২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মনসুর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সদস্য

মনসুর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সদস্য - সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল গণফোরামের এই নেতাকে পূণর্গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুকে।

রোববার বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পুর্নগঠনের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সংসদ সদস্য আফছারুল আমীন, কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. হাবিবর রহমান, জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য সামসুল আলম দুদু, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান, জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান, খাগড়াছড়ি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

আরো পড়ুন : বহিষ্কৃত মনসুর যোগ দিয়েছেন সংসদ অধিবেশনে
নয়া দিগন্ত অনলাইন ০৮ মার্চ ২০১৯

গণবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে গণফোরাম থেকে বাহিষ্কার করা হয়েছে। তবে বহিষ্কার হওয়ার পরেও তিনি সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে শপথ নেন সুলতান মনসুর। তার কয়েক ঘণ্টা পর দল গণফোরাম থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় জাতীয় সংসদের বৈঠক। তখনই তাকে দেখা যায় অধিবেশন কক্ষে।


স্পিকারের আসনের বাম পাশে বিরোধী দলের আসনের দ্বিতীয় সারিতে সুলতান মনসুরকে আসন দেয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় বক্তব্যও দেন তিনি। শপথ নেওয়ার পর সুলতান মনসুর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জোটের শীর্ষ নেতা অর্থাৎ কামাল হোসেনকে ‘জানিয়েই’ তিনি শপথ নিয়েছেন।

তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিকালে মতিঝিলে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে সুলতান মনসুরকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, কামাল হোসেনের ‘নির্দেশেই’ এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

সুলতান মনসুরকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্টু, যে জোটে গণফোরাম ছাড়াও রয়েছে বিএনপি, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কামাল হোসেনের উদ্যোগে বিএনপিকে নিয়ে এই জোট গঠিত হয় এবং জোটের প্রায় সব প্রার্থী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন।

সুলতান মনসুরও মৌলভীবাজার-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হন। তিনিসহ জোটের মোট আটজন জিতলেও হেরে যান বাকি সবাই।

ফল ঘোষণার পর ‘ভোট ডাকাতি’র অভিযোগ তুললেও কামাল হোসেন ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজয়ীদের শপথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে বিএনপির অনড় অবস্থানের মধ্যে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত কেউ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবে না।

কিন্তু এর মধ্যে গণফোরামের হয়ে নির্বাচনে জিতে আসা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নেওয়ার আগ্রহ জানিয়ে চিঠি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে।

শেষ মুহূর্তে মোকাব্বির দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থেকে বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে না গেলেও সুলতান মনসুর গিয়ে শপথ নেন।

শপথ নেওয়ার পর ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ বলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সংগঠনিক সম্পাদক, যিনি ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে দলে অপাঙক্তেয় হয়ে পড়ার কয়েক বছর পর ভিড়েছিলেন আওয়ামী লীগেরই এক সময়ের নেতা কামাল হোসেনের সঙ্গে।

ধানের শীষ প্রতীকে ভোটে জয়ী হয়ে জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সুলতান মনসুর শপথ নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ঘটনাটিকে ‘ছলনা’ বলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।


আরো সংবাদ



premium cement