২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভাইরাল সেলফিতে গরিলাদের পোজ

নিরাপত্তা কর্মকর্তার সেলফিতে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় গরিলাদের পোজ - ছবি : সংগৃহীত

লোমশ কিছু প্রাণীর সাথে নাকি মানুষের কী সব মিল রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সেলফি তোলায় ওইসব প্রজাতির প্রাণীরা যে ধরনের কারিশমা দেখাচ্ছে, তাতে বিজ্ঞানীদের কথা অনেকটাই যুক্তিযুক্ত হয়ে ওঠছে।

সম্প্রতিক কঙ্গোর একটি অভয়ারণ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তার সাথে সেলফি তুলতে গিয়ে যেমন ভাবভঙ্গি করেছে দুই গরিলা, তাতে ওই সেলফি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেলফি তোলার সময় দুই গরিলার নিজস্ব ধরন অবাক করে দিয়েছে দর্শকদের। মানুষের মতো গরিলাদেরও যে স্বাতন্ত্র্য ভঙ্গিমা থাকতে পারে, তা প্রমাণ করে দিয়েছে ভাইরাল হওয়া ওই ছবিগুলো।

আফ্রিকার কঙ্গোতে অবস্থিত ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক। পৃথিবীতে বেঁচে থাকা গরিলাদের ষাট শতাংশই বাস করে এখানে। তবে ওই এলাকায় রয়েছে চোরাশিকারিদের উৎপাত। এসব চোরাশিকারীর হাত থেকে গরিলাদের রক্ষা করতে অ্যান্টি পোচিং অফিসাররা সদা সতর্ক। সম্প্রতি সেখানকার এক অ্যান্টি পোচিং অফিসারের সঙ্গে নিজস্ব ভঙ্গিমায় সেলফি তোলায় মজেছিল ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের দুই গরিলা নাকাশি ও মাতাবিশি।

মূলতঃ গরিলাদের রক্ষার বার্তা দিয়ে ওই ছবিগুলো অ্যান্টি পোচিং ইউনিটের পক্ষ থেকে ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছিল। সতর্ক করার যে বার্তা তা যে কার্যকরী হবে তা বুঝা গেছে ছবিগুলো ভাইরাল হওয়ার ধরন দেখেই। ওইসব ছবিতে দেখা যায়,অ্যান্টি পোচিং অফিসারের সঙ্গে বিভিন্ন ভঙ্গিতে পোজ দিচ্ছে গরিলারা। গরিলারা যে সেলফি তোলায় কোনো বিরক্ত বোধ করছে না তা ভালোই বুঝা যাচ্ছে। বরং তাদের চেহারা দেখা পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে, পুরো ব্যাপারটাই তারা উপভোগ করছে।

আরো পড়ুন : উটের অবাক শোক পালন
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০৪ মার্চ ২০১৯, ১৬:৪৯

মানুষই কেবল প্রিয়জনের বিরহে শোক পালন করে। এমনটিই দাবি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে দাবি মানুষের। কিন্তু প্রিয়জনের শোক যে অন্য প্রাণীদেরও কাঁদায়, তারাও যে মুষড়ে পড়ে তারই এক নজির স্থাপন করেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের একটি উট।

রোজ যিনি হাতে করে খাওয়াতেন, পিঠে চেপে ঘুরতেন, তার আকস্মিক মৃত্যুতে খাওয়া-দাওয়াই ছেড়ে দিয়েছে উটটি।

গুজরাটের কচ্ছের জাখাউ থানার অধীনে থাকা একটি উটটি লালন পালন করতেন একজন পুলিশ সদস্য। গত ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কর্তব্যরত অবস্থাতেই মৃত্যু হয় শিবরাজ গাধভি নামে ওই পুলিশ সদস্যের। অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর গাধভি থানার একটি উটে করে সীমান্তবর্তী এলাকায় টহল দিতেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাই-অ্যালার্ট জারি হওয়ায় আরো কড়া নজরদারি চালাচ্ছিলেন ওই পুলিশকর্মী।

২৪ জানুয়ারি সকালে নিয়ম মতোই থানার উটটিকে নিয়ে ডিউটিতে বের হন গাধভি। সীমান্তের কাছে পৌঁছে প্রথমে উটটিকে খাওয়ান তিনি। এর কিছু সময় পরই গাধভী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু বুকে ব্যথা আরো তীব্র হওয়ায় মাঝপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যান ওই পুলিশ সদস্য।

কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়ায় পূর্ণ পুলিশি মর্যাদায় গাধভীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। সবার পাশাপাশি গাধভির অনুপস্থিতিতে মনমরা হয়ে তার সঙ্গী উটটিও। গাধভির মৃত্যুর পর থেকেই খাবার-পানি, কোনোটিই মুখে তুলেনি সে। দিনের পর দিন অভুক্ত থেকে রীতিমতো দুর্বল হয়ে পড়েছে উটটি।


আরো সংবাদ



premium cement