট পেতে পারেন।

আর বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পাবেন ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। ১ হাজার ২৯৪ জন ভোটার অংশ নেন এ জরিপ কাজে অংশ নেন।

জরিপে দেখা গেছে, বরিশালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোটার।

বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান সারোয়ারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। বরিশালে জরিপে মোট ১ হাজার ২৪১ জন ভোটার অংশ নেন।

তবে জরিপের তথ্য অনুযায়ী সিলেটে তুমুল প্রতিদ্বন্ধীতা হবে বলে বলা হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৩৩ শতাংশ ভোট পেতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।

আর বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী পাবেন ২৮ দশমিক ১ শতাংশ। জরিপে অংশ নেন ১ হাজার ১৯৬ জন ভোটার।

এই গবেষণার পদ্ধতি এবং জরিপের কৌশলগত নানা দিকও তুলে ধরেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ‘পাঁচ বছর ধরে আরডিসির মাধ্যমে আমি জনমত জরিপের কাজ করছি। তারা যে পদ্ধতি ব্যবহার করেন এবং যে ফলাফল বেরিয়ে আসে, সেসব গবেষণা থেকে তা নির্ভুল।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, তবে এও ঠিক, এবার যে জরিপের ফল তুলে ধরলাম, তাতে কিছুটা হেরফের হতে পারে। কারণ, এ জরিপ হয়েছে মাসজুড়ে। আর এর মধ্যে তুমুল নির্বাচনী প্রচার হয়েছে। গত রাতে সে প্রচার শেষও হয়েছে।

জয় আরো উল্লেখ করেন, তাই ফলাফলে কিছু হেরফের হওয়া আশ্চর্যের কিছু না। তবে আমি যথেষ্ট আস্থা নিয়ে বলতে পারি, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হবে। সিলেটে আমরা সামান্য এগিয়ে। তবে সেখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

দলের কর্মী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রতি সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা আরো উল্লেখ করেন, গাজীপুরের নির্বাচনের সময় বিএনপির নেতাদের টেলিফোন কথোপকথনের কথা আমরা জানি। তাদের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারের সময় মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছে যে তাদের জেতার কোনো অবস্থা নেই। তাই তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করে আওয়ামী লীগকে বিপদে ফেলতে চায়।


আরো সংবাদ



premium cement