২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজশাহীতে ককটেল হামলা অশনিসঙ্কেত : বিএনপি

-

গতকাল রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধানের শীষের গণসংযোগ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে অশনি সঙ্কেত হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হওয়ার সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে বরাবরই দেখা গেছে-অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ক্ষমতাসীনরা সর্বদায় অনিচ্ছুক ও অনমনীয়। এরা সন্ত্রাসবাদের উপাসক। নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আওয়ামী লীগের অভিধানে নেই। সেজন্য ভোটারদের ভয় পাইয়ে দিতেই বেআইনী বোমা-গুলির ব্যবহারকে নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত করেছে তারা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়ায় ধানের শীষের পক্ষে জেলা ছাত্রদলের গণসংযোগ কর্মসূচি উদ্বোধনের জন্য বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সেখানে উপস্থিত হলে আওয়ামী ক্যাডাররা অনুষ্ঠানস্থলে উপুর্যপুরি কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
ককটেলের স্প্রিন্টারে গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাভিশনের ব্যুরো প্রধান পরিতোষ চৌধুরী আদিত্য ও বিএনপি কর্মী স্বপন কর্মকারসহ বেশ কয়েকজন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সন্ত্রাসী ঘটনা এক অশনি সংকেত। এই ঘটনা ৩০ জুলাই’র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে জনমনে গভীর সংশয়ের সৃষ্টি করলো। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ভোটারদের কাছে দেয়া হলো এক অশুভ বার্তা। এই ঘটনায় মনে হয়-আগামী ৩০ জুলাই নৌকা মার্কার পক্ষে সন্ত্রাসীরা ইচ্ছামতো ভোটসন্ত্রাস করার অধিকার পেয়েছে। আমি এই ন্যাক্কারজনক ককটেল হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। অবিলম্বে ককটেল হামলায় জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভয়ঙ্কর অনিয়ম ও অবিশ^াস্য ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুল্ক-গোয়েন্দা অধিদফতর কর্তৃক পরিচালিত ২০১৭’র জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ভল্ট পরিদর্শন কার্যক্রমে ভয়াবহ অনিয়মের তথ্য পাওয়া গভীর আশঙ্কাজনক। ৯৬৩ কেজি সোনা যাচাই করে যে গুরুতর অনিয়ম পাওয়া গেছে তা রাষ্ট্রের ক্রমাগত 'Vulnerability' এখন চরম দশায় উপণীত হয়েছে। সোনার চাকতি যদি হয়ে যায় মিশ্র ধাতু, যদি ২২ ক্যারেট সোনা হয়ে যায় ১৮ ক্যারেট, এভাবে ব্যাংকে গ্রাহকের সঞ্চিত বিশুদ্ধ সোনার ক্যারেট যদি অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়, তাহলে বুঝতে হবে আমানত গ্রহণকারীরা দুষ্কর্মের সাথে জড়িত।

তিনি বলেন, ভল্টে রাখার পরই এগুলো কারসাজি করে পাল্টে ফেলা হয়েছে। ভল্টে থাকা সোনার আংটি ও চাকতি কিভাবে অন্য ধাতুর মিশ্রণে তৈরী হলো? দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকেই যদি এই ধরনের মহা অনিয়ম ও জালিয়াতি এভাবে একের পর এক সংঘটিত হতে থাকে, তবে বাংলাদেশের অন্যসব ব্যাংকগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা ভেঙ্গে পড়বে। বর্তমান সরকার দুর্নীতিপরায়ণতার কলুষ থেকে মুক্ত নয় বলেই বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম আর অনাচারের মহাযজ্ঞ চলছে। এই ঘটনায় আমানতকারিরা দিশেহারা হয়ে পড়বে। রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি লুট হওয়াকে অর্থমন্ত্রীর আশকারা দেয়ার কারণেই দেশের আর্থিক খাত এখন ধংসোন্মুখ। বর্তমান সরকার দেশকে এক খারাপ পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement