২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেঁটে হওয়া কষ্টের নয় আনন্দের

অ্যালান মট্ট - বিবিসি

বেঁটে হওয়াটা অনেক নারী-পুরুষই অপছন্দ মনে করেন। কিন্তু এ অপছন্দের ব্যাপারটিকেই ভালো লাগার মধ্যে নিয়ে এসেছেন কানাডার অ্যালান মট্ট। তিনি কানাডার পুরুষদের চেয়ে গড়ে সাত ইঞ্চি বেশি খাটো। তাতে অবশ্য আফসোস নেই তার। কারণ এই অভাবকেই বিশেষভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। শুনুন তার সেই গল্প।

আপনি কি কখনো বিপরীত লিঙ্গের সদস্যদের কাছে (নারী) জনপ্রিয় হওয়ার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন?

যখন আমি স্কুলের খেলার জায়গায় খেলা করতে যেতাম, তখন আমার ক্ষেত্রে ঠিক এই ব্যাপারটি ঘটেছে। যখন আমি সেখানে যেতাম, তখনি বড় বড় মেয়েরা চিৎকার করতে শুরু করতো আর আমার পেছনে ছুটতে শুরু করতো, যতক্ষণ না আমার পালানোর সব পথ বন্ধ হয়ে যেতো। যখন তারা আমাকে ধরতে পারতো, আমাকে জড়িয়ে ধরে আদর করত। এরপরে আমি খেলার সুযোগ পেতাম অথবা আরেকটা দলের কাছে একই ঘটনায় পড়তে হতো।

আমার বয়স তখন ছিল পাঁচ। সবাই আমাকে আদর করতো। কানাডার আলবার্টার এডমন্টনের মি-হা-নোহ স্কুলের সবচেয়ে খুদে শিশু ছিলাম আমি।

এমনকি ওই বয়সেও, আমি বুঝতে পারতাম যে, ছোট হওয়ার কারণেই মানুষজন আমার সাথে আলাদাভাবে ব্যবহার করছে।

যেটা তখন আমি বুঝতে পারিনি, তা হলো, পরের বছরেই এই আচরণ পাল্টে অগ্রহণযোগ্য একটা অবস্থায় রূপ নেয়।

আমি ছিলাম সবার আদরের একটি ছোট্ট শিশু, ক্লাসের সবচেয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থী। আগে আমি বাইরে যেতে পছন্দ করতাম। কিন্তু খেলার স্থানে বাজে মন্তব্যের কারণে খেলার সময়ে বরং লাইব্রেরিয়ানকে বই গোছাতে সাহায্য করতে শুরু করলাম।

সত্যি কথাটি হলো, বংশগত কারণেই আমার আর লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। আমার মা মাত্র পাঁচ ফুট লম্বা আর আমার বাবা ছিলেন পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা।

সুতরাং আমাদের চিকিৎসক ধারণা করলেন, ভাগ্য খুব ভালো হলে আমি হয়তো সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা হতে পারি, যা কানাডার পুরুষদের গড় উচ্চতা থেকে বেশ নিচে।

এটা পরিষ্কার হয়ে গেল যে, চিকিৎসক ভুল বলেননি। আমার ১৩-তম জন্মদিনের পর আমার উচ্চতা বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গেল।

আমার সারা জীবনের উচ্চতা শেষ পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়ালো পাঁচ ফিট এক ইঞ্চি। বামন হিসাবে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে সরকারি বা চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে উচ্চতার কথা বলা হয়েছে, তার চেয়ে আমার উচ্চতা মাত্র চার ইঞ্চি বেশি।

পশ্চিমা সমাজে একজন বেঁটে ব্যক্তি হিসাবে জন্ম নেয়ার কারণে যা ঘটে, পরের বছরগুলোতে আমি সে বিষয়গুলো লক্ষ্য করলাম-

১. এটা ভীতিকর একটা ব্যাপার।

২. এ নিয়ে আপনার অভিযোগ কেউ শুনতে চায় না।

আমি এই বিষয়ে অনেকটা চুপ করে থাকতে শুরু করলাম। আমি শুনতাম অনেক মানুষ আমাকে বলছে, ''এই যে, এদিকে আসো। বেঁটে হওয়ার জন্য তোমার সাথে কেউ আলাদা আচরণ করবে না।'' (যেসব মানুষ এই কথা আমাকে বলেছে, তাদের সবার উচ্চতা কমপক্ষে পাঁচ ফিট দশ ইঞ্চি।)

কিন্তু আমি জানি, আমাদের সমাজে খাটো হিসাবে জন্ম নেয়ার বাস্তবতা কী? লিঙ্গ, বর্ণ, ধর্ম নিয়ে যতটা বৈষম্য রয়েছে, তেমনি উচ্চতা নিয়েও তেমন বৈষম্য রয়েছে।

ফরচুনের পাঁচশ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের একটি তালিকা একবার আমার চোখে পড়ে। সেখানে বেশিরভাগই পুরুষ, হাতে গোনা কয়েকজন সপ্রতিভ নারী, তাদের সবার উচ্চতা প্রায় ছয় ফিট। অনেকে এর চেয়েও বেশি লম্বা ছিলেন।

এটা গোপন কিছু নয় যে, একই কর্মক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের চেয়ে কম আয় করে। মানুষের এটাও জানা উচিত যে, চাকরির বেতনের ক্ষেত্রে উচ্চতাও একটি বড় বিষয়।

ম্যালকম গ্লাডওয়েলের লেখা বই, ব্লিকের তথ্য অনুযায়ী, ধারণা করা হয় যে, প্রতি ইঞ্চি উচ্চতার জন্য বার্ষিক বেতনে অতিরিক্ত ৭৮৯ ডলার বেশি হতে পারে।

এর মানে হলো, যে ব্যক্তির উচ্চতা ছয় ফিট, তিনি আমার সাথে একই চাকরি থাকলেও, আমার চেয়ে বছরে ৭৮৯০ ডলার বেশি আয় করবেন।

যখন আমি এটা পড়লাম, আমার কাছে অবাক লাগলো না। আমার হৃদয় জানতো, আমি সবসময়েই জানতাম, এটা সত্যি।

বেঁটে ব্যক্তিদের সমাজ এই শিক্ষা দেয় যে, তাদের দিকে যা ছুঁড়ে দেয়া হবে, সেটাই তাদের গ্রহণ করা উচিত।

যখন আমি একটা নতুন চাকরি পেলাম আর তারা আমাকে নির্দিষ্ট একটা বেতনের কথা বললো, আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বললো, ''আমি যা আশা করছিলাম এটা তার চেয়ে কম। আচ্ছা, ঠিক আছে, আমার এটা গ্রহণ করা উচিত।''

হয়তো একটা লম্বা ব্যক্তির অন্যরকম অনুভূতি হতো, তিনি হয়তো বলতেন, ''না, আমার আরো দশ হাজার বেশি দরকার।''

আপনার কি কখনো একটি রুমে ঢোকার পরে মনে হয়েছে যে, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনাকে যাচাই করে বাতিল করে দেয়া হলো?

বেঁটে মানুষরা এই অনুভূতি খুব ভালো করে জানে। এখানেই সেই কষ্টকর শব্দ ''লিটল নেপোলিয়ন'' এসেছে, যার মাধ্যমে খাটো মানুষের সফল হওয়ার স্বপ্ন নাকচ করে দেয়া হয়।

যদি ছয় ফিট উচ্চতার একজন পুরুষ নিজের জন্য দাঁড়ায়, সেটাকে বলা হয় আত্মবিশ্বাস। কিন্তু আমার উচ্চতার কাউকে লড়াই করতে দেখলে বলা হয় নিরাপত্তাহীনতায় এবং অভাবে রয়েছে।

একসময় বাজারজাতকরণের একটি চাকরি করতাম, সেখানে নানা মিটিংয়ে আমাকে কথা বলতে হতো। আমি যেসব পরামর্শ দিতাম, সেগুলো বাতিল করে দেয়া হতো, কিন্তু কয়েক মিনিট পরে আরেকজনের একই ধরণের পরামর্শ মেনে নেয়া হতো।

মিটিংয়ের লোকজন বলতো, ''খুব ভালো একটা আইডিয়া হয়েছে।''

আমার নিজের বক্তব্য শোনানোর জন্য আমাকে লড়াই করতে হতো, কিন্তু এরপরে বিরক্তিকরভাবে চাপ দিতে শুরু করলাম।

কারণ আমার পরামর্শ যত ভালোই হোক না কেন, সেটা গ্রহণ করা হবে না বলে যেন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যে আমার ভালো কিছু বলার ক্ষমতা নেই।

আমি দেখেছি, আমার অনেক নারী সহকর্মী ও বন্ধুদের একই ধরণের ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

তারা এই ধরণের বৈষম্যকে লিঙ্গ বৈষম্য বলে দেখলেও, আমি অবাক হয়ে ভাবতাম আকৃতির কারণেও এটা কতটা হচ্ছে?

অনেক সময় আমি নিজেকে প্রশ্ন করতাম যে, আমি কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ''হয়তো এই মানুষগুলো সবার সাথে এরকম আচরণই করে?'' আমি ভাবতাম।

তবে একটি বৈঠকে এটা পরিষ্কার হয়ে গেল। সেখানে চিন্তা করার একটা পর্ব ছিল, যেখানে একটা প্রকল্পের ব্যাপারে সবাই পরামর্শ দিচ্ছিল।

সেই পর্বে আমি বললাম, ''এটা বিপরীত দিক থেকে শুরু করা যায় না?'' ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সাথে সাথে আমাকে চুপ করতে বললেন।

পুরো রুমটি নীরব হয়ে গেল এবং তিনি বুঝতে পারলেন কাজটা ঠিক হয়নি। আমি একজন সহকর্মীকে ধন্যবাদ দেবো, তিনি আমার পক্ষে অবস্থান নিলেন।

''এই বৈঠকে চালিয়ে যাওয়া সত্যিই খুব কঠিন, যখন আপনি অ্যালানকে এভাবে চুপ করিয়ে দেবেন।'' তিনি বললেন।

অন্য সবাই একমত হওয়ায় আমার কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে গেল, কোনো কারণ ছাড়াই তিনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছিলেন।

প্রেমের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কী ঘটে?
বাস্তবতা হলো, একজন বেঁটে মানুষ হিসাবে দশজন নারীর মধ্যে আটজনই আপনাকে একজন সম্ভাব্য সঙ্গী হিসাবে প্রথম দেখায় নাকচ করে দেবে।

বাকি দু'জনও হয়তো চলে যাওয়ার কারণ খোঁজার আগে, আপনাকে তুলে ধরার জন্য কয়েক মিনিটের সুযোগ দিতে পারে।

যখন আমি আমার নারী বন্ধুদের বলি যে, নারীরা বেঁটে মানুষদের সাথে ডেটিং করতে পছন্দ করে না, তারা সবসময়েই একই কথা বলে, ''এটা সত্যি নয়।

আমি নিশ্চিত, অনেক মেয়ে আছে যারা বেঁটে মানুষদের পছন্দ করে।''

''তুমি কি এরকম কারো সাথে প্রেম করেছো?'' আমি জানতে চাই।

''উমম, না...'' তাদের জবাব।

''তুমি কি করবে?''

তখন একটি অস্বস্তিকর নীরবতা নেমে আসে।

স্টিভেন লেভিট এবং স্টিফেন ডুবনারের জনপ্রিয় বই ফ্রেকোনোমিক্সে বলা হয়েছে, অন্য যেকোনো গ্রুপের তুলনামূলক বেঁটে মানুষরা অনলাইনে ডেটিং প্রোফাইলে অনেক কম সাড়া পেয়ে থাকে।

তবে এর ব্যতিক্রমও আছে, যা অনেকেই তুলে ধরতে পছন্দ করে।

''নারীরা প্রিন্সকে (গায়ক) ভালোবাসে এবং সেও ছিল বেঁটে,'' এমন কথা আমি অনেকবার শুনেছি।

সুতরাং এখন আমার যা করা উচিত যে, আমার পুরো জীবনটা আট ইঞ্চি উঁচু জুতা পড়ে থাকতে হবে, এবং সংগীতের একজন জনপ্রিয় তারকা হতে হবে, যার লাইভ কনসার্টগুলো হবে তার প্রজন্মের সেরা অনুষ্ঠান।

আমি একজন বেঁটে পুরুষের কথা শুনেছি, যে লম্বা নারীদের পাশে অস্বস্তিতে ভুগতো। আমার ধারণা, সব নারীরাও একই রকম অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যায়।

আমার লম্বা নারী বন্ধুদের বলতে শুনেছি, ''সে আমাকে হাই হিল পড়তে দেয় না'' এবং ''মানুষ আমাদের দিকে কীভাবে তাকাচ্ছে, সেটা নিয়ে সে খু্বই চিন্তিত'' ইত্যাদি।

কিন্তু আমার সঙ্গী যদি ছয় ফিট লম্বাও হতো, আমি তা নিয়ে একদম ভাবতাম না।

অনেক মানুষ অবচেতন মনে ভাবে যে উচ্চতার সাথে শক্তি, বুদ্ধি এবং প্রভাবের সম্পর্ক আছে।

এ কারণে বেঁটে মানুষদের তুলনায় লম্বা ব্যক্তিরা ভালো নেতা হয় বলে মনে করা হয়।

আমি স্বীকার করি, অনেক সময় আমি মনে করি, যেমন হওয়া উচিত, তার চেয়েও আমি আমার জীবনটা খারাপভাবে কাটাচ্ছি।

যদি আমার উচ্চতা আর পাঁচ ইঞ্চি বেশি হতো, তাহলে কি জীবনটা আরো সহজ হতো? হয়তো। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমি যে জীবন কাটাচ্ছি, সেটা অসহ্য কষ্টের আর যন্ত্রণায় ভরা।

আজ আমি যা হয়েছি, তার কারণও আমার উচ্চতা। এটা আমাকে ঝুঁকি নেয়ার সাহস দিয়েছে, যাকে আমি বলি 'প্যারাসুট সিনড্রোম।

ভীতিকর একটি পরিস্থিতিতে, আমি অন্যদের মতো ভয় পেলেও, আমার প্রতিক্রিয়া হয়, আচ্ছা ঠিক আছে, আমি একটি বিমানের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি-হয়তো লাফ দিতেও হবে। এর চেয়ে খারাপ আর কী হতে পারে?''

একসময় যখন আমি নতুন একটি চাকরি শুরু করি, তখন কোম্পানি সব কর্মীকে নিয়ে এডমন্টনে একটি কনসার্ট এরিনায় বৈঠকের আয়োজন করেছিল।

তখন একটা রীতি ছিল যে, কোম্পানিতে যোগ দেয়া নতুন কর্মীদের জন্য একটি অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। ওই ভ্যেনুতে ব্রুনো মার্স (যে আমার চেয়ে তিন ইঞ্চি লম্বা) গান গেয়েছিল, তাই তার একটি গান আমাদেরও গাইতে বলা হলো।

স্টেজে সবাই গুঞ্জন শুরু করলো যে, আমরা এটা করবো না।

আমি ব্রুনো মার্সের কোনো গান কখনো শুনিনি। সুতরাং আমি আমার ফোনে গুগল করে তার গানের কথা খুঁজে বের করলাম এবং মাইক্রোফোন কাছে টেনে নিলাম।

আমি সুরটা জানতাম না, সুতরাং আমি চোরুসের 'লকড আউট অফ হেভেন' গানের সুরে গান গাইতে শুরু করলাম, সবার সামনে, যাদের সাথে আমার নতুন কর্মজীবন শুরু হচ্ছে।

যখন আমি সবার সামনে এই কাজটি করলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে সাথে আমার নাম জেনে গেলেন।

এটা করার আত্মবিশ্বাস আমার ছিল, কারণ আমার সম্পর্কে মানুষের ধারণা বদলে দেয়ার অদম্য ইচ্ছা আমার ছিল। তারা হয়তো আশা করে আমি চুপচাপ থাকবো আর নিজেকে গুটিয়ে রাখবো। কিন্তু আমি তো বিমান থেকে ঝাঁপ দিতে পারি।

আশা করা যায়, তখন আমার প্যারাসুট ঠিকঠাক কাজ করবে।

আমি এখন একজন লেখক, আর কারণও হয়তো আমার বেঁটে হওয়া। আমি আগেই উল্লেখ করেছি, খাটো মানুষরা যখন কথা বলে, তাদের গুরুত্বের সাথে নেয়া হয় না।

সুতরাং নিজেকে প্রকাশ করার জন্য লেখালেখি ভালো একটা উপায় হতে পারে।

এটা আমার নিজস্ব দক্ষতা। প্রথমে আমি ভুতের গল্প লিখতে শুরু করি।

যদিও আমার বই আঞ্চলিক সেরা বিক্রির তালিকা পার হতে পারেনি, কিন্তু আমার অনেক ব্যক্তির সাথে দেখা হয়েছে, যারা আমার বই পড়েছে এবং সেটা চমৎকার একটা অনুভূতি।

আমার বয়স যতো বাড়ছে, আমি মনে করি, আমার দৃষ্টিভঙ্গি ততো ভালো হচ্ছে।

কয়েক বছর আগে আমি উপলব্ধি করেছি, আমি আগে ভাবতাম, আত্ম-সমালোচনা করলে আমাকে ভালো লাগবে।

কিন্তু একটা পার্টিতে একজন ব্যক্তির সাথে আমার দেখা হলো, যে আমাকে বললো, আর একবার তুমি নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বললে তোমাকে ঘুষি মারবো।

সুতরাং আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আমি কতটা চমৎকার আর দেখতে সুন্দর, তা নিয়ে কৌতুক করবো। আমি দেখতে পেলাম, মানুষ এটা পছন্দ করছে। তারা যখন আমার সাথে হাসছে, সেটা খুবই ভালো আর ইতিবাচক। আমি সুদর্শন সেটা সমাজ মনে করে না, কিন্তু আমি নিজেকে সুন্দর বলে সবসময়েই দাবি করতে পারি।

ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করা প্রতিটা সেলফিতে আমি লিখেছি, ''আরেকটি সুন্দর দিন' অথবা 'তুমি কি এতোটা সুন্দর সহ্য করতে পারবে?' আমি আর নিজেকে নিয়ে আত্ম-সমালোচনায় ভুগি না।

যখন আমি অতীতের কিছু অর্জনের দিকে তাকাই, তখন ভাবি, একজন বেঁটে লোক না হয়ে সাধারণ একজন মানুষ হলে এর কিছুই সম্ভব হতো না।

-বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সাথেপ্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে : নসরুল হামিদ গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা

সকল