২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় : সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রী

-

পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সংসদকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও দিক নির্দেশনায় বিগত এক দশকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে। তবে উভয় দেশ নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ায় উভয়ের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যু থাকাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আমাদেরও আছে। বাংলাদেশ পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সুপ্রতিবেশীসুলভ ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগুলো সমাধানের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উত্তরোত্তর উন্নয়নে আমাদের দু’দেশের ঐকান্তিক ইচ্ছার বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট। স্থল সীমানা ও সমুদ্র সীমার সমাধান, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমন এবং ছিটমহল বিনিময় আমাদের দু’দেশের মধ্যকার সদিচ্ছার সর্বোচ্চ প্রতিফলন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি বিপুল ভোটে পুননির্বাচিত হওয়ায় আমাদের আশাবাদ দৃঢ়তর হয়েছে যে, উভয় দেশের বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি ও পানিসম্পদের সুষম বন্টন ও তার উপযুক্ত ব্যবহারসহ অন্যান্য অনিষ্পন্ন ইস্যুসমূহেরও শীঘ্র নিষ্পত্তি হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরিত নির্বাচনোত্তর শুভেচ্ছা বার্তার প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান যে, তাঁর সরকার পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় ’প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির অনুসরণ করবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে, এর ভিত্তিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবেন। এ সদিচ্ছার ধারাবাহিকতায় উভয় দেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন ইস্যুসমূহেরও নিষ্পত্তি হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

বিদেশে প্রায় ৯ হাজার বাংলাদেশী বন্দী

সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম এ আবদুল মোমেন বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানামতে ৮ হাজার ৮৪৮ জন বাংলাদেশী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জেলে বা ডিটেনশন সেন্টারে আটক আছে। কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদেশী কারাগারে আটক বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যতম দায়িত্ব। এটা রুটিন মাফিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দূতাবাসের সাহায্যে করে আসছে।

তিনি বলেন, যখনি কোন বাংলাদেশীদের প্রত্যাবাসন জরুরী হয়ে পড়ে দূতাবাস সংশ্লিষ্ট দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সে দেশের আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রবাসীদের জন্য ভ্রমণ ডকুমেন্ট (পাসপোর্ট/ট্রাভেল পাস) তৈরী করে দেয়। অনেক সময় সাজার মেয়াদ কমিয়ে দেয়া, সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নেয়া অথবা আইনজীবী নিয়োগ করে মামলা পরিচালনা করে আটককৃতদের মুক্তির ব্যবস্থা করা, এ সবই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিতভাবে করে আসছে।

অতিসম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া, তিউনিশিয়া, লিবিয়া ও ভানুয়াতু থেকে আটকে পড়া অনেক বাংলাদেশী দূতাবাসের সার্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে ফিরে এসেছে বা বাংলাদেশে ফিরে আসার প্রক্রিয়াধীন আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো ৭১ জন নিহত পানছড়ি উপজেলায় চলমান বাজার বয়কট স্থগিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে : দুদু যুক্তরাষ্ট্র টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের এন্ডারসন লড়াই ছাড়া পথ নেই : নোমান জার্মানির অর্থ যেভাবে সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধে ব্যবহার হচ্ছে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেনের মেয়াদ বাড়ল

সকল