২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
১ অক্টোবর গণঅনশন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করলে বৃহত্তর আন্দোলন : সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ 

-

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কালো ধারা বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচীতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ফ্যাসিবাদী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়ার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করছে। এর চেয়ে জঘন্য আইন আর হতে পারেনা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করলে সাংবাদিক সমাজ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়া হয়। নেতৃবৃন্দ এ কালাকানুন বাতিলের দাবিতে আগামী ১ অক্টোবর সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিকী অনশন কর্মসূচীর ঘোষনা দেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন -ডিইউজে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আব্দুস সহিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বিএফইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল আমিন রোকন, সহ-সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহমেদ মতিউর রহমান, নির্বাহী সদস্য এবিএম সাদ বিন বারী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসীন, ডিইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, ডিইউজে’র বাসস ইউনিট প্রধান আবুল কালাম মানিক, ডিইউজের জনকল্যান সম্পাদক খন্দকার আলমগীর।
এছাড়া অবস্থান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক নেতা জিয়াউল কবির সুমন, মামুন স্ট্যালিন, সৈয়দ আলী আসফার, মাসুদা সুলতানা, আবুল কালাম, নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলামিন, ডিএম আমিরুল ইসলাম অমর প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- ডিইউজে’র দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, আমরা বারবার বলেছি এ ধরণের জঘন্য আইন করবেন না। তারপরও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে এ ধরণের কালো আইন করা হয়েছে। এ আইন গণবিরোধী ও সংবিধান পরিপন্থী। এ আইনে মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হবে। এ সরকার একের পর এক মিডিয়া বন্ধ করেছে। সাংবাদিকদের মামলা-হামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে। এখন নতুন এ আইনের মাধ্যমে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার চেষ্টা করছে। দেশের মানুষ এ আইন মানে না, মানবেও না। দেশের মানুষ এ আইন বাস্তবায়ন হতে দিবে না।
এ আইন বাতিলের জন্য আগামী ১ অক্টোবর সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিকী গণঅনশন কর্মসূচী পালন করা হবে। তিনি সকলকে সেই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের আহবান জানান। তিনি বলেন, যতদিন এ আইন বাতিল না করা হবে ততদিন আমাদের এ আন্দোলন চলবে।
শওকত মাহমুদ বলেন, তথ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়ে সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। আমি বলতে চাই তথ্যমন্ত্রীর চিঠি সংসদের চেয়ে বড় নয়। আপনার সাহস থাকলে সংসদে চিঠি দিয়ে এ আইন সংশোধন করতে বলুন। আমরা সাংবাদিক সমাজ এ আইন মানি না, মানবোও না। দেশের জনগণও এ আইন মানে না। এ আইন থেকে শুধুমাত্র সাংবাদিকরা রেহাই পেলে চলবে না। দেশের জনগণকেও এ আইন থেকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, এ আইনে পুলিশ সন্দেহ করে যেকোনো সময় যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়ে কেউ গ্রেফতার হলেওে পাল্টা তাদের বিরোদ্ধে আদালতে কোনো মামলা করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, এ আইনে সৃষ্টিকর্তাকে অবমাননা করলে ৫ বছরের জেল আর তার সৃষ্টি কোনো মানুষকে অবমাননা করলে ১০ বছরের জেল। এখানে সৃষ্টিকর্তার চেয়ে তার সৃষ্টিকে বড় করা হয়েছে। এমন আইন আমরা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন হতে দিব না। আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবেই।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশে মুক্ত মত প্রকাশের ওপর একটি বড় আঘাত। ব্যাপক সমালোচিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) পরিবর্তে সেখানে বসানো হয়েছে এই আইন। এতে রয়েছে আগের ওই আইনের সবচেয়ে সমস্যাযুক্ত বেশির ভাগ বিধান এবং এতে রয়েছে শান্তিপূর্ণ মত প্রকাশকে ক্রিমিনালাইজ করার অধিক পরিমাণে বিধান। নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হলো নির্যাতনের একটি অস্ত্র এবং বাংলাদেশ মুক্ত মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক যেসব আইন মানতে বাধ্য তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে কমপক্ষে ৫টি বিধান আছে, যা দিয়ে কথা বলা বা মত প্রকাশকে ক্রিমিনালাইজ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এই আইনটি সরকারের অপকর্মের সমালোচকদের কণ্ঠকে দমন করার জন্য ব্যাপক অর্থে একটি লাইসেন্স।
শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা অতীতেও এই ফ্যাসিবাদী সরকারের কোনো কালো আইনের বিরুদ্ধে কোনো আপোশ করিনি, এখনো করবো না। এমনকি ভবিষ্যতেও করবো না। বর্তমানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে যে কালো আইন পাশ করেছে তা যতদিন বাতিল না করা হবে ততদিন আমারা রাজপথে আছি এবং থাকবো। গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করেই আমরা ঘরে ফিরবো। বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন গ্রেফতার বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচবেন কিভাবে বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ ভারতের মাঝারি পাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ৩ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চেন্নাইকে হারাল লক্ষৌ

সকল