২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘বর্তমান ইসি দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না’

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন - নয়া দিগন্ত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার একজন আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি জনতার মঞ্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এজন্য তিনি যে কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা করেছেন প্রত্যেকটি জায়গায় জনগণের পাশে না থেকে সরকারের আজ্ঞাবাহী হয়ে কাজ করে তাদের ভোট ডাকাতিতে সহযোগিতা করেছেন। এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচন হবে, কেউ তা বিশ্বাস করে না। তাদের দ্বারা জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এমনটিও আশা করা যায় না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং সরকারের নীল নকশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তৃতা করেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শোয়াইব আহমদ, জাসাসের সহ-সভাপতি শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, বিএনপি নেতা ডা. ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী, ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আমির হোসেন বাদশা, এম. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার তার সব কর্মকাণ্ড আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে করছে। তারা আরও একটি পাতানো ও সাজানো নির্বাচন করে আবারও স্বৈরতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে চায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। ‘সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করাই বিএনপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ’- উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে জনগণ যাতে তাদের ভোটাধিকার আদায় করতে পারে, এমন নির্বাচন আমাদের আদায় করে নিতে হবে। দেশ স্বৈরাচারমুক্ত না হলে এটা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। কোনো স্বৈরাচার ইচ্ছা করে ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে এ স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে আমাদের জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনার চাকতি এখন ভুতুড়েভাবে মিশ্র ধাতুতে পরিণত হচ্ছে’ মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকের পত্রপত্রিকা দেখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ রাখা ছিল কিন্তু সেটি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের জায়গায় ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণে পরিণত হয়েছে। জমা রাখা হয়েছিল সোনার চাকতি, তা হয়ে গেছে মিশ্র ধাতু। এসব কর্মকাণ্ডের বিচার না হলে একদিন সবাইকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা এর বিচার চাই।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করেছেন। সংসদে প্রাধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, কোনো কোটাই থাকবে না। এখন তিনি তার কথা রাখছেন না। আমরা মনে করি শুধু মুক্তিযোদ্ধা ও নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের কোটা থাকতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement