২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

শুধু ওর জন্য দোয়া করুন...

মা-বাবা অপেক্ষায় আছেন অলৌকিক কিছুর ঘটার... - মিরর

ফুটফুটে শিশুটির মুখে এখন ভুবন ভুলানো হাসি লেগে থাকার কথা। হাত-পা ছুঁড়ে খেলার কথা। চারপাশে থাকার কথা প্রিয় মানুষদের দেয়া নানা রঙের খেলনা। কিন্তু সে এখন শুয়ে আছে হাসপাতালের বিছানায়। মুখে লাগানো নল। আর চারপাশটায় ছড়ানো নানা যন্ত্র।

হাসপাতালের বিছানায় পড়ে থাকা ফুটফুটে এই শিশুটির নাম কার্টার কুকসন্স। মাত্র কিছুদিন আগেই পৃথিবীর আলো দেখেছে 'ও'। কিন্তু খুব বেশি সময় সন্তানের জন্মের আনন্দে ভাসতে পারেননি সারাহ-ক্রিস দম্পতি। কারণ কার্টারের জন্মের ঘণ্টাখানেক পরই তিনবার হার্ট অ্যাটাক হয়। সব আনন্দ বিষাদে ছেয়ে যায়।

এরপর চিকিৎসকরা কার্টারের হার্টে পেসমেকার লাগিয়ে দেন। ভেবেছিলেন তাতে কাজ হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কার্টারের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এখনো মেশিনের সাহায্যে ছোট্ট প্রাণটিকে চলতে হচ্ছে।

এর আগে ২০১০ সালে সারাহর প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, নানা শারিরীক জটিলতায় দুই বছর বয়সে মারা যায় ছেলে চার্লি। বেঁচে থাকা বেশিরভাগ সময় তাকে হাসপাতালের বেডে কাটাতে হয়েছে। সেই কষ্ট তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল এই দম্পতিকে। এরপর দ্বিতীয় সন্তানের আগমনের খবর পান তারা। অনেক সাহস নিয়ে সময়গুলো পার করছিলেন এই দম্পতি। এই সময় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই ছিলেন সারাহ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে বিপদের আভাস পান। তাই সময়ের দুই সপ্তাহের আগেই বক্সিং ডে'তে জন্ম নেয় দ্বিতীয় ছেলে কার্টার। কিন্তু জন্মের পরই সমস্যা দেখা দেয়।

চিকিৎসক বলেছেন, 'কার্টারের সার্জারি প্রয়োজন। হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট অথবা কোনো মিরাকেলই বাঁচাতে পারে কার্টারকে। ওর জন্য শুধু প্রার্থনা করুন।'

এরপর সন্তানকে বাঁচাতে ফেসবুকে আবেগঘন একটি আবেদন জানান মা সারাহ। লিখেন, 'আমাদের ফুটফুটে ছেলেটি পৃথিবীর বুকে হেসে-খেলে বেড়াতে পারবে, যদি সে একটি নতুন হৃৎপিন্ড পায়। সেই হৃৎপিন্ড তার সারা শরীরে শক্ত বইয়ে দিবে। পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে আমাদের একটি হৃদপিন্ড প্রয়োজন। আর যদি না পাই তো, আমাদের পৃথিবীটা অন্ধকারে ছেয়ে যাবে। আমাদের ছেড়ে চলে যাবে সে। আমি বলে বোঝাতে পারব না, কত কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। কিন্তু আমরা হাল ছাড়ব না...।'

হ্যাঁ, হাল ছাড়েননি সারাহ-ক্রিস দম্পতি। তবে এই কথাও সত্যি, কার্টারের বয়স এখন খুবই কম। মাত্র সপ্তাহখানেক। তার জন্য হৃদপিন্ড জোগাড় করাটা অসম্ভবই প্রায়।

কিন্তু আশা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখেন। তার মা-বাবা আশায় আছেন অলৌকিক কিছু ঘটার...।


আরো সংবাদ



premium cement