২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আ’লীগ ক্ষমতায় আসা মানেই শেয়ার বাজার ধ্বংস হয়ে যাওয়া

সংসদে রুমিন ফারহানা - ছবি : সংগৃহীত

সংসদে বিএনপিদলীয় সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারাহানা বলেছেন, দেশের আর্থিক খাত আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ব্যাংকগুলো তারল্য সঙ্কটে ধুঁকছে। দুর্নীতি এখন মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের ব্যাপারে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে, কী আশ্চর্য আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসা মানেই শেয়ার বাজার ধ্বংস হয়ে যাওয়া কিন্তু এসব ব্যাপারে বাজেটে কোনো নির্দেশনা নেই। 
সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে গতরাতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি মোট ১৮ মিনিট কথা বলার সুযোগ পান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন। রুমিন ফারহানা প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে এ সময় কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার দিনে দিনে বিদেশী ঋণের কব্জায় পা বাড়াচ্ছে, বর্তমানে বিদেশী ঋণের পরিমাণ ৭৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যে শিশু আজ জন্মগ্রহণ করেছে তার মাথার ওপর ঝুলছে ৮০ হাজার টাকার বেশি ঋণ। দরিদ্রতম দেশের মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম। সরকার যে ঋণ খেলাপিদের সঙ্গে আছে তা ইতোমধ্যে সরকারে কর্মকাণ্ডে বোঝা যাচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
রুমিন ফারাহানা বলেন, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে বেড়ে বর্তমানে হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। আদায়ের কোনো লক্ষণ নেই। আবার ঋণ খেলাপিদের ছাড় দেয়ার তোড়জোড় চলছে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন ঋণ খেলাপিদের মাফ করা হবে, যদিও কোর্টের নির্দেশে তা বর্তমানে বন্ধ হয়ে আছে। এসব কাদের জন্য, কারা এত ঋণ খেলাপি, কেন সরকারের তাদের প্রতি মোহ, কেন সুবিধা দিতে সরকার চায়, এটা জনগণ জানতে চায়, সরকার কার টাকা মাফ করবেন, জনগণের টাকা এটা, খেলাপি ঋণ আদায়ের কোনো সদিচ্ছা দেখা যায় না। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, এক গোপালগঞ্জ জেলাতে ১০ জেলার পাঁচ গুণেরও বেশি উন্নয়ন বাজেট চেয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়, এ থেকেই বোঝা যায় কতটা বৈষম্য হচ্ছে।

বাংলাদেশ কর জিডিপির অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। দেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে আয়কর দেয়া মানুষের সংখ্যা ২১ লাখ মাত্র। এবার বাজেটে বলা হয়েছে, মাসে ২০ হাজার টাকা আয় থাকলে তাকেও কর দিতে হবে। বিদেশী কর্মীরা ৮৫ হাজার কোটি টাকায় আয় করে নিয়ে যায়। তাদের এখানে কাজ করার বৈধতা আছে কি না, কেন বিদেশী কর্মী আনা হচ্ছে। এরা কর দেয় না। এরা যদি ২০ শতাংশ কর দিত তাহলে ১৭ হাজার কোটি টাকা আয় হতো।

তিনি বলেন, ১৪ হাজার কোটি টাকা রূপপুরে বরাদ্দ হলেও শিক্ষায় মাত্র জিডিপির ২.১ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। শিক্ষায় জিডিপির ৬ শতাংশ যা হওয়া উচিত ছিল মোট বাজেটের ২০ শতাংশ। শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশের আশপাশেও নেই। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালের মালিকদের সুবিধা দেয়া হয়েছে বাজেটে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ বরাদ্দ দুঃখজনক। কৃষকের প্রতি কোনো সংবেদনশীলতা দেখায়নি এ বাজেটে। ২০২০ সাল পর্যন্ত বিদ্যুতে কুইক রেন্টালের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে লুটপাটের জন্য। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎখাতে লোকসান দিতে হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। রাষ্ট্র এখন শোষকের পক্ষে, শোষিতের বিপক্ষে।


আরো সংবাদ



premium cement
অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি

সকল