২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণই আমার লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি জনগণের সেবক। জনগণ কী পেল, সেটাই আমার বড় চাওয়া। আমার সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই।’

বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজের পথচলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, বাংলার মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, বাসস্থান পায়, শিক্ষা পায়, উন্নত জীবন পায়- জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করাই আমার লক্ষ্য।’

‘এই সংবর্ধনা আমি উৎসর্গ করছি বাংলার জনগণকে, বাংলার মানুষকে,’ বলেন তিনি।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে শুরুতেই এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, কলকাতা থেকে ডি-লিট উপাধি পাওয়াসহ নানা সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শনিবার গণসংবর্ধনা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে ভাষণ দিতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি লোকে লোকারণ্য উদ্যানে গিয়ে পৌঁছান। শেখ হাসিনা মঞ্চে উঠতেই স্লোগানে আর হর্ষধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এই ঐতিহাসিক উদ্যান। আধা ঘণ্টার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মানপত্র পাঠ করেন। এই মানপত্র তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যা কিছু অর্জন করেছে, মহান ত্যাগ করেই অর্জন করেছে।

শনিবার সকাল থেকেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশ হতে থাকে। ছোট ছোট মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে অবস্থান শুরু করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার বেশ আগেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছে গেছেন। বেলা দুইটায় সংবর্ধনার মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টার পর থেকে মিছিল আসা শুরু হয়। পিকআপ নিয়ে মিছিল করে নেতা-কর্মীরা ঢুকে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকাল থেকে কোনো বাস ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কাঁটাবন দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে যেসব গাড়ি আসছে, সেগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হয় মল চত্বরে। বাংলামোটর এলাকায় ডাইভারশন দেওয়ার কথা থাকলেও সকালে রাস্তায় যানজট কম থাকায় সেখানে ডাইভারশন দেওয়া হয়নি।

দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকেই সংবর্ধনাস্থলের আশপাশের প্রায় সব সড়কে ডাইভারশন দেওয়া হয়। বেলা একটার পর থেকে ভিআইপি রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পল্টন, মৎস্য ভবন এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় যানজট দেখা দেয়।

শাহবাগ এলাকায় ছোট ছোট মিছিলে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে। এসব ব্যানারে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে নানা অর্জনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এ সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকা থেকে পরিবহনযোগে ও হেঁটে অসংখ্য নেতা-কর্মী, বিশিষ্ট ব্যক্তি, পেশাজীবী ও সাধারণ জনগণ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। এই সমাবেশে উপলক্ষে ব্যাপক শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই গণসংবর্ধনা হবে ঐতিহাসিক, যার প্রকাশ ঘটবে শনিবার।


আরো সংবাদ



premium cement
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত বগুড়ায় ধানের জমিতে পানি সেচ দেয়া নিয়ে খুন জিআই স্বীকৃতির সাথে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস

সকল