২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সাঈদীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়নি

দেলোয়ার হোসেন সাইদী
দেলোয়ার হোসেন সাইদী। ছবি - সংগৃহীত

ছোট ভাইয়ের জানাজার নামাজ পড়াতে প্যারোলে মুক্তির আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার। তাই মুক্তি পাননি দেলায়ার হোসেন সাইদী। দুপুর দেড়টায় মতিঝিল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও সাইদী প্যারোলে মুক্তি পেতে পারেন সেই আশায় জানাজার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে বিকাল ৪.০০ টায় দেলোয়ার হোসেন সাইদীর ছেলে শামীম সাইদীর ইমামতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকারের আশ্বাসের কারণে জানাজা দেরি করে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবিক কারণে আমরা তার মুক্তির আশা করেছিলাম। 

তিনি বলেন, আমি এবং আমার আইনজীবী কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে আমাদেরকে বারবার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল যে সাইদীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হবে। তার মুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাই জানাজার নামাজ দেড়াটা থেকে পিছিয়ে আসরের পর নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কতৃপক্ষ আমাদের আবেদনে সাড়া দেননি। 

তিনি আরো বলেন, বিকেল ৪ টায় শামিম সাইদীর ইমামতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সাইদী প্যারোলে মুক্তি পেতে পারেন এমন সংবাদে জোহরের নামাজের পরপরই মতিঝিল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠসহ আশেপাশের এলাকায় জনসমাগম বাড়তে থাকে। তাই সকলের কথা বিবেচনা করে বিকাল ৪ টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সাঈদীকে প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন। তারা সাঈদীর মুক্তির ব্যাপারে আশাবাদীও ছিলেন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছোট ভাই আলহাজ্জ্ব হুমায়ুন কবির সাঈদী (৫৬) সোমবার সকালে ঢাকার ইব্রাহীম কার্ডিয়াক (বারডেম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নানিল্লাহে অইন্না ইলাইহে রাজেউন। তিনি গত ৫ দিন ধরে নিউমেনিয়া জ্বর এবং হৃদরোগেও আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রেখে গেছেন।

এর আগে ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর সাঈদীর মাতা গুলনাহার ইউসুফের মৃত্যুর পর এবং তার বড় ছেলে মাওলানা রাফিক বিন সাঈদী’র ২০১২ সালের ১৩ জুন মৃত্যুর পর তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি ২৮ অক্টোবর মায়ের এবং ১৪ জুন ছেলের জানাজার নামাজ পড়ান।

আরো দেখুন : মাওলানা সাঈদীর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে যা জানালেন মাসুদ সাঈদী

ছোট ভাইয়ের জানাজার নামাজ পড়াতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও বিশিষ্ট মুফাসসিরে কুরআন কারাবন্দি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আজ মঙ্গলবার কোনো এক সময় তিনি মুক্তি পেতে পারেন।

এ বিষয়ে তার ছেলে ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী দুপুর ১২টার পর দিকে তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমার আব্বা আল্লামা সাঈদীর [হাফিজাহুল্লাহ] প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। যদিও আমাদেরকে অফিসিয়ালি এখনো কোন কিছু তারা জানায়নি। তবে আমরা এখনো আশাবাদী। আল্লামা সাঈদী আসবেন এবং তিনিই জানাজার নামাজে ইমামতি করবেন ইনশাআল্লাহ।’

তবে মুক্তির প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হচ্ছে- এ ধরনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে তিনি বেলা ২টার কিছু আগে তিনি আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন- ‘এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে আল্লামা সাঈদীর প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। প্রক্রিয়া শেষ করতে কতো সময় লাগে !!’


আরো সংবাদ



premium cement