২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাড়ে ৬২ হাজার একর খাস জমি অবৈধ দখলে : সংসদে ভূমিমন্ত্রী

-

দেশে বর্তমানে ৬২ হাজার ৫৩৭ দশমিক ৬১ একর খাস জমি অবৈধ দখলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। সংসদ বৃহস্পতিবার প্রাশ্নোত্তরে সরকারি দলের দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বিভাগ ভিত্তিক অবৈধ দখলে থাকা খাস জমির পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন।

বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

ভূমি মন্ত্রী জানান, ঢাকা বিভাগে ১৫ হাজার ৫৪ দশমিক ১৯ একর, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ হাজার ৮৫৯ দশমিক ৯৮ একর, খুলনা বিভাগে ৩ হাজার ৪৪৫ দশমিক ৭৬ একর, রংপুর বিভাগে ৭ হাজার ৩৮৭ দশমিক ৭৭ একর, ময়মনসিংহে ১ হাজার ৩৯৩ দশমিক ৮১ একর, বরিশাল বিভাগে ৪ হাজার ৬৯ দশমিক ৬১ একর, সিলেটে ৫ হাজার ১৬৪ দশমিক ৬৫ একর এবং রাজশাহী বিভাগে ১ হাজার ১৬১ দশমিক ৬১ একর ভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে।

সরকারি দলের নাছিমুল আলম চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অর্পিত পরিত্যক্ত ও খাসজমি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করার পরিকল্পনা সরকারের আছে।

সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ দেয়া হবে

বর্তমানে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানি ভাতা প্রদান করা হচ্ছে এবং সকল মুক্তিযোদ্ধাকে দ্রুত ডিজিটাল সনদ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সরকারি দলের সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও জাতীয় পার্টির আবু হোসেন বাবলার পৃথক দুটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এতথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, ২০১৯-২০ অর্থ বছর হতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ১২ হাজার সম্মানিত ভাতাসহ ২টি উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর হতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীগণকে রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা জনপ্রতি ২ হাজার টাকা এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবস ভাতা জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ১২ হাজার ১৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সম্মানিত ভাতা দেয়া হচ্ছে।

সৈয়দ আবু হোসেনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, মৃত মুক্তিযোদ্ধা যারা এখন পর্যন্ত সনদ পায়নি তাদেরসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুতই ডিজিটাল (স্থায়ী সনদ) দেয়া হবে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সকল শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভতির ব্যাপারে ন্যুনতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ৫শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে। যুদ্ধাহত ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা এবং অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ প্রদান। এছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভতির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ সুবিধা প্রদানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি স্মারকমূলে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ভর্তিসহ বিনা বেতনে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যদের পড়ালেখার সুযোগ প্রদান সংক্রান্ত সুবিধাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেকোনো উদ্যোগে প্রয়োজনবোধে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে।  


আরো সংবাদ



premium cement