১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সংলাপের জন্য সরকারকে চিঠি দেবে ঐক্যফ্রন্ট

সংলাপের জন্য সরকারকে চিঠি দেবে ঐক্যফ্রন্ট - সংগৃহীত

তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপসহ ৭ দফা জানিয়ে শিগগিরই সরকারকে চিঠি দেবে নতুন রাজনৈতিক মোর্চা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রোববার বিকেলে ঐক্য ফ্রন্টের নেতাদের এক বৈঠকের পর জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে বলেন, আমরা সরকারকে দাবি জানাব যে, তফসিল ঘোষণার পূর্বে বৈঠক করার জন্য আমরা যারা অংশী, আমরা যারা শরিক, আমরা যারা নির্বাচন করতে চাই তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা না করে যেন তফসিল ঘোষণা না করা হয়। সেজন্য আমরা ৭ দফা দাবি সরকার ও সরকারি দলকে চিঠি দিয়ে জানাবো। একইভাবে আমাদের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনেও আমাদের একটি প্রতিনিধিদল যাবে।

রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কার্যালয়ে এই বৈঠক বসে বিকাল ৫টায়। চলে আড়াই ঘন্টাব্যাপী। গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেন ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা দেন। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, বরকতউল্লাহ বুলু, মনিরুল হক চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোহাম্মদ শাহজাহান, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, আবদুল মালেক রতন, শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার, মোকাব্বির খান, শফিক উল্লাহ, মোশতাক আহমেদ, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমেদ, আ ব ম মোস্তফা আমিন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম, জাহেদুর রহমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও ছিলেন। গণফোরামের কার্যালয়ে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।


কবে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকে চিঠি দেবেন প্রশ্ন করা হলে রব বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্যাডে লিখিতভাবে ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করে আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে চিঠি যাবে। তবে কবে দেয়া হবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। যতটুকু সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আমি আপনাদেরকে বলেছি। যুক্তফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেন, আজকে সকালে চট্টগ্রামে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিলেটের জনসভার আগেই তার মুক্তি দাবি করছি।

তিনি জানান, আগামী ২৪ অক্টোবর সিলেটে রেজিস্ট্রি মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে জনসভা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন ও প্রধান বক্তা থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
আ স ম রব বলেন, আমরা বলেছি আমরা যেকোনো উপায়ে সিলেটে যাবোই। আমাদের যাওয়ার ঘোষণায় সরকার বুঝেছে -বাঁধা দিলে বাঁধবে লড়াই , এই লড়াইয়ে জিততে হবে। আমরা কোনো চাপের কাছে, কোনো স্বৈরাচারি আচরণের কাছে মাথানত করবেনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এটা বুঝতে পেরে সরকার সিলেটের জনসভার এই অনুমতি দিয়েছে।

এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই তাদের এই শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ার জন্য। আমি আশা করি, আগামী ২৭ তারিখে চট্টগ্রামের জনসভারও তারা অনুমতি দেবে। রাজশাহীর জনসভার তারিখ ৩০ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে ২ নভেম্বর করা হয়েছে। তিনি জানান, সুশীল সমাজ-বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় হবে ২৬ অক্টোবর বিকাল তিনটায় হোটেল পূর্বানী। এছাড়া শিক্ষকদের সাথেও মতবিনিময় করা হবে। যার সময়সূচি নির্ধারণ হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement