২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ন্যূনতম জবাবদিহিতা থাকলে সড়কে হত্যাকাণ্ড দেখতে হতো না : সৈয়দ আবুল মকসুদ

-

বাপা’র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবি সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, আমাদের দেশের প্রশাসন, পুলিশ ও সড়ক কতৃপক্ষের যদি ন্যূনতম জবাবদিহিতা থাকত তা হলে প্রতি নিয়ত সড়কে দূর্ঘটনার নামে হত্যাকাণ্ড দেখতে হতো না।
শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গেটের সামনে ‘সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ কর: নিরাপদ গণপরিবহন নিশ্চিত কর’-দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন। ‘উত্তম দেব নিরাপদ সড়ক প্রচার অভিযান, বাপা’, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, গ্রীণভয়েস, বিপিআই, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট, নাগরিক উদ্যোগ, সুন্দর জীবন, নিরাপদ ডেভলেপমেন্ট ফাউন্ডেশন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ-স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, পুরাতন ঢাকা পরিবেশ উন্নয়ন ফোরাম, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, আদি ঢাকাবাসী ফোরাম, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম, বারসিক, যাত্রী কল্যাণ সমিতি, তরু পল্লব ও বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন-এর যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতির বক্তব্যে আবুল মকসুদ আরো বলেন, আজকে আমরা যারা এখানে উপস্থিত আছি তারা সবাই গত ১৫ বছর ধরে সড়কে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রের পরিবহন ব্যবস্থা এতো খারাপ না। বিশ্বের সবচাইতে অনুন্নত রাষ্ট্রের পরিবহন ব্যবস্থা এর চেয়ে অনেক ভালো।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আমরা এ সরকারের কাছ থেকে মুষ্টিমেয় মালিক পক্ষকে সন্তষ্ট না করে বরং সাধারণ যাত্রীর নিরাপত্তার নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা চাই। সড়কে নিরাপত্তা আনার জন্য জনগনের দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার কী কী নীতিমালা গ্রহণ করেছে আমরা তাও আগামী বাজেটের আগেই দেখতে চাই।
বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাসের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন। বক্তব্য রাখেন, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর সভাপতি অধ্যাপক এম আবু সাঈদ, পিএসসির সাবেক চেয়্যারম্যান ও ফোয়ারা’র সভাপতি ইকরাম আহমেদ, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন-এর সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেনু, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক ও সুন্দর জীবনের নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নিরাপদ ডেভলেপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর মহাসচিব ইবনুল সাঈদ রানা, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট-এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ-স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী, সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন প্রয়াত উত্তম কুমার দেবনাথের সহধর্মিনী ইতি রানী সাহা প্রমূখ। এতে উপস্থিত ছিলেন বাপা’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহদিুল হক খান, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রণমেন্ট-এর সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. শাকিল আখতার, বাপা’র নির্বাহী সদস্য তোফাজ্জল হোসেন ও জাকির হোসেন, বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হাবিব ও শরীফ জামিল, বাপা’র নির্বাহী সদস্য ড. মাহবুব হোসেন, গ্রীন ভয়েসের হুমায়ন কবির সুমন, বিসিএইচআরডি-এর মাহবুব আলম, জহুরুল ইসলামসহ অনেকেই।
ইকরাম আহমেদ বলেন, আমার ছোট ছেলে ২০০৯ সালে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়। সুতরাং আমি বুঝি এ যন্ত্রণা। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে মোটরযান আইন সংশোধনের জন্য তা মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। এই আইন পাশ না হলে সড়ক ব্যবস্থাপনার বিশৃংখলা থামানো যাবে না। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই আইন পাশ ও বাস্তবায়ন দাবি করেন।
ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন, আজকে থেকে ‘উত্তম দেব নিরাপদ সড়ক প্রচার অভিযান’-এর যাত্রা শুরু। সামাজিক ঐক্যের মাধ্যমে এ আন্দোলনকে আরো বৃহত্তর করা হবে এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত না করা পর্যন্ত বাপার এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement