১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হঠাৎ করে মরে যাচ্ছে 'পেটফুলো' গাছগুলো

বাওব্যাব, আফ্রিকা
বাওব্যাব গাছ - সংগৃহীত

দূর থেকে মনে হবে, গাছগুলোর পেট ফুলে আছে। কথাটা পুরোপুরি সত্য না হলেও কিছুটা সত্যি। অন্যগাছের তুলনায় এদের 'পেটফুলো' থাকে। এর কারণ, এই গাছগুলো অনেক পানি জমিয়ে রাখতে পারে। রুক্ষ পরিবেশে নিজেদের বাঁচাতে এমনটা করে তারা। আফ্রিকার সাভানা তৃণভূমিতে হাজার বছর ধরে ঠায় দাড়িয়ে আছে তারা। কিন্তু হঠাৎ করে মরে যেতে শুরু করেছে এই গাছগুলো। যা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের জন্য।

বাওব্যাব নামের এসব গাছের বয়স এক হাজার থেকে আড়াই হাজার বছর। আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ জুড়ে এসব গাছ ছড়িয়ে রয়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন আর আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বাওব্যাব গাছগুলো গত ১২ বছর ধরে মরে যাচ্ছে।

তাদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে এর সম্পর্ক থাকতে পারে, যদিও এখনো এ বিষয়ে তাদের কাছে সরাসরি কোনো প্রমাণ নেই।

এসব গাছ বিশাল আকারে বড় হয়ে থাকে এবং শত শত বছর ধরে বেচে থাকে।

দক্ষিণ আফ্রিকা, রোমানিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা বলছেন, এসব গাছ হারানো মানে হচ্ছে যেন হঠাৎ করে বিশাল কিছু হারানোর মতো।

''আমরা সন্দেহ করছি যে, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে জলবায়ুর কারণে যেসব পরিবর্তন হয়েছে, এসব গাছের মরে যাওয়ার সাথে হয়তো তার সম্পর্ক আছে।" বলছেন, গবেষক দলের অ্যাড্রিয়ান প্যাটরুট, যিনি রোমানিয়ার বাবেস-বোলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।

''তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হলে আরো গবেষণা করতে হবে।''

শোক আর দুঃখজনক

২০০৫ সাল থেকে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোর এসব প্রাচীন গাছগুলো পর্যবেক্ষণ করে আসছেন গবেষকরা। রেডিও কার্বন ব্যবহার করে তারা গাছগুলোর কাঠামো আর বয়স বের করেন।

অনেকটা হঠাৎ করেই তারা সনাক্ত করেন যে, ১৩টি প্রাচীন বাওব্যাবস গাছের মধ্যে আটটি আর ছয়টি বৃহৎ গাছের পাঁচটি মারা গেছে অথবা তাদের পুরনো অংশটি নষ্ট হয়ে গেছে।

''আমরা সন্দেহ করছি, অতিরিক্ত তাপমাত্রা আর খরার কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।'' বিবিসিকে বলছেন প্যাটরুট।

"এসব গাছের এভাবে মরে যাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ব্যাপার।''

জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা আর জাম্বিয়া জুড়ে এসব গাছ ছড়িয়ে রয়েছে। একেকটি গাছ এক হাজার থেকে আড়াই হাজার বছর পুরনো।

ফলের আকৃতির কারণে স্থানীয়ভাবে এসব গাছকে 'মৃত ইঁদুর' গাছ বলেও ডাকা হয়। গাছগুলো লম্বা আর ডালপালাবিহীন হয়ে থাকে।

এসব গাছ তাদের শরীরের ভেতর অনেক পানি ধরে রাখে। ফলে রুক্ষ এলাকাতেও এসব গাছ নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারে।

বন্যপ্রাণীর জন্যও এসব গাছ সহায়ক হিসাবে কাজ করে। অনেক পাখির আশ্রয়স্থল এসব গাছ।

 

আরো পড়ুন : মায়ের আদর পেতেই প্রাণ ফিরে পায় হরিণ শাবক

মায়ের কোলই সন্তানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। সব বিপদ থেকে সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন মা। আর মায়ের ছোঁয়া পেতেই সব ভয়-ডর উবে যায় সন্তানের। মানব সন্তানের মতো প্রাণীদের বেলায়ও একই রকম। সন্তানের যেকোনো বিপদ সবার আগে আঁচ করতে পারেন মা। আর মাকে ছোঁয়া আর ভালোবাসায় সব বিপদ কাটিয়ে উঠে সন্তান। এমনটাই দেখা গেছে, এক হরিণ শাবকের বেলায়। বিপদে ভেঙে পড়েছিল সে। বাঁচার সব আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল তার। কিন্তু মায়ের ভালোবাসার ছোঁয়া পেতেই প্রাণ খুঁজে পায় সে।

হরিণ শাবক এবং তার মায়ের হৃদয়ছোঁয়া এ মুহূর্তটি ক্যামেরায় বন্দি করেছেন লেসি লারসন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যের পোর্ট ওর্চার্ডের এক রাস্তায় এ ঘটনাটি ঘটে। পুরো ঘটনাটি ঘটেছে লারসনের গাড়ির সামনেই। রোববারের এ ঘটনার ভিডিও তিনি তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। রাতের মধ্যেই সেটি দুই লাখবার দেখা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, দুইপাশে ঘন জঙ্গল। মাঝের সড়কটিতে পড়ে আছে মৃতপ্রায় একটি হরিণ শাবক। সন্তানকে মাঝ সড়কে পড়ে থাকতে দেখে দুরু দুরু বুকে কাছে আসে মা। মনে হয়ত তার মনে অজানা শঙ্কা উঁকি দেয়। সন্তানকে মুখ দিয়ে আদর করতে থাকে মা হরিণ। কিন্তু সন্তানকে নিস্তেজ পড়ে থাকতে দেখে আশপাশে তাকাতে থাকে, হয়ত কারো সাহায্য চায় সে। ঠেক সেই মুহূর্তেই নড়ে চড়ে উঠে হরিণ শাবক। খুব কষ্টে পা জোড়ায় ভর দিয়ে দাঁড়ায়। তারপরই মাকে দেখে সটান হয়ে যায় শাবকটি। দ্রুত মায়ের সাথে হেটে হেটে বাড়ি ফিরে যায়।

হরিণ শাবক আর তার মায়ের এই ঘটনা অনেকের মনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনাটি তুলে আনা সেই লেসি লারসন বলেছেন, 'মাকে দেখেই যেন প্রাণ ফিরে পায় হরিণ শাবকটি।'


আরো সংবাদ



premium cement