২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গাজীপুরের এসপির প্রত্যাহার চায় বিএনপি

গাজীপুরের এসপির প্রত্যাহার চায় বিএনপি - সংগৃহীত

গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদের প্রত্যাহার দাবি করেছে বিএনপি। এই দাবি নিয়ে রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। পুলিশ সুপার প্রত্যাহার না করলে গাজীপুরে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দলটি।

ইসি সূত্র জানায়, বেলা দুইটার পর নির্বাচন কমিশনে আসে বিএনপির প্রতিনিধি দলটি। সিইসিসহ বাকি চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে তাদের দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান ও বরকত উল্লাহ বুলু।

মঈন খান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন ভাল নির্দেশনা দিচ্ছে। কিন্তু নির্দেশনা গুলো প্রতিপালিত না হয়ে স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন অঙ্গ নির্দেশনা উল্টো করছে। সরকারের প্রশাসন নির্বাচনের কাজে হস্তক্ষেপ করছে। এখন পুলিশ গিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করলে তো নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানা হলো না। পুলিশের কাজ তো নির্বাচন নিয়ন্ত্রন করা না। কিন্তু খুলনায় অনেক জায়গায় দেখা গেছে পুলিশ নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপারের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, একজন মানুষের কারণে পুরো নির্বাচন আজ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়বে। সেই মানুষকে যেন প্রত্যাহার করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। সেই ক্ষমতা আপনারা ব্যবহার করুন। সেই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করুন। আমরা সেই অনুরোধ করেছি।

বিএনপি গাজীপুর নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশঙ্কা করছি বলেই তো কথা বলার জন্য এখানে এসেছি। মঈন খান বলেন, সিইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা বলেছি অতীতেও সহযোগিতা করেছি এ নির্বাচনেও সহযোগিতা করবো।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমানে নির্বাচনে ভোট কারচুপির ধরন পরিবর্তন হয়েছে। এখন পর্দার অন্তরালে ভোট কারচুপি হচ্ছে। খুলনা সিটি নির্বাচনে আমার এই প্রক্রিয়া দেখতে পেয়েছি। এই প্রক্রিয়া এখন আমার গাজীপুরে লক্ষ্য করতে পারছি। এমন ভোট কারচুপি হলে জাতীয় নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে।

তিনি আরও বলেন, ইসি যদি তার সঠিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাহলে গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু সেটি তারা করেছে না। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পুলিশের গাড়িতে চড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সবাই দেখেছে। আলোচনা হচ্ছে। আমরা চাই গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হোক। বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আজ থেকে ছয়মাস পর জাতীয় নির্বাচন। সরকার সরকারী খরচে প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ বিরোধী দলকে একটি মিটিং করতে দেয়া হয়না, একটা মিছিল করতে দেয়া হয়না। এটা বাস্তবতা। গাজীপুরে মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে না পারলে এর প্রভাব গাজীপুরে না শুধু, সারা দেশে পড়বে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে। গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা করেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, খুলনার যে ঘটনা ঘটেছে আশঙ্কা না করার কোনো কারণ নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায়

সকল