১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিনেমা নয় বাস্তবেই এমনটা ঘটেছে

ক্যাপ্টেন হিউজ
ক্যাপ্টেন হিউজ - সংগৃহীত

ঘটনাটি শুনলে মনে হবে, কোনো সিনেমার গল্প বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবেই ক্যাপ্টেন হিউজের জীবনে ঘটেছে এই ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী থেকে ১৯৮৩ সালে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে ৩৫ বছর পর তাকে ক্যালিফোর্নিয়াতে খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

ক্যাপ্টেন উইলিয়াম হাওয়ার্ড হিউজ জুনিয়র, যার 'টপ-সিক্রেট' ছাড়পত্র ছিল। তাকে সর্বশেষ নিউ মেক্সিকোর ১৯টি ভিন্ন জায়গায় নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে ২৮ হাজার ডলার তুলে নিতে দেখা গেছে। এরপর আর তাকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

এ মাসের শুরুতে পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্ত করতে গিয়ে ব্যারি ও'ব্রেইন নামে এক ব্যক্তিকে কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

তথ্যের নানা অসঙ্গতির মধ্যে ওই ব্যক্তি জানান তার আসল নাম উইলিয়াম হিউজ।

এই মুহূর্তে তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রাভিস বিমান ঘাঁটিতে রাখা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন বিমান বাহিনী।

বাহিনী থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এখন তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, চাকরিজীবনের যাবতীয় বেতন ফেরত এবং অসম্মানজনকভাবে বিদায় দেয়া হবে বিমান বাহিনী থেকে।

ক্যাপ্টেন হিউজ সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে?
ক্যাপ্টেন হিউজ বিমান বাহিনীর নিউ মেক্সিকোতে অপারেশনাল টেস্ট অ্যান্ড ইভালুয়েশন বিভাগে কাজ করতেন। তার 'টপ-সিক্রেট' ছাড়পত্র ছিল।

মার্কিন বিমান বাহিনীর তথ্যানুসারে, ন্যাটোর কমান্ড, কন্ট্রোল এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার নজরদারি নিয়ে গোপন পরিকল্পনা এবং বিশ্লেষণ।

পালিয়ে যাওয়ার ঠিক আগে তিনি নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো কর্মকর্তাদের সাথে কাজ করে কেবল ফিরেছেন।

যেহেতু গোপনীয় তথ্যসমূহ সংগ্রহ এবং সংরক্ষণে তার অনুমতি ছিল, ফলে তিনি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে পলাতক ঘোষণা করা হয়।

তিনি বিমান বাহিনীর 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকার সাত নম্বরে ছিলেন।

অবশ্য কর্মকর্তারা জানেন না তিনি কোথায় ছিলেন তা তার পরিবার জানত কিনা।

আর তিনি গোপনীয় তথ্য অন্য কাজে ব্যবহার করেছেন কিনা তাও এখনো জানা যায়নি জানিয়েছে বিমান বাহিনী।

কেন পালিয়ে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন হিউজ?
ক্যাপ্টেন হিউজের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে বেশ কিছু তত্ত্ব চালু আছে।

এক, তিনি যখন নিখোঁজ হন, তখন যেহেতু স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল, কেউ কেউ বলেছিলেন, তাকে হয়তো সোভিয়েত ইউনিয়নের লোকেরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে।

১৯৮৪ সালে বার্তা সংস্থা এপি'র এক সংবাদে বলা হয়েছে, তার পরিবার বিশ্বাস করে তিনি অপহৃত হয়েছেন। সে সময় হিউজ অবিবাহিত ছিলেন, কিন্তু তার তিন বোন ছিল।

এরপর ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সে কয়েকটি রকেট শিপ দুর্ঘটনার পর লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের সাংবাদিক টাড যাল্ক লিখেছিলেন, ওই ব্যর্থতার সাথে ক্যাপ্টেন হিউজের সংযোগ থাকতে পারে।

কেননা যে ধরণের বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেন ক্যাপ্টেন হিউজ।

তবে, ক্যাপ্টেন হিউজ তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, বিমান বাহিনীতে থাকার সময় তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন।

এ কারণে এক সময় তিনি পালিয়ে যান এবং মিথ্যা একটি পরিচয় তৈরি করেন।

তারপর থেকে ক্যালিফোর্নিয়াতেই বসবাস করে আসছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল