২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

 দাবি আদায়ে একাধিক শর্ত দিয়ে সমাবেশ ভাঙলো বিএনপি

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - নয়া দিগন্ত

সুষ্ঠু ও অবাধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সরকার একটি সাজানো নির্বাচনের পায়তারা করছে। কিন্তু সরকারের সেই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া হবে না। খালেদা জিয়া ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। বিএনপি তাকে মুক্ত করেই নির্বাচনে অংশ নেবে।

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। দুই বছরেরও বেশি সময় পর উন্মুক্ত কোনো জায়গায় সমাবেশের অনুমতি পাওয়ায় নয়া পল্টনে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। জুমা’র নামাজের পরপরই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

‘মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে রাজপথ। প্রখর রোদ ও তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পুরো নয়াপল্টন এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন পর সমাবেশ করার সুযোগ পাওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহের কমতি ছিল না। সমাবেশ শেষ হয় বিকেল সোয়া ৫টায়। রাজধানী ছাড়াও সারাদেশে মহানগর-জেলা-উপজেলাও একযোগে এক কর্মসূচি হয়েছে বলে জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও সেনা মোতায়েন করতে হবে।

 তিনি বলেন, এ ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, জনগণ হতে দেবে না। আজ আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সব রাজনৈতিক দল, সংগঠনকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জনগণের দাবি আদায় করতে হবে। অপশাসনকে পরাজিত করতে হবে। জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।

বিএনপির এ সমাবেশকে কেন্দ্র পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিজয়নগর ও ফকিরাপুল মোড়ে জলকামান, রায়টকার প্রস্তুত রাখা হয়। ২৩ শর্তে বেলা ২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে বিএনপিকে এ সমাবেশ করার অনুমতি দেয় মহানগর পুলিশ।

বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহানগর বিএনপির কাজী আবুল বাশার, আহসান উল্লাহ হাসান, শ্রমিক দলের নূরুল ইসলাম খান নাসিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, যুবদলের মোরতাজুল করিম বাদরু, নূরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান প্রমুখ।

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ, আফরোজা আব্বাস, আসাদুল হাবিব দুলু, মীর সরফত আলী সপু, নীলুফার চৌধুরী মনি, মীর নেওয়াজ আলী, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, শামীমুর রহমান শামীম, শিরিন সুলতানা, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শেখ রবিউল আলম রবি, আমিনুল ইসলাম, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের আলমগীর হাসান সোহান, নাজমুল হাসান, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, আসাদুজ্জামান আসাদ সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে জাসাস, শ্রমিক দল, মহিলা দল সহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ডের হাজারো নেতাকর্মী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন। এছাড়া কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষুব্ধ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী আলাদাভাবে মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন। উত্তরের সহ-সভাপতি ফেরদৌসী আহমেদ মিস্টি, মোয়াজ্জেম হোসেন, সোহেল রহমান, সৈয়দ মঞ্জু, হেলাল তালুকদার প্রমুখ মিছিলে নেতৃত্ব দেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে মানুষটি দেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাকে আজ অন্যয়ভাবে একটি নির্জন কারাগারে আটকে রেখেছে। তিনি এতটাই অসুস্থ তার আত্মীয়রা দেখা করতে গেলে তিনি নিচে আসতে পারেন না। অথচ সরকারের মন্ত্রীররা বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছি। রাজনীতি তো করছে সরকার। কারণ তারা খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, সে জন্য তাকে কারাগারে আটকে রেখেছে।

তিনি বলেন, যে মামলায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, সে মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখছে। আজকে বেগম জিয়া আদালত থেকে জামিন পেলেও তার মুক্তি মিলছেনা। তাকে মিথ্যা মামলায় আটক দেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে তিনি নাকি বোমা মেরেছেন, একরাত্রে বিশটি গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছেন!

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার দেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র, মানুষের কথা বলার অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার এ দেশের ব্যাংকগুলো শেষ করে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংককেও শেষ করে দিয়েছে। সেখানে রাখা সোনাগুলো নাকি ধাতু হয়ে গেছে। দেশে নৈরাজ্য চলছে। বিশেষ করে অথনৈতিক খাতে নৈরাজ্য চলছে। অর্থনীতির চরম দূরবস্থা। বিদেশী বিনিয়োগ নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, আগে বিএনপি ও বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম করতো। এখন নতুন নাটক শুরু হয়েছে। মাদকের নামে নিরপরাধ মানুষকে বিনা বিচারে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। সরকার আজ দেশে একটা ভয়াবহ রাজত্ব শুরু করছে। এ দেশে আজ প্রতিটি মানুষ অনিরাপদ, তাদের কখন কোথায় মৃত্যু হবে কেউ জানে না।

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, যখন আন্দোলন তুঙ্গে তখন প্রধানমন্ত্রী রেগে সংসদে বলেছেন, কোনো কোটা থাকবে না। আর এখন কি করছে, যারা আন্দোলনের সাথে জড়িত তাদের গুম করা হচ্ছে, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করছে। আজকে বিদেশী দূতাবাসগুলো থেকে বলা হচ্ছে- এটা অন্যায় করা হচ্ছে। এই নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধ করো। শিক্ষকরাও বেরিয়ে এসেছেন তারা বলছেন এখন ছাত্র লীগের যে ভুমিকা সেটা আইয়্যুব খান-মোনায়েন খানের আমলে যে ছাত্র সংগঠন ছিল এনএসএফ’র চাইতেও খারাপ ভুমিকা। আজ দেশে কেউ নিরাপদ নয়। কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আমাদের এমপি-মন্ত্রী বানানোর জন্য নয়। আমরা আন্দোলন করছি, কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে, ভোটের অধিকার ফিরে পেতে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে। কিন্তু এটি সরকার দেবে না। কারণ যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয় তাহলে আওয়ামী লীগ ২০টি আসনও পাবে না। তাই এ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।

মির্জা ফখরুল সম্প্রতি নতুন আটদলীয় বাম জোটকে আশার খবর জানিয়ে বলেন, আমরা বাম মোর্চাকে ধন্যবাদ জানাই। তারা একটি ঐক্য গড়ে তুলেছে। তাই সবাইকে আহ্বান জানাব, গণতন্ত্রকামী সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হোন। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। দেশকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করুন।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান স্বৈরাচার সরকার খালেদা জিয়া, দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রকে ভয় পায়। তারা ২০১৪ সালে জনগণের ভোট ছাড়াই সরকার গঠন করেছে। আবারো সে ধরনের নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করেছে সরকার। জামিনের পরও তাকে মুক্তি দিচ্ছেনা সরকার। কারণ আবারো প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। এই সরকার নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

দেশের জনগণ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যত ষড়যন্ত্রই করা হোক দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী নির্বাচন হতে দেবেনা। কারণ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচন একই সূত্রে গাঁথা। আন্তর্জাতিক বিশ্ব বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়।

শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা।

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে খালেদা জিয়া ও সব নেতাকর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সোজা আঙ্গুলে ঘি খসবেনা। তাই সময় এসেছে গণঅভ্যুত্থানের। এই স্বৈরাচারি সরকারে অবসান করবে ঐক্যবদ্ধ জনগণ। আমরা মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে ১০ বছর হলো একটি বিনাভোটের সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখল করে দেশ চালাচ্ছে। একদলীয় কর্তৃত্ববাদ কায়েম করেছে। তাই দেশের জনগণের জন্য এ সরকারকে অপসারণ করতে হবে। আজকে পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এসব করতে হলে আমাদেরকে সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আইনী প্রক্রিয়ায় না হলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, যদি দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চান তাহলে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে। কারণ এক দলের নেত্রী জেলে থাকবেন, আর একজন সরকারি খরচে সভা-সমাবেশ করে ভোট চাইবেন, তা হবে না। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করবো।

মওদুদ আহমদ আরো বলেন, আমাদের সভা করতে মাসের পর মাস অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু সামনে আমরা আর অনুমতি চাইব না। সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেব এবং সেটি পুলিশকে জানিয়ে দেব আমরা অমুক দিন অমুক জায়গাতে সভা করব।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্বাচন যাবো। কেউ যদি মনে করেন, ফাঁকা মাঠে গোল দেবেন তাহলে ভুল করবেন। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যাব। এ ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে সেটি কারো বুঝতে বাকি নেই। কারণ ঢাকা মহানগরের এক নেতা বরিশালের পুলিশ কমিশনারের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়েছে। তাহলে দেশের অবস্থা কী আপনারা বুঝেন? যারা নির্যাতন করছে তারা কেউ মাফ পায়নি। তাই জনগণকে নির্যাতন করবেন না। ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই পুনর্গঠন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এই সরকারের অধীনের নির্বাচন হবে না জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে আর কোনো নির্বাচন নয়। এ সরকার এ দেশের বৈধ সরকার নয়। তাই তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তিনি ভারতের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশের একটি দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব মানে এ দেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়। তাই বন্ধুত্ব করতে হলে জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে দিল্লির গোলামি করতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা হবে এদেশের জনগণের ভোটে নিবাচিত জনপ্রতিনিধি দিয়ে। ভিন দেশের কারো সমর্থন নিয়ে নয়। সাবধান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন না। এদেশের মানুষ সহ্য করবে না।

গয়েশ্বর আরো বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, সরকারের পদত্যাগ চাই, নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চাই। এর আগে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। আর যেদিন খালেদা জিয়ার মুক্ত হবেন সে দিন দেশের গণতন্ত্র মুক্ত হবে।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করব। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা ভেঙ্গে গেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা নেই। দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করেছে সরকার। এর উদ্দেশ্য হলো আবারো একতরফা নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে ব্যাংক লুট করা, মানুষ খুন ও গুম করা। কিন্তু এদেশে আর কোনো একতরফা নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা। আপনারা প্রস্তুতি নিন আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য

সকল