২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শিয়ালের প্রাণ গেল মুরগীর হামলায়

- ছবি : সংগৃহীত

বেচারা শিয়াল! বয়স হয়নি, তাই হয়তো অভিজ্ঞতাও তেমন হয়নি। নইলে পাঁচ-ছয় মাস বয়সে কি আর সে শিকার করতে যায়? তাও আবার মুরগীর খামারে। যেখানে মোটামুটি তিন হাজার মুরগি ছিল। তাই যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। শিকারী শিকারে পরিণত হয়েছে।

ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি স্কুলের খামারে ওই ঘটনাটি ঘটে। সেখানে কিছু মুরগী মিলে একটি শিয়াল মেরে ফেলেছে। দেশটির ব্রিটানিতে একটি মুরগীর খাঁচায় শিয়ালটি ঢুকে পড়লে দরজা তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেই ঘটে অস্বাভাবিক এ ঘটনাটি।

ফ্রান্সের কৃষি বিষয়ক স্কুল গ্রস-চেনের ফার্মিংয়ের প্রধান প্যাসকেল ড্যানিয়েল বলেন, খাঁচায় ৩,০০০ মুরগী ছিল। আর এটা মুরগীর সহজাত প্রবৃত্তি। তারা ঠোঁট দিয়ে শিয়ালটিকে আক্রমণ করে। মুরগীগুলো দলবদ্ধ অবস্থায় খুবই নাছোড়বান্দা হয়ে উঠতে পারে। পরের দিনে খামারের এক কোণে শিয়ালটির লাশ পাওয়া যায়। এটার ঘাড়ে মুরগীর ঠোকরানোর চিহ্ন পাওয়া যায়।

পাঁচ একর বিস্তৃতির এ খামারে প্রায় ৬,০০০ মুরগীকে প্রাকৃতিক পরিবেশে পালন করা হয়। দিনের বেলায় খাঁচার দরজা খুলে রাখা হয় যাতে মুরগীগুলো বাইরে ঘুরে-ফিরে বেড়াতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সেসময়ই শিয়াল শাবকটি মুরগীর খাঁচায় ঢুকে পড়ে। এরপর যখন স্বয়ংক্রিয় খাঁচার দরজাটি বন্ধ হয়ে যায়, তখন পাঁচ-ছয় মাস বয়সের এ শিয়ালটি ভেতরে আটকা পড়ে।

ড্যানিয়েল বলেন, সম্ভবত এতোগুলো মুরগীর আক্রমণে শিয়ালটি ভয় পেয়ে গিয়েছিল।

 

আরো পড়ুন : উটের অবাক শোক পালন
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০৪ মার্চ ২০১৯, ১৬:৪৯

মানুষই কেবল প্রিয়জনের বিরহে শোক পালন করে। এমনটিই দাবি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে দাবি মানুষের। কিন্তু প্রিয়জনের শোক যে অন্য প্রাণীদেরও কাঁদায়, তারাও যে মুষড়ে পড়ে তারই এক নজির স্থাপন করেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের একটি উট।

রোজ যিনি হাতে করে খাওয়াতেন, পিঠে চেপে ঘুরতেন, তার আকস্মিক মৃত্যুতে খাওয়া-দাওয়াই ছেড়ে দিয়েছে উটটি।

গুজরাটের কচ্ছের জাখাউ থানার অধীনে থাকা একটি উটটি লালন পালন করতেন একজন পুলিশ সদস্য। গত ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কর্তব্যরত অবস্থাতেই মৃত্যু হয় শিবরাজ গাধভি নামে ওই পুলিশ সদস্যের। অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর গাধভি থানার একটি উটে করে সীমান্তবর্তী এলাকায় টহল দিতেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাই-অ্যালার্ট জারি হওয়ায় আরো কড়া নজরদারি চালাচ্ছিলেন ওই পুলিশকর্মী।

২৪ জানুয়ারি সকালে নিয়ম মতোই থানার উটটিকে নিয়ে ডিউটিতে বের হন গাধভি। সীমান্তের কাছে পৌঁছে প্রথমে উটটিকে খাওয়ান তিনি। এর কিছু সময় পরই গাধভী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু বুকে ব্যথা আরো তীব্র হওয়ায় মাঝপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যান ওই পুলিশ সদস্য।

কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়ায় পূর্ণ পুলিশি মর্যাদায় গাধভীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। সবার পাশাপাশি গাধভির অনুপস্থিতিতে মনমরা হয়ে তার সঙ্গী উটটিও। গাধভির মৃত্যুর পর থেকেই খাবার-পানি, কোনোটিই মুখে তুলেনি সে। দিনের পর দিন অভুক্ত থেকে রীতিমতো দুর্বল হয়ে পড়েছে উটটি।


আরো সংবাদ



premium cement