২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

'খালেদা জিয়া জেল কোডের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন'

'খালেদা জিয়া জেল কোডের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন' - ছবি : সংগৃহীত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জেল কোডে থাকা বিধিবিধানের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারি জজদের ৩৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক পপ্রশ্নর জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা আইনের মাধ্যমে এগোচ্ছি। আদালত কাউকে শাস্তি দিলে তিনি কারাগারে যান। কারাগারের যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ক্ষেত্রে জেল কোড প্রযোজ্য হয়। খালেদা জিয়া জেল কোডে যা আছে তার থেকে বেশি সুবিধা এখন পাচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে জেল কোডের ব্যত্যয় ঘটানো বা আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর কোনো কারণ এখনো উদ্ভব হয়নি। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করার ক্ষমতা সরকারের নেই বলে জানান আইনমন্ত্রী।

আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপিল বিভাগের বিচারক সঙ্কট আছে এ কথার সঙ্গে আমি একমত নই। এর আগে সাতজন বিচারক ছিল। বহুবছর পাঁচজন বিচারক দিয়ে আপিল বিভাগ চলেছে। তার থেকে এখন মামলা বেড়েছে কথাটা ঠিক। বর্তমান বিচারক যারা আছেন তারা কিন্তু বহু দিন যাবত চালিয়ে যাচ্ছেন মামলার সংখ্যা কিন্তু কমে আসছে। একেবারেই সঙ্কট আছে সেই ক্ষেত্রে আমি দ্বিমত পোষণ করি। তারপরও আপিল বিভাগে শিগগিরই বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে সহকারী জজদের ৩৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) গোলাম কিবরিয়া।

প্রশিক্ষণার্থী সহকারী জজদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। কোয়ালিটি জুডিশিয়ারির ওপর শুধু আইনের শাসনই নয়- অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্র সুসংহতকরণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণও নির্ভর করে। তিনি বলেন, সরকার দেশে বিদ্যমান মামলা জট কমাতে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিজিটাল যুগের বিচারক হিসেবে নবীন বিচারকদের বিজ্ঞানমনস্ক ও ইনোভেটিভ আইডিয়া সমৃদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণে গুরুত্বারোপ করেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আদালত বিচারপ্রার্থী মানুষের শেষ ভরসাস্থল। সেখানে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। বিচারকের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রশিক্ষণের মেয়াদ ২ মাস থেকে পর্যায়ক্রমে ৪ ও ৬ মাস করার কথা তিনি জানান।

সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় আবু সালেহ শেখ মো.জহিরুল হক বলেন, বিচারকদের সততার কোন বিকল্প নেই। বিচারকের মর্যাদা বিচারকদের রক্ষা করতে হবে। তাদের চলা ও আচরণে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয়। বিচারপ্রার্থী জনগণ যেন হররানির শিকার না হয় সেদিকটি বিচারকদের নিশ্চিত করতে হবে।

আরো পড়ুন :
নির্বাচনকালীন সরকার অক্টোবরে গঠিত হতে পারে : ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকার চলতি বছরের অক্টোবরেই গঠিত হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট হবে। তবে, বিষয়টি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার সচিবালয়ের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। নির্বাচনকালীন সরকার বলতে নতুন কোনো সরকার গঠিত হবে না। বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব নেবে। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের আকার এতো ঢাউস হবে না। মন্ত্রিপরিষদের আকার ছোট হবে।
বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন একতরফা হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। সে নির্বাচনে অনেক দলই অংশ নেবে। বিএনপি না এলেও সে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যে কেনো সংশয় প্রকাশ করছে তা আমার বোধগম্য নয়। কারণ, সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে তো বিএনপি অংশ নিচ্ছে। কুমিল্লায় জিতেছে, খুলনায় অংশ নিয়েছে, গাজীপুরে অংশ নিচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বরিশাল এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী দিবে। এই সমস্ত নির্বাচনে যদি তারা অংশ নিতে পারে। তবে, জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে কোথায় তাদের ভয় কোথায়, সে বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে তো সরকারের কোনো প্রভাবই থাকবে না। তারপরেও নির্বাচনে অংশ নিতে তাদের কেন সংশয় সেটা তাদেরকেই জিজ্ঞাসা করুন।

 


আরো সংবাদ



premium cement