ম্যান্ডেটহীন সরকার পুলিশকে দলীয়করণ করেছে : রুমিন ফারহানা

বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, জনগণের ম্যান্ডেটবিহীনভাবে ক্ষমতায় থাকার ফল স্বরুপ পুলিশকে পুরোপুরি দলীযকরন করা হয়েছে সরকার। এদের যাবতীয় মুরদ দেখা যায় বিরোধী দলীয় কর্মীদের বিনা বিচারে হত্যা, গ্রেফতার, নির্যাতন আর কারাগারে প্রেরনের মধ্যদিয়ে। বরগুনার রিফাত হত্যাকান্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার পর প্রধানমন্ত্রী খুনীদের ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ অপরাধী ধরবার কথা পুলিশের এবং এটা তাদের রুটিন কাজ।

সংসদে রোববার কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে জরুরি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আনিত এক নোটিশে তিনি একথাবলেন। নোটিশটি গৃহীত না হলে নোটিশের ওপর দুই মিনিটের আলোচনার সুযোগ পান রুমিন ফারহানা। এসময় সংসদের বঠকে সভাপতিত্ব করছিরৈন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রুমিন ফারহানা বলেন, কোন হত্যাকান্ডের পর ফেসবুক টুইটারে না আসা তখন পর্যন্ত সেটার প্রতি প্রশাসনের তেমনকোনো মনোযোগ থাকে না। ঘটনা ঘটলেই এখন দেখতে পাই,প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রীতো নির্বাহী বিভাগের প্রধান। বিচার করার জন্য আইন আদালত আর বিচার বিভাগ আছে। বিচার চাইতেই হবে কেন?

তিনি বলেন, যদি পুলিশ প্রশাসন আদালত তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে তাহলেতো বিচার চাইবার প্রশ্নই ওঠে না। সম্প্রতি বরগুনায় রিফাত হত্যাকান্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঞ্চল্য তৈরির পর প্রধানমন্ত্রী খুনিদের ধরার নির্দেশ দিয়েছেন, অথচ অপরাধী ধরার কথা পুলিশের এবং এটা তাদের রুটিন কাজ। এজন্য তারা জনগণের টাকায় বেতন পেয়ে থাকে। রিফাত সৌভাগ্যবান যার হত্যার ভিডিও ফেসবুকে এসেছে। গত এক মাসে ২২ জন কুপিয়ে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। তাদের খুনিদের ধরতে তেমন কোনো তৎপরতা দেখি না।

তিনি আরও বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকান্ডর সাত বছর পেরিয়ে গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনের সময়৬৫বার পিছিয়েছে। সম্ভবত এই হত্যার সাথে এমন সব ক্ষমতাসীনরা জড়িত যাদের ধরার ক্ষমতা সরকারের নেই। বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড ছিল বীভৎস একটি ঘটনা। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে মূল আসামিরা মৃত্যুদন্ডের বাইরে থেকে যায়। ইতোমধ্যে খবর আসছে রিফাত হত্যাকারীদের রক্ষার জন্য বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সহসভাপতি অত্যন্ত তৎপর আছেন।জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন ক্ষমতায় থাকার ফলস্বরূপ পুলিশকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে। জনগণের ম্যান্ডেন্ডবিহীনভাবে ক্ষমতায় থাকার ফল স্বরুপ পুলিশকে পুরোপুরি দলীযকরণ করা হয়েছে। এদের যাবতীয় মুরদ দেখা যায় বিরোধী দলীয় কর্মীদের বিনা বিচারে হত্যা, গ্রেফতার, নির্যাতন আর কারাগারে প্রেরণের মধ্যদিয়ে।