২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঠাকুরগাঁওয়ে গর্ভবতী নীলগাই ধরা পড়ল

গর্ভবতী নীলগাই ধরা পড়ল হঠাৎ করে - ছবি : সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা কুলিক নদীতে পারাপারের সময় একটি গর্ভবতী নীলগাই আটক করেছে স্থানীয় কয়েজন যুবক। পরে জনৈক জাহিদের বাড়িতে রাণীশংকৈল যদুয়ার এলাকায় নিয়ে রাখা হয় ওই নীলগাইটিকে। বিলুপ্তপ্রায় এই নীলগাইটি পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে দলছুট হয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার পটুয়া এলাকায় পথচারীরা ওই নীলগাইটিকে ধাওয়া করলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৌড়ে কুলিক নদী পারাপারের সময় নদীতে জাহিদ, বুধু, মকবুলসহ প্রায় ৫০ জন এলাকাবাসী পানিতে নীলগাইটিকে আটকের চেষ্টা করে। এসময় বুধু ও মকবুল আহত হয়। পরে অনেক কষ্ট করে এলাকাবাসী ওই নীলগাইকে উদ্ধার করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।

পরে খবর পেলে বন বিভাগের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, রাণীশংকৈল থানা পুলিশ উপস্থিত হয়। জাহিদের ভাই আবুবক্কর কোনো অবস্থাতে নীলগাইটিকে হস্তান্তর করতে না চাইলে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরোজা ওই স্থানে উপস্থিত হয়ে আবু বক্করকে বুঝিয়ে নীলগাইটি বুঝে নেন। রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরোজা বলেন, জেলা প্রশাসক মো. আখতারুজ্জামান স্যারের নির্দেশে নীলগাইটিকে দ্রুত জাতীয় উদ্যানে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নীলগাই উদ্ধার কারী জাহিদ বলেন, দ্রুতগতিতে আসা নীলগাইটি যদুয়ার এলাকায় কুলিক নদীর পানিতে পরে গেলে কয়েজন মিলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করে নিরাপদে স্থানে রাখি।
নীলগাইটি দীর্ঘদিন ধরে থাকা জঙ্গলের মালিক সদর উপজেলার পটুয়া ফকদরপুর এলাকাবাসী আকরাম বলেন, নীলগাইটিকে প্রায় ৩-৪ মাস ধরে ভুট্রার ক্ষেতে দেখেছিলেন। জঙ্গলের পাশে ধান ক্ষেত নষ্ট করলে মঙ্গলবার কয়েজন মিলে নীলগায়টিকে ধাওয়া দিলে নীলগাইটি পালিয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নীলগাইটি দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে। এই প্রাণীটির যেন কোনো সমস্যা না হয় সে দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

ঠাকুরাগাঁও জেলা প্রশাসক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নীলগাইটি এলাকাবাসী আটক করার সময় কিছুটা অসুস্থ হয়ে পরে। ঠাকুরগাঁওয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় উদ্ধারকৃত নীলগায়টি চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে। নীলগাই সুস্থ হলে সেটি কোথায় পাঠালে ভালো হয় বন বিভাগের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ।

আরো পড়ুন :

বিড়াল নিষিদ্ধ করা নিয়ে এত কাণ্ড!
বিবিসি ও গার্ডিয়ান

নিউজিল্যান্ডের একটি গ্রামে বিড়াল পোষা নিষিদ্ধ করা নিয়ে চলছে ব্যাপক হৈ চৈ। কর্তৃপক্ষ চাইছে আইন করে ওই গ্রামে বিড়াল পোষা নিষিদ্ধ করবে, কিন্তু গ্রামবাসীদের কেউ কেউ এর বিরুদ্ধে হয়েছেন সােচ্চার।

ঘটনা নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলের একটি গ্রামের। ওমাওই নামের ওই গ্রামটির বাসিন্দাদের প্রায় সবারই এক বা একাধিক পোষা বিড়াল রয়েছে। ফসল ও বাড়ি ঘরে ইঁদুরের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে, কেউ বা শখের বসে বিড়াল পোষেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে, বিড়ালের কারণে এলাকাটিতে জীব বৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই বিড়াল পোষা নিষিদ্ধ করতে চান তারা। এ বিষয়ে নতুন একটি আইন করা হবে।


আইনটির প্রস্তাব করেছেন নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের (সাউথল্যান্ড) পরিবেশ দফতর। আইন অনুযায়ী সবার পোষা বিড়ালকে জন্মনিরোধক টিকা দেয়া হবে এবং কারো বিড়াল মারা গেলে নতুন করে সে আর বিড়াল সংগ্রহ করতে পারবে না।

কর্তৃপক্ষ বলছে, বিড়ালের কারণে প্রতিবছর এলাকাটিতে লাখ লাখ পাখি ও ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী মারা যায়। তারা বলছে, আমরা বিড়াল বিরোধী নই, কিন্তু পোষা বিড়াল বাড়ির বাইরে এসে কেন পশু-পাখির ক্ষতি করবে।

২০৫০ সাল নাগাদ নিউজিল্যান্ডকে প্রাণীদের জন্য নিরাপদ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার একটি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

যদিও বাসিন্দাদের কেউ কেউ এই যুক্তি মানতে রাজি নন। নিকো জারভিস নামে এক বাসিন্দা বলেন, তিনটি পোষা বিড়ালের কারণে আমি ইদুরের উৎপাত থেকে রক্ষা পাই। বিড়াল তিনটি না থাকলে আমার বাড়ি ঘরে থাকা দায় হবে। তিনি কর্তৃপক্ষের এই পরিকল্পনাকে ‘পুলিশি রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement