২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সবই কালো এই মুরগির, গুণাগুণ জানলে আজই যোগ করবেন ডায়েটে

- ছবি : সংগৃহীত

পালক, ঝুঁটি, ঠোঁট, নখ, মাংস, হাড় সবই কালো। রক্ত লাল হলেও তাতেও কালচে আভা আছে। ডিম শুধু সাদা। কিন্তু এই কালো ‘কড়কনাথ’ মুরগির শরীরেই অসুখমুক্তির জাদু দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতি কেজি মাংসের দাম হাজার টাকা। একহালি ডিমের দাম ১০০ টাকার বেশি। মুরগির মাংস ও ডিমের এত দাম শুনে অবাক হচ্ছেন? কেন এত দুর্মূল্য এই প্রজাতির মুগির ডিম ও মাংস, জানেন?

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, পেশীর জোর বাড়ানো, এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করছেন তারা। এই মুরগিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং প্রচুর আয়রন আছে বলে মত দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরাও। সাধারণ মুরগির চেয়ে এই কালো মুরগির মাংসে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক কম।এই মুরগির মাংসে ১.‌৯৪ শতাংশ ফ্যাট রয়েছে, যা অন্য প্রজাতির মুরগির মাংসের তুলনায় অনেকটাই কম। কিন্তু প্রোটিনের মাত্রা প্রায় কয়েক গুণ বেশি।

সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে নামখানায় এসে এই কড়কনাথ প্রজাতির মুরগি নিয়ে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুরগিকে ডায়েট চার্টে রাখার পক্ষপাতী প্রাণীপুষ্টি ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বরুণ রায়ও।

এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই কড়কনাথ মুরগি ডায়েট চার্টে রাখলে ধারেকাছে ঘেঁষবে না উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল ও রক্তাল্পতার মতো অসুখ। শুধু তা-ই নয়, এই মুরগিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় এর পুষ্টিগুণও অন্যান্য মুরগির চেয়ে অনেক গুণ বেশি। স্বাদও অনন্য।

এই বিশেষ প্রজাতির মুরগি মূলত ভারতের মধ্যপ্রদেশের। মধ্যপ্রদেশ ইতোমধ্যেই জিআই অর্জন করেছে এই কড়কনাথ মুরগিতে। এখান থেকেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই কালো মুরগি। সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটারদের পেশির জোর বাড়াতে তাদের ডায়েটেও এই মুরগি যোগ করার পরামর্শ দিয়ে বিসিসিআইকে টুইট করেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাণী বিজ্ঞানী ড. আর এস তোমর।

তবে কেবল মধ্যপ্রদেশেই নয়, এই রাজ্যেও এমনকালো মুরগির সন্ধান পেতেই পারেন, যদি কাকদ্বীপের দিকে যান। সেখানে দুর্গানগর গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব মণ্ডল ও ফাল্গুনী মণ্ডল সম্প্রতি এই মুরগি কিনে আনেন ও বাড়িতেই প্রতিপালন শুরু করেন। সাধারণ মুরগির মতোই এদের বাড়বাড়ন্ত তবে, এরা ওজনে এক থেকে দেড় কেজিই হয় এবং কোনও রকম রাসায়নিক ব্যবহার না করে স্রেফ ঘাসপাতা খেয়েই এর থেকে প্রচুর পরিমাণ ডিম পাওয়া যায়।

এই মুরগি ও তার উপকারিতা নিয়ে সম্প্রতি আরও বিস্তারিত পরীক্ষানিরীক্ষার কথাও ভাবছেন প্রাণীপুষ্টি ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।


আরো সংবাদ



premium cement
কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে, নিহত ৪৫, বাঁচল একটি শিশু ইসরাইলের রাফা অভিযান পরিকল্পনা স্থগিত এগিয়ে নিয়ে গিয়েও জেতাতে পারলেন না ত্রিস্তান

সকল